leadT1ad

নির্বাচনকেন্দ্রিক মেরুকরণ

জামায়াতের সঙ্গে জোটের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে সমঝোতার পথে ইসলামপন্থী দলগুলো

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫৭
স্ট্রিম গ্রাফিক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ইসলামপন্থী দলগুলোর ঐক্যজোটের তোড়জোড় শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত সেটি হচ্ছে না। তবে ঐক্যজোট না হলেও নির্বাচনী সমঝোতা করতে যাচ্ছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ আরও কয়েকটি সমমনা দল। সূত্রমতে, তাদের এই সমঝোতা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই প্রকাশ্যে আসতে পারে।

কয়েকটি দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াতসহ যে কয়টি দল প্রায় অভিন্ন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে তাদের নিয়েই নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে। নতুন করে কোনো দলের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন নেতারা।

যুগপৎ আন্দোলনে এখন পর্যন্ত জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল এক হয়ে কর্মসূচি পালন করছে। এর মধ্যে দুটি ছাড়া ছয়টি দলই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। শুধু জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বাকি সব দল আবার দেওবন্দিধারার রাজনৈতিক দল। জামায়াতের সঙ্গে এই ধারার দলগুলোর পুরনো ও ঐতিহাসিক আদর্শিক বিরোধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঐক্য বা জোট না হওয়ার ক্ষেত্রে এই বিরোধই প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই বিরোধকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনের আগে সমঝোতায় পৌঁছার জোর চেষ্টা রয়েছে দলগুলোর ভেতর।

যেসব সমঝোতার কথা বলছেন নেতারা

গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে যে দলগুলো তাদের সঙ্গে জোট নাকি সমঝোতা হচ্ছে জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘সাত দলের সঙ্গে ফরমালি কিছু নেই।’

যদিও মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, আপাতত ইসলামপন্থীদের নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো জোট হচ্ছে না, ‘তবে নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে’।

বিষয়টি আরও খোলাসা করে বলেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী সমঝোতা নিয়েই আপাতত দলগুলোর ভেতর আলোচনা চলছে।’

জোট আর নির্বাচনী সমঝোতার মধ্যে কী পার্থক্য জানতে চাইলে তিনি জানান, জোট হলে এর একটি স্বতন্ত্র নাম থাকে, সেই নামে ঐক্যবদ্ধ হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলো রাজনৈতিক তৎপরতা চালায়। কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতা শুধুই নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি সিদ্ধান্তে আসা। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, সমঝোতা হলে একটি আসনে শুধু একটি দলের একজন প্রার্থীই দাঁড়াবেন। অন্য দলগুলো তাঁকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।

প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ। জোট না হলে সমঝোতার চেহারাটা কেমন হতে পারে জানতে চাইলে স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘একেকটা আসনে ইসলামী দলগুলোর একটা মার্কা থাকবে। অন্য ইসলামী দলগুলো সেখানে তাদের প্রতীক নিয়ে দাঁড়াবে না। এটাই হবে সমঝোতা।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এই সিনিয়র নায়েবে আমির আরও জানান, দলগুলোকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো জোট হবে না। তিনি বলেন, ‘জোট হলে একজন চেয়ারম্যান বা আহ্বায়ক হন, সমঝোতার ক্ষেত্রে এসব কিছুই থাকবে না।’ তবে কীভাবে কতটুকু সমঝোতা হতে পারে, তা নিয়ে দলের সাধারণ পরিষদ ও মজলিসে শুরার আলোচনা থেকে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান তিনি।

জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপির সঙ্গেও আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২৫ অক্টোবর সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ও মজলিসে শুরার বৈঠক ডেকেছে দলটি। সেখান থেকেই দলটি জামায়াত নাকি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলগুলোর ভেতর কীভাবে ও কী কী সমঝোতা হবে, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলমান রয়েছে। কোন দল কয়টি ও কোন আসনে প্রার্থী দেবে সেটাও চূড়ান্ত হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। যদিও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সম্প্রতি খুলনায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সমঝোতা হলে প্রয়োজনে তাঁরা সমমনা দলগুলোকে ১০০টি আসন ছেড়ে দেবেন।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ স্ট্রিমকে বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো ছাড়া অন্যদের সঙ্গেও সমঝোতার আলাপ এগিয়ে নিচ্ছে জামায়াত। তিনি বলেন, ‘শুধু ইসলামী দলই নয়; ডেমোক্রেটিক যত পার্টি আছে সবার সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে।’ বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরেই এটি পরিষ্কার হবে।

জোট না হয়ে সমঝোতা হলে দলগুলোর বোঝাপড়া কেমন হবে জানতে চাইলে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘কাঠামোটা এখনও দাঁড়ায়নি। এসব অনানুষ্ঠানিক আলোচনা।’ কবে নাগাদ সমঝোতা হতে পারে জানতে চাইলে বলেন, ‘এটা অনেকটা নির্ভর করে দেশের পরিস্থিতির ওপর। বিশেষ করে সরকার কী করছে দেখতে হবে। নির্বাচনের তফসিল হলেই বোঝা যাবে। গভর্মেন্ট তো আসলে স্পষ্ট করছে না। অস্পষ্টতার মধ্যে তো আর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।’

জোট না করে সমঝোতার কারণ

চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের পরে মাওলানা মামুনুল হকের দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ দেওবন্দিধারার কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলে বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে বিকল্প একটি জোট গড়ার চেষ্টা করে শুরুতে।

জোট তৈরির এই প্রচেষ্টায় ছিল ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকের নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ আরও কয়েকটি দল।

এই প্রসঙ্গে ইউসুফ আশরাফ স্ট্রিমকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে সমমনা ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটা জোট করার চেষ্টা আমাদের আগে ছিল। তখন ইসলামী আন্দোলনও সেই আলোচনায় ছিল না। পরবর্তীতে ইসলামী আন্দোলন সমমনা জোটের আলোচনায় আসছে। পরে এইখান থেকে আবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বেরিয়ে গেছে। যার কারণে এখন ওইটাও পুরাপুরি নাই।’

স্বতন্ত্র জোটের চেষ্টায় থাকা ওই দলগুলোর জামায়াতের সঙ্গে আদর্শিক বিরোধ বেশ পুরনো। দলটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদির ইসলামের ব্যাখ্যাকে তাঁরা বিতর্কিত মনে করেন। এ কারণে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে দেওবন্দি ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজও জামায়াতের স্বতন্ত্র কোনো জোট হয়নি। যদিও বিভিন্ন সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসলামপন্থী দলগুলোর নির্বাচনী জোট হয়েছে।

এই আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণেই জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঐক্যচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়ায়। গত ১৮ আগস্ট স্ট্রিমকে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক জানান, প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধবেন তাঁরা। তবুও কোনোভাবেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে একজোট হবেন না। ইসলামপন্থী দলগুলো জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলেও ওই সময় জানান তিনি।

আদর্শিক বিরোধ নিয়ে অন্য দলগুলোর ভেতরেও আলোচনা রয়েছে। এর মধ্যে ভ্রান্ত আকিদার কারও সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া যাবে না’ বলে জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে এমন কারও সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া যাবে না যাদের ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে পূর্বপুরুষরা সতর্ক করে গেছেন।

এসময় তিনি সহি আকিদার সব ইসলামি দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে আয়োজিত জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, দেশের ইসলামী শক্তি নিজেদের মাঝে ঐক্য না করে অন্যদের নিয়ে ঐক্যের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘ইত্তেহাদ বাইনানা (নিজেদের মাঝে ঐক্য) না করে আমরা ইত্তেহাদ মা’আ গাইরিনার (অন্যদের সঙ্গে ঐক্যের) চেষ্টা শুরু করে দিয়েছি।’ অন্যদের বলতে তিনি জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করেন।

জামায়াত যে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছে, এর সবকটি দলের নেতাই হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছেন। জামায়াতের সঙ্গে তাদেরও পুরোনো আদর্শিক বিরোধ রয়েছে। তবে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পরের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসলামপন্থী ভোটারদের ভোট একটি বাক্সে আনতে চান তাঁরা। সেক্ষেত্রে জামায়াতকে দূরে রেখে এটি সম্ভব হবে না বলে তারা মনে করেন। মূলত এ কারণেই জোটের চিন্তা বাদ দিয়ে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছতে চাইছে দলগুলো। তারা মনে করছে, এতে আদর্শিক বিরোধ স্বজায়গায় রেখেও নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সম্ভব।

বিএনপির সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা যে কারণে কম

জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কয়েকটি দল বিএনপির সঙ্গেও নির্বাচনী বোঝাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রমতে, এই ক্ষেত্রে দেওবন্দিধারার দলগুলো যেন বিএনপির দিকে ঝুঁকে না পড়ে তার দিকে গুরুত্ব দিয়ে সক্রিয় রয়েছে জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনের বড় মিত্র চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি সূত্র স্ট্রিমকে জানান, তাঁরা ইসলামপন্থী দলগুলোকে বোঝাতে চেষ্টা করছেন, একদিকে জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনে আদর্শিক বাধাকে কোনোভাবে এড়ানোর উপায় নেই। আবার অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে জোটে গেলে ক্ষমতায় গিয়ে দলটি চাঁদাবাজি, লুটপাটে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সেটা হলে এর দায় ইসলামপন্থী দলগুলোর ঘাড়েও আসবে। এই উভয় সংকট থেকে বাঁচার উপায় হলো, আদর্শের জায়গায় ছাড় না দিয়ে নির্বাচনে এক বাক্সে ইসলামপন্থীদের ভোট টানতে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া।

তবে ইসলামপন্থী দলগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে এখনই ‘বাগযুদ্ধে’ জড়িয়ে পড়তে চাইছে না বলেও কয়েকটি দলের নেতা স্ট্রিমকে জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, বিএনপির তীব্র বিরোধীতা করার মতো সাংগঠনিক শক্তি জামায়াত ছাড়া অন্য দলগুলোর নেই। আর বেশি কঠোর হলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপি আড়ালে জোট করে ফেলতে পারে বলেও তাঁরা মনে করেন। এতে শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সূত্রের দাবি, একারণে এখন পর্যন্ত বিএনপি ও ইসলামপন্থীদের নির্বাচনী জোটের সঙ্গে সমানতালে সম্পর্ক রেখে চলেছে কয়েকটি ইসলামপন্থী দল। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের ভেতর সমঝোতার কাজ এগিয়ে নিতে চায় তারা।

যুগপৎ আন্দোলন দিয়ে সমঝোতার দিকে যাত্রা

গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। এর মধ্য দিয়ে তারা আন্দোলনের চতুর্থ পর্বের কর্মসূচি পালন করা শুরু করেছে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে জামায়াতসহ সাতটি দল বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এত দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি যুগপৎ আন্দোলনে ছিল।

এই সাত দলের সঙ্গে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে যুগপৎ আন্দোলনে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। অভিন্ন দাবিতে দলগুলো এতদিন পৃথক ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন ও কর্মসূচি পালন করে এলেও ওই দিন প্রথমবার যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে দলগুলো। তবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পৃথক ব্যানার ও মঞ্চেই পালন করেছে দলগুলো।

এসব দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমঝোতা হলে নির্বাচনেও তারা অনেকটা এভাবেই পৃথক মঞ্চ ও ব্যানার ব্যবহার করবেন। তারা চান, শুধু ভোটগুলো এক বাক্সে পড়ুক।

Ad 300x250

সম্পর্কিত