স্ট্রিম প্রতিবেদক
বাংলার শাসনব্যবস্থা, নগরায়ন ও সংস্কৃতিতে সুফিদের অংশগ্রহণের আলাপকে জনপরিসরে হাজির করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও গবেষক তাহমিদাল জামি।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার কলা মিলনায়তনে মাকাম: সেন্টার ফর সুফি হেরিটেজ আয়োজিত ‘সুলতানী আমলে সোনারগাঁয়ের সুফি-সমাজ ও তাঁদের কার্যক্রম’ শিরোনামের এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় তাহমিদাল জামি বলেন, সুলতানী আমলের সুফিদের বিষয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই সে সময়ের লিখিত প্রাথমিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে। কেবল সুলতানী আমলই নয়, বরং ঔপনিবেশিক শাসনামলেও সুফি-সমাজের একটি সংগ্রামী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের শাসনব্যবস্থা, নগরায়ন ও সংস্কৃতিতে সুফিদের অংশগ্রহণের আলাপকে জনপরিসরে হাজির করা জরুরি। এসব আলাপের মাধ্যমেই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার জায়গাটি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভার শুরুতে প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাবন্ধিক নূরুজ্জামান রাফি। এই প্রবন্ধে সুলতানী আমলে সোনারগাঁয়ের বিখ্যাত সুফি হজরত শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা, শরফুদ্দিন ইয়াহিয়া মানেরি, ইব্রাহিম দানিশমন্দসহ অনেক সুফিদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। নূরুজ্জামান রাফি বলেন, সুলতানী আমলের শিক্ষাব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ও স্থাপত্যে সুফিদের অবদান ও প্রভাব ছিল অত্যন্ত গভীর। সুলতানী আমলের শাসকদের সঙ্গে সুফিদের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকার কারণে তৎকালীন শাসকদের জালেমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায়নি।
প্রবন্ধ পাঠ শেষে নূরুজ্জামান রাফি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না, যদি দেশের সোনালি অতীত নির্মাতাদের সম্পর্কে জনসাধারণ অজ্ঞ থেকে যায়। সোনারগাঁকে সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম আঞ্জাম দেওয়া সুফিগণ বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন।’
আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং নারায়ণগঞ্জ কলেজের প্রভাষক ফারিজুল বারী তালুকদার।
ফারিজুল বারী তালুকদার বলেন, সুলতানী আমলের সোনারগাঁয়ে শাসনব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্গ ছিলেন সুফি-সমাজ; তাঁদের সহায়তা ব্যতীত তৎকালীন বাংলার শাসনব্যবস্থা ছিল অকল্পনীয়। সুফিগণ যে সবসময় সুলতানদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন এমন নয়, অনেক সময় সুলতানদের বলয় পাশ কাটিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য মোতাবেক তাঁরা ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন। সুলতানী আমলের সোনারগাঁয়ে যে সুফি-সমাজ ছিল তাঁরা ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন; যে কারণে শাসনব্যবস্থা ও শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে ইসলাম প্রচারে ও সামাজিকভাবে প্রভাব বিস্তারে কোনো ঘাটতি ছিল না।
মাকামের আয়োজনে এখন পর্যন্ত ৫টি আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে মাকামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আলোচক ও উপস্থিত শ্রোতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বাংলার শাসনব্যবস্থা, নগরায়ন ও সংস্কৃতিতে সুফিদের অংশগ্রহণের আলাপকে জনপরিসরে হাজির করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও গবেষক তাহমিদাল জামি।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার কলা মিলনায়তনে মাকাম: সেন্টার ফর সুফি হেরিটেজ আয়োজিত ‘সুলতানী আমলে সোনারগাঁয়ের সুফি-সমাজ ও তাঁদের কার্যক্রম’ শিরোনামের এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় তাহমিদাল জামি বলেন, সুলতানী আমলের সুফিদের বিষয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই সে সময়ের লিখিত প্রাথমিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে। কেবল সুলতানী আমলই নয়, বরং ঔপনিবেশিক শাসনামলেও সুফি-সমাজের একটি সংগ্রামী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের শাসনব্যবস্থা, নগরায়ন ও সংস্কৃতিতে সুফিদের অংশগ্রহণের আলাপকে জনপরিসরে হাজির করা জরুরি। এসব আলাপের মাধ্যমেই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার জায়গাটি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভার শুরুতে প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাবন্ধিক নূরুজ্জামান রাফি। এই প্রবন্ধে সুলতানী আমলে সোনারগাঁয়ের বিখ্যাত সুফি হজরত শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা, শরফুদ্দিন ইয়াহিয়া মানেরি, ইব্রাহিম দানিশমন্দসহ অনেক সুফিদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। নূরুজ্জামান রাফি বলেন, সুলতানী আমলের শিক্ষাব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ও স্থাপত্যে সুফিদের অবদান ও প্রভাব ছিল অত্যন্ত গভীর। সুলতানী আমলের শাসকদের সঙ্গে সুফিদের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকার কারণে তৎকালীন শাসকদের জালেমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায়নি।
প্রবন্ধ পাঠ শেষে নূরুজ্জামান রাফি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না, যদি দেশের সোনালি অতীত নির্মাতাদের সম্পর্কে জনসাধারণ অজ্ঞ থেকে যায়। সোনারগাঁকে সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম আঞ্জাম দেওয়া সুফিগণ বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন।’
আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং নারায়ণগঞ্জ কলেজের প্রভাষক ফারিজুল বারী তালুকদার।
ফারিজুল বারী তালুকদার বলেন, সুলতানী আমলের সোনারগাঁয়ে শাসনব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্গ ছিলেন সুফি-সমাজ; তাঁদের সহায়তা ব্যতীত তৎকালীন বাংলার শাসনব্যবস্থা ছিল অকল্পনীয়। সুফিগণ যে সবসময় সুলতানদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন এমন নয়, অনেক সময় সুলতানদের বলয় পাশ কাটিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য মোতাবেক তাঁরা ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন। সুলতানী আমলের সোনারগাঁয়ে যে সুফি-সমাজ ছিল তাঁরা ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন; যে কারণে শাসনব্যবস্থা ও শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে ইসলাম প্রচারে ও সামাজিকভাবে প্রভাব বিস্তারে কোনো ঘাটতি ছিল না।
মাকামের আয়োজনে এখন পর্যন্ত ৫টি আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে মাকামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আলোচক ও উপস্থিত শ্রোতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই বিপ্লবের সময়কার ভিডিও ও তথ্য সরাসরি প্রদর্শন করা হয়েছে। গণহত্যা মামলার আসামি শেখ হাসিনার অপরাধের পক্ষে প্রসিকিউশনের দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এসব ভিডিও দেখানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে দেখানো ভিডিওর সংখ্যা ১৮।
৩৭ মিনিট আগেচাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, এক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে। তিনি নাট্যকলা বিভাগের সভাপতির সঙ্গে তাঁর একটি ফোনকল রেকর্ডও সামনে এনেছেন। অবশ্য বিভাগের সভাপতি মীর মেহবুব আলমের দাবি, এই ফোনকল রেকর্ড প্রযুক্তির সাহায্যে বানানো।
২ ঘণ্টা আগেআগামী ডিসেম্বরে অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা 'স্থগিত' করেছে বাংলা একাডেমি।
৩ ঘণ্টা আগেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্যাকেজের ন্যূনতম খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা, আর সর্বোচ্চ খরচ পড়বে প্রায় ৭ লাখ টাকা।
৪ ঘণ্টা আগে