leadT1ad

আমরা সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই: জামায়াত আমির

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ১৪
ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্যে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত সেনাসদস্যদের ব্যাপারে নেওয়া বিচারপ্রক্রিয়াকে সহায়তা করার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাহিনীটির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত।

আজ রোববার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সেনা হেফাজতে নেওয়ারও প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর স্ট্যাটাসটি জামায়াতের অফিসিয়াল পেজ থেকেও প্রচার করা হয়েছে।

স্ট্যাটাসে জামায়াত আমির বলেছেন, ‘গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ গর্বিত থাকতে চান। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বাহিনীর কতিপয় সদস্য দেশের বিদ্যমান আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনায় প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন অন্ধ সহযোগী। ফলে গুম এবং খুনের একটি ভীতিকর পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছিল, যা একটি জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।’

এরপরে তিনি লিখেছেন, ‘তবে সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে সহায়তা করার স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’

স্ট্যাটাসে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, কারও ওপর কোনো অবিচার চাপিয়ে দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এতে যেমন অতীতের দায় মুছে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ নিজের পেশা বা পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন। পরিণতিতে দীর্ঘমেয়াদে জাতি উপকৃত হবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত