স্ট্রিম প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই বিপ্লবের সময়কার ভিডিও ও তথ্য সরাসরি প্রদর্শন করা হয়েছে। গণহত্যা মামলার আসামি শেখ হাসিনার অপরাধের পক্ষে প্রসিকিউশনের দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এসব ভিডিও দেখানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে দেখানো ভিডিওর সংখ্যা ১৮।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এ ভিডিওগুলো দেখানো হয়েছে। এসব ভিডিওতে অভ্যুত্থানের সময়কার লোমহর্ষক দৃশ্য উঠে আসে ।
যা আছে ভিডিওগুলোতে
ট্রাইব্যুনালে প্রথম ভিডিওটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তৈরি করা গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ডকুমেন্টারি। দ্বিতীয় ভিডিওতে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও চিত্র। এটি বিটিভি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অসম্পাদিতভাবে প্রদর্শন করা হয়।
এই ভিডিও প্রদর্শনের পর প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের রাজাকারের নাতিপুতি বলে গালি দেন। তার ওই বক্তব্যের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাতে বিক্ষোভ করে।
তৃতীয় ভিডিওটি ১৪ জুলাই রাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের চিত্র। তাতে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন । চতুর্থ ভিডিও ১৫ জুলাই ঢাবিতে সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাসংক্রান্ত। এটি একটি গণমাধ্যমের ভিডিও প্রতিবেদন সংগ্রহ করা। পঞ্চম ভিডিও রংপুরে আবু সাঈদের হত্যাসংক্রান্ত। এতে দেখা যায় দুই হাত প্রসারিত করে গুলির মুখে দাঁড়ানো আবু সাঈদের সেই আইকনিক পোজ। ষষ্ঠ ভিডিওতে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের দৃশ্য দেখানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন এ সময় বলেন, ভিডিওতে গুলি করতে দেখা গেছে, এমন দৃশ্য এখানে দৃশ্যমান নয়।
এসময় ভিডিওটি পুনরায় প্লে করে গুলি করার দৃশ্য দেখানো হয়।
সপ্তম ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে এক পুলিশ একটি ভিডিও দেখান। তাতে দেখা যায়, ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘একটা গুলি করি, একটাই যায়, বাকিডি যায় না স্যার।’
পরের ভিডিওতে পুলিশ কর্তৃক যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি শিশুকে নির্যাতন ও গুলি করার দৃশ্য দেখানো হয়।
নবম ভিডিওতে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণের আহত হওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। তাতে দেখা যায়, আহত খোকনে চিৎকার করছেন।
এ পর্যায়ে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই খোকন হাসিনার বিরুদ্ধে এই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি ছিলেন ১ম সাক্ষী।
দশম ভিডিওিতে সাভারে পুলিশের এপিসি থেকে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ইয়ামিনকে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়।
পরের ভিডিওটি লাশ পোড়ানোসংক্রান্ত। আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে ছয়জন আন্দোলনকারীর লাশ পোড়ানোর দৃশ্য দেখানো হয় এই ভিডিওতে।
এ সময় প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই ছয়জনের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জীবিত ছিলেন। তাঁকে জীবিত অবস্থায় আগুনে পোড়ানো হয়। এমনভাবে পোড়ানো হয়, যাতে মনে হয় এই আগুন আন্দোলনকারীরাই দিয়েছেন।
তামিম বলেন, এখানে যে পুলিশরা আগুন দিয়েছে, তাঁরা এতটাই বর্বর ছিলেন যে জলন্ত পিকআপে একজন কাঠের টুকরা দিয়েছেন, আরেকজন পুলিশ তাঁর হাতে থাকা সিগারেটও আগুনে জ্বালানি হিসেবে দেন।
১২তম ভিডিওতে, চানখারপুলে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলির দৃশ্য দেখানো হয়। এখানে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ও এপিবিএনের কয়েকজন সদস্যকে শুয়ে, বসে যুদ্ধরত স্টাইলে হাঁটুগেড়ে শর্টগান, চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।
১৩তম ভিডিওতে রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে দুই পুলিশের গুলির দৃশ্য উঠে আসে। তামিম বলেন, তাঁকে আটটি গুলি করা হয়। তিনি বেঁচে আছেন। ওই মামলায় তিনি প্রসিকিউশনের একজন সাক্ষী।
১৪তম ভিডিওতে দুজন আন্দোলনকারী একটি গেটের কাছে লুকিয়ে ছিলেন। একজন আনসার সদস্য তাঁদের গুলি করেন, এমন দৃশ্য দেখা যায়।
১৫তম ভিডিওতে ফার্মগেট এলাকায় পুলিশের গুলির দৃশ্য দেখানা হয়। তাতে এপিসি থেকে গুলির দৃশ্য রয়েছে। তামিম বলেন, এতে গোলাম নাফিস নামে একজন মারা যান।
১৬তম ভিডিওটিতে হামলার শিকার ভবন পরিদর্শন শেষে হাসিনা বক্তব্য দিচ্ছেন।
১৭তম ভিডিওতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ দেখানো হয়। তাতে হাসিনা জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করছেন।
১৮তম ভিডিওতে বিদেশি সংস্থার ফরেনসিক বিশ্লেষণ করা ভিডিও দেখানো হয়। এর ব্যাপ্তি ১৪ মিনিট। ৪০০ ভিডিও একত্রিত করে সময়ের ধারাবাহিকতা অনুয়ায়ী এই ভিডিও তৈরি করা হয়। এতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৫ আগস্ট বেলা দুইটা থেকে বিকেল পর্যন্ত যে ম্যাসাকার হয়েছে, তার বিবরণ পাওয়া যায় ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই বিপ্লবের সময়কার ভিডিও ও তথ্য সরাসরি প্রদর্শন করা হয়েছে। গণহত্যা মামলার আসামি শেখ হাসিনার অপরাধের পক্ষে প্রসিকিউশনের দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এসব ভিডিও দেখানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে দেখানো ভিডিওর সংখ্যা ১৮।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এ ভিডিওগুলো দেখানো হয়েছে। এসব ভিডিওতে অভ্যুত্থানের সময়কার লোমহর্ষক দৃশ্য উঠে আসে ।
যা আছে ভিডিওগুলোতে
ট্রাইব্যুনালে প্রথম ভিডিওটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তৈরি করা গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ডকুমেন্টারি। দ্বিতীয় ভিডিওতে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও চিত্র। এটি বিটিভি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অসম্পাদিতভাবে প্রদর্শন করা হয়।
এই ভিডিও প্রদর্শনের পর প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের রাজাকারের নাতিপুতি বলে গালি দেন। তার ওই বক্তব্যের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাতে বিক্ষোভ করে।
তৃতীয় ভিডিওটি ১৪ জুলাই রাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের চিত্র। তাতে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন । চতুর্থ ভিডিও ১৫ জুলাই ঢাবিতে সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাসংক্রান্ত। এটি একটি গণমাধ্যমের ভিডিও প্রতিবেদন সংগ্রহ করা। পঞ্চম ভিডিও রংপুরে আবু সাঈদের হত্যাসংক্রান্ত। এতে দেখা যায় দুই হাত প্রসারিত করে গুলির মুখে দাঁড়ানো আবু সাঈদের সেই আইকনিক পোজ। ষষ্ঠ ভিডিওতে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের দৃশ্য দেখানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন এ সময় বলেন, ভিডিওতে গুলি করতে দেখা গেছে, এমন দৃশ্য এখানে দৃশ্যমান নয়।
এসময় ভিডিওটি পুনরায় প্লে করে গুলি করার দৃশ্য দেখানো হয়।
সপ্তম ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে এক পুলিশ একটি ভিডিও দেখান। তাতে দেখা যায়, ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘একটা গুলি করি, একটাই যায়, বাকিডি যায় না স্যার।’
পরের ভিডিওতে পুলিশ কর্তৃক যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি শিশুকে নির্যাতন ও গুলি করার দৃশ্য দেখানো হয়।
নবম ভিডিওতে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণের আহত হওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। তাতে দেখা যায়, আহত খোকনে চিৎকার করছেন।
এ পর্যায়ে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই খোকন হাসিনার বিরুদ্ধে এই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি ছিলেন ১ম সাক্ষী।
দশম ভিডিওিতে সাভারে পুলিশের এপিসি থেকে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ইয়ামিনকে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়।
পরের ভিডিওটি লাশ পোড়ানোসংক্রান্ত। আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে ছয়জন আন্দোলনকারীর লাশ পোড়ানোর দৃশ্য দেখানো হয় এই ভিডিওতে।
এ সময় প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই ছয়জনের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জীবিত ছিলেন। তাঁকে জীবিত অবস্থায় আগুনে পোড়ানো হয়। এমনভাবে পোড়ানো হয়, যাতে মনে হয় এই আগুন আন্দোলনকারীরাই দিয়েছেন।
তামিম বলেন, এখানে যে পুলিশরা আগুন দিয়েছে, তাঁরা এতটাই বর্বর ছিলেন যে জলন্ত পিকআপে একজন কাঠের টুকরা দিয়েছেন, আরেকজন পুলিশ তাঁর হাতে থাকা সিগারেটও আগুনে জ্বালানি হিসেবে দেন।
১২তম ভিডিওতে, চানখারপুলে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলির দৃশ্য দেখানো হয়। এখানে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ও এপিবিএনের কয়েকজন সদস্যকে শুয়ে, বসে যুদ্ধরত স্টাইলে হাঁটুগেড়ে শর্টগান, চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।
১৩তম ভিডিওতে রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে দুই পুলিশের গুলির দৃশ্য উঠে আসে। তামিম বলেন, তাঁকে আটটি গুলি করা হয়। তিনি বেঁচে আছেন। ওই মামলায় তিনি প্রসিকিউশনের একজন সাক্ষী।
১৪তম ভিডিওতে দুজন আন্দোলনকারী একটি গেটের কাছে লুকিয়ে ছিলেন। একজন আনসার সদস্য তাঁদের গুলি করেন, এমন দৃশ্য দেখা যায়।
১৫তম ভিডিওতে ফার্মগেট এলাকায় পুলিশের গুলির দৃশ্য দেখানা হয়। তাতে এপিসি থেকে গুলির দৃশ্য রয়েছে। তামিম বলেন, এতে গোলাম নাফিস নামে একজন মারা যান।
১৬তম ভিডিওটিতে হামলার শিকার ভবন পরিদর্শন শেষে হাসিনা বক্তব্য দিচ্ছেন।
১৭তম ভিডিওতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ দেখানো হয়। তাতে হাসিনা জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করছেন।
১৮তম ভিডিওতে বিদেশি সংস্থার ফরেনসিক বিশ্লেষণ করা ভিডিও দেখানো হয়। এর ব্যাপ্তি ১৪ মিনিট। ৪০০ ভিডিও একত্রিত করে সময়ের ধারাবাহিকতা অনুয়ায়ী এই ভিডিও তৈরি করা হয়। এতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৫ আগস্ট বেলা দুইটা থেকে বিকেল পর্যন্ত যে ম্যাসাকার হয়েছে, তার বিবরণ পাওয়া যায় ।
চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, এক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে। তিনি নাট্যকলা বিভাগের সভাপতির সঙ্গে তাঁর একটি ফোনকল রেকর্ডও সামনে এনেছেন। অবশ্য বিভাগের সভাপতি মীর মেহবুব আলমের দাবি, এই ফোনকল রেকর্ড প্রযুক্তির সাহায্যে বানানো।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা, নগরায়ন ও সংস্কৃতিতে সুফিদের অংশগ্রহণের আলাপকে জনপরিসরে হাজির করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও গবেষক তাহমিদাল জামি।
৩ ঘণ্টা আগেআগামী ডিসেম্বরে অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা 'স্থগিত' করেছে বাংলা একাডেমি।
৪ ঘণ্টা আগেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্যাকেজের ন্যূনতম খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা, আর সর্বোচ্চ খরচ পড়বে প্রায় ৭ লাখ টাকা।
৪ ঘণ্টা আগে