প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি
স্ট্রিম সংবাদদাতা

ডেমরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির কক্ষে হইচই করছিল শিক্ষার্থীরা। তাদের শান্ত করতে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন অভিভাবক মরিয়ম খাতুনকে। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে এই বিদ্যালয়ে পড়ে। মরিয়ম খাতুন বলেন, ‘শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন না। তাঁরা ক্লাসে যাচ্ছেন না। বাচ্চারা ক্লাসে হৈ-হুল্লোড় করছে। শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদেরই ক্লাসে যেতে হচ্ছে।’
একইভাবে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন মিতু আক্তার নামে আরেক অভিভাবক। তাঁর ছেলে পড়ে এই শ্রেণিতে। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার কেউ নেই। তাই প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে নিজেই পরীক্ষা নিয়ে দিচ্ছি।’ তৃতীয় শ্রেণিতে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতরণ ও পরিদর্শকের কাজ একাই করছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন।
অভিভাবকরা ও প্রধান শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তখন অফিসকক্ষে বসে অলস সময় পার করছিলেন চার সহকারী শিক্ষক। তিন দাবিতে চলা তাঁদের কর্মবিরতিতে এমন চিত্র দেখা গেছে ঢাকার ধামরাইয়ে অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ে।
একইভাবে ধামরাইয়ের কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, সহকারী শিক্ষকরা পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। কয়েকটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকই পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কোথাও কোথাও অভিভাবকদেরও পরীক্ষা নিতে দেখা গেছে। আবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দেখভালও করছেন তাঁরা।
ডেমরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে, তাই শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে একাই সব চালিয়ে যাচ্ছি।’
কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষকরা জানান, বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই অনুযায়ী আপাতত ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করার দাবি তাঁদের। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান শিক্ষকরা।
সহকারী শিক্ষিকা শামীমা আক্তার বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বঞ্চিত। অবিলম্বে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার দাবি জানাই।’
সুমাইয়া আক্তার নামে আরেক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘আমরা সারা বছর বাচ্চাদের পড়াই। কিন্তু আমরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছি না। তাই এই কর্মবিরতি। দ্রুত আমাদের দাবি না মানা হলে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
ধামরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোবাখখারুল ইসলাম মিজান বলেন, ‘আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে চেষ্টা করছি। কর্মবিরতির বিষয়েও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’

ডেমরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির কক্ষে হইচই করছিল শিক্ষার্থীরা। তাদের শান্ত করতে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন অভিভাবক মরিয়ম খাতুনকে। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে এই বিদ্যালয়ে পড়ে। মরিয়ম খাতুন বলেন, ‘শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন না। তাঁরা ক্লাসে যাচ্ছেন না। বাচ্চারা ক্লাসে হৈ-হুল্লোড় করছে। শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদেরই ক্লাসে যেতে হচ্ছে।’
একইভাবে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন মিতু আক্তার নামে আরেক অভিভাবক। তাঁর ছেলে পড়ে এই শ্রেণিতে। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার কেউ নেই। তাই প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে নিজেই পরীক্ষা নিয়ে দিচ্ছি।’ তৃতীয় শ্রেণিতে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতরণ ও পরিদর্শকের কাজ একাই করছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন।
অভিভাবকরা ও প্রধান শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তখন অফিসকক্ষে বসে অলস সময় পার করছিলেন চার সহকারী শিক্ষক। তিন দাবিতে চলা তাঁদের কর্মবিরতিতে এমন চিত্র দেখা গেছে ঢাকার ধামরাইয়ে অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ে।
একইভাবে ধামরাইয়ের কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, সহকারী শিক্ষকরা পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। কয়েকটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকই পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কোথাও কোথাও অভিভাবকদেরও পরীক্ষা নিতে দেখা গেছে। আবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দেখভালও করছেন তাঁরা।
ডেমরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে, তাই শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে একাই সব চালিয়ে যাচ্ছি।’
কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষকরা জানান, বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই অনুযায়ী আপাতত ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করার দাবি তাঁদের। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান শিক্ষকরা।
সহকারী শিক্ষিকা শামীমা আক্তার বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বঞ্চিত। অবিলম্বে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার দাবি জানাই।’
সুমাইয়া আক্তার নামে আরেক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘আমরা সারা বছর বাচ্চাদের পড়াই। কিন্তু আমরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছি না। তাই এই কর্মবিরতি। দ্রুত আমাদের দাবি না মানা হলে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
ধামরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোবাখখারুল ইসলাম মিজান বলেন, ‘আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে চেষ্টা করছি। কর্মবিরতির বিষয়েও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’

বিএনপির চেয়াপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তাঁর বয়স ৮০ বছর। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ বহু দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা রয়েছে তাঁর।
৩১ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সদরের একটি বিআরটিসি ডিপোতে থাকা বাসে মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যাতায়াত করা দুটি দ্বিতল বাস পুড়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ পালনে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনকে দেশের জন্য ‘শত বছরের ভিত্তি নির্মাণের’ সুযোগ উল্লেখ করে তিনি এ দায়িত্বকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চোখ খুলেছেন। তিনি সাড়াও দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে