leadT1ad

মনে হচ্ছিল আমি জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি: মির্জা ফখরুল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ২১
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাদৃশ্য পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত পরশু, ইউএস-বাংলাদেশ একটা বিজনেস ফোরামের সভা হচ্ছিল। সেখানে আমাদের সম্মানিত, সকলের সম্মানিত, বিশ্বের সম্মানিত প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার করে মনে হচ্ছিল, যে আমি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে স্বপ্ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখেছিলেন যে বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক, একটা সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশে পরিণত করবেন, তার সমস্ত কথাগুলো সেই সময় প্রফেসর ইউনূসের কথায় বেরিয়ে আসছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু প্রতিবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। যেদিন থেকে একটা দুঃসহ, একটা দানবীয় একটি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের ওপরে চেপে বসেছে, সেদিন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ লড়াই শুরু করেছে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমি এখানে তো পার্টিকুলার কোনো পলিটিক্যাল পার্টির কথা বলছি না। প্রায় প্রতিটি মানুষ এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। যেমন করেছে আপনার সেই তেঁতুলিয়ার গ্রামের মানুষ, ঠিক তেমনি আপনারা এইখানে এই প্রবাসে থেকেও লড়াই করে যাচ্ছেন।’

জাতিসংঘের ৮০তম সম্মেলনে অংশ নিতে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছয়জন প্রতিনিধি। প্রতিনিধিদের মধ্যে মির্জা ফখরুলও একজন।

বক্তব্যের শুরুতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাকে সবচেয়ে মুরুব্বি বলে পরিচিত করে দেওয়া হলো, আমি নিজেকে কিন্তু এখনো আখতারদের সঙ্গে মনে করি। কারণ, আজীবন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি এবং এখনো লড়াই করেই চলেছি।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম, লড়াই এটা তাদের মজ্জাগত। যে কোনো বিপদে, যে কোনো দুঃসময়ে সবাই এক হয়ে লড়াই করতে জানে, তার প্রমাণ জুলাই দিয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি একটা কথা খুব স্পষ্ট করে, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে আমরা যাঁরা বয়োজ্যেষ্ঠ আছি, আমরা অনেকগুলো লড়াই লড়েছি। আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, পরবর্তীকালে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি। আজকে আমাদের সামনে শোয়েবরা, জারারা, তারা এসেছে। আমি আশাবাদী যে আমরা ভবিষ্যতে আবার লড়াই করে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।’

তরুণদের উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে স্বপ্ন দেখতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আমি শুধু আপনাদেরকে এই কথা বলতে চাই যে আমরা আধুনিক চিন্তা করি। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন, আমাদের সামনের ছেলেরা, আমাদের মেয়েরা, তারা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আধুনিক চিন্তা করে। সেটাকে ধারণ করার মতো মানসিকতা আমাদের আছে এবং সেটাকে প্রমোট করার মতো সংগঠন আমাদের করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি আপনাদের যাদের কথা এখানে শুনলাম, আমি আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছি যে আমাদের এই নতুন জেনারেশন তারা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের নতুন সংগ্রামে, নতুন লড়াইয়ে, নতুন স্বপ্নের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে নিয়ে যাবে।'

Ad 300x250

সম্পর্কিত