জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে এত রক্ত ও জীবনের বিনিময়ের পর কোনো অবস্থাতেই আর নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না।
নির্বাচন কমিশনারদের একজন একটি রাজনৈতিক দলের মতো করে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড আমাদের ভয়ংকর রাজনীতির এক কালো অধ্যায়। ভারতীয় আধিপত্যবাদ কত নগ্ন ও নির্মমভাবে আমাদের ওপরে চেপে বসেছিল, তার নৃশংস দৃষ্টান্ত এটা। একইসঙ্গে দেশে রাজনীতির নামে যে নীতিহীন স্বার্থবাদের প্যারাডাইম তৈরি হয়েছিল, তারও একটি উদাহারণ।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে তারা দেশকে বারবার দুর্নীতির চ্যাম্পিয়নে পরিণত করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া বানিয়েছে। দেশকে গুম-খুনের রাজ্যে পরিণত করেছে। এসব অনাচারের মূল কারণ আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের বানানো আইন বাস্তবায়ন করা।’
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রাজনৈতিক দলগুলোর যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সরকার হতাশাজনক উদাসীনতা দেখাচ্ছে জানিয়ে দাবি আদায়ের ২য় ধাপে ১১ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে তারা।
প্রায় অভিন্ন দাবিতে নতুন কর্মসূচি নিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে আবারও মাঠে নামছে সাতটি রাজনৈতিক দল। দাবি আদায়ে গণসংযোগ ছাড়াও গোলটেবিল আলোচনা, মতবিনিময়, সেমিনার আয়োজনসহ গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে তারা।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার কমিশনকে বারবার আলোচনার আহ্বান জানানো হলেও কমিশন বিষয়টিকে উপেক্ষা করেছে। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কমিশনের একগুঁয়েমির কারণেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমা
৪ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন
পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, এখন আবার কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী আচরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা করছে। দিল্লি বা বিদেশি প্রেসক্রিপশনে দেশ চালানোর অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না
দেশের মানুষ ইসলামকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। এ জন্য আলেমদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমেই আগামী রাজনীতির যাত্রাপথ স্পষ্ট হবে, তাই এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও আনন্দমুখর করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় দেশের পরিচালনা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ একথা বলেছেন।
ফেনীতে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে চরমোনাই পীর
দেশের মানুষ এখন প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতেই ভোট দিতে চায়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটার ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, আর ফ্যাসিবাদের কোনো সুযোগ থাকে না।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন নানা কর্মসূচি দিয়ে যাবে, কোনোভাবেই মাঠ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে, নির্বাচনের আগেই এটা হতে হবে। আ
সাক্ষাৎকার
জুলাই সনদ নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন জুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদে তাঁদের কয়েকটি মৌলিক দাবি বাদ পড়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলোদেশ বলেছে, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে জাতীয় নির্বাচন।