সায়মা আলম

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেকটা জায়গাজুড়ে আছে দেশের ছাত্রসমাজ। ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, এরপর ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—সবই এসেছে এই ছাত্রসমাজের হাত ধরে। সাম্প্রতিক জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বও দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরাই। আদতে বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামেই তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল অনন্য। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলন বা ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ছিল নেতৃত্বদানকারী। সেই হিসেবে পরবর্তী সময়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় সংসদগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সরব থাকার কথা।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলেও সত্য, দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদগুলোতে গত ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর কোনো নির্বাচন হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ছাত্র সংসদে প্রতিবছর নির্বাচনের বিধান থাকলেও সুদীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চাকসু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (চাকসু) নির্বাচন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা এক অর্থে দারুণ ভাগ্যবান যে তাঁরা তাঁদের জীবনে এক চমৎকার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন, যা থেকে আমরা বা আমাদের মতো সাবেক শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বঞ্চিত হয়েছি।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, অভিনব প্রচারণা আর নানা রঙিন কৌশল বিদ্যায়তনটিকে পরিণত করেছে এক উৎসবমুখর প্রাঙ্গণে। হাতে লেখা প্রচারপত্র থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম নাটক, ভিডিও প্রচারণা—এসবই প্রমাণ করেছে, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিকে এখনও গুরুত্ব দেয়। শুধু তাই নয়, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ও বিশ্বাস রাখে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ থেকে ঝুঁপড়ি, কাটাপাহাড়ের পথ থেকে শাটল—সর্বত্রই গত কয়েকদিন ধরে প্রার্থীরা ছুটেছেন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যেমন হাত মেলাচ্ছেন, তেমনি শুনছেন তাঁদের চাওয়াগুলো। এক প্রার্থীর কাছে শুনলাম, তিনি গত তিন-চার বছর যার সঙ্গে কথা বলেননি, তাঁকেও অনুরোধ করছেন যেন তাঁর পক্ষে ভোট দেন। এভাবে প্রত্যেক প্রার্থী ২৭ হাজার ভোটারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন গেল কিছুদিন ধরে। নিজের অহম ও মতাদর্শ সরিয়ে রেখে সব মানুষের কাছে বিনীত অনুরোধ নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই আচরণ তাঁকে ভবিষ্যতে প্রতিটি মানুষকে সম্মান করতে, সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে শেখাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর হয়তো এভাবেই তৈরি হবে ভবিষ্যৎ যোগ্য নেতৃত্ব।
আবার গেল কিছুদিন ধরে ভোটারেরাও মহাউৎসাহে তাঁদের বন্ধু, ছোট বা বড় ভাইবোনদের উৎসাহ দিয়েছেন। চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসটি এখন উৎসব মুখর অবস্থা ধারন করেছে। এ যেন অভাবনীয় সম্মেলন, আজ ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে যার সমাপ্তি ঘটবে।
একটা অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় যে দেশের রাজনীতি কলুষিত হয়ে গেছে, তরুণেরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু এই নির্বাচন সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ধরে রেখে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চাকে নতুন উদ্যমে ফিরিয়ে এনেছে। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, এই প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণই এখন পর্যন্ত আমাদের বড় অর্জন।
আজকের তারুণ্য যদি নিয়মিতভাবে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, তবে তাঁরা শুধু ক্যাম্পাস নয়, ভবিষ্যতে দেশেরও সুস্থ বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হবে। চাকসুর নির্বাচন তাই আমাদের কাছে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পুনর্গঠনের বড় ভিত্তি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা চর্চা জারি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাকসু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন এবং বিভিন্ন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য এটা ইতিহাসে জায়গা নেওয়ারও এক বিশাল সুযোগ। তারা নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তাঁদের সম্মান ধরে রাখবেন বলে আমরা আশা করি।
গণতন্ত্র চর্চার জন্য ধারাবাহিকতা থাকা অপরিহার্য। তাই চাকসু নির্বাচনকে নিয়মিত করার জন্য ছাত্রসংগঠন ও নেতৃবৃন্দকে এই পথ উম্মুক্ত রাখতে হবে। পরিচয় দিতে হবে ধৈর্য আর উদারতার। ফলাফল নিজের পক্ষে না গেলেও মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।
সবশেষে ৩৫ বছর পর এই নির্বাচন ‘ব্যতিক্রমী ঘটনা’ হয়েই যেন থেকে না যায়, এটা রক্ষা করার দায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-ছাত্রনেতা সবার।
চাকসু নিছক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে না থেকে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার মঞ্চ হয়ে উঠুক। আমাদের এত দিনের দমিত তরুণেরা নিজের, সতীর্থদের, সর্বোপরি সাধারণের অধিকার রক্ষায় আওয়াজ তুলুক। সব আশঙ্কাকে পেছনে ফেলে নির্বাচনটি সার্বিকভাবে সফল হোক।
লেখক: শিক্ষক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেকটা জায়গাজুড়ে আছে দেশের ছাত্রসমাজ। ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, এরপর ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—সবই এসেছে এই ছাত্রসমাজের হাত ধরে। সাম্প্রতিক জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বও দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরাই। আদতে বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামেই তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল অনন্য। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলন বা ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ছিল নেতৃত্বদানকারী। সেই হিসেবে পরবর্তী সময়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় সংসদগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সরব থাকার কথা।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলেও সত্য, দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদগুলোতে গত ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর কোনো নির্বাচন হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ছাত্র সংসদে প্রতিবছর নির্বাচনের বিধান থাকলেও সুদীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চাকসু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (চাকসু) নির্বাচন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা এক অর্থে দারুণ ভাগ্যবান যে তাঁরা তাঁদের জীবনে এক চমৎকার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন, যা থেকে আমরা বা আমাদের মতো সাবেক শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বঞ্চিত হয়েছি।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, অভিনব প্রচারণা আর নানা রঙিন কৌশল বিদ্যায়তনটিকে পরিণত করেছে এক উৎসবমুখর প্রাঙ্গণে। হাতে লেখা প্রচারপত্র থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম নাটক, ভিডিও প্রচারণা—এসবই প্রমাণ করেছে, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিকে এখনও গুরুত্ব দেয়। শুধু তাই নয়, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ও বিশ্বাস রাখে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ থেকে ঝুঁপড়ি, কাটাপাহাড়ের পথ থেকে শাটল—সর্বত্রই গত কয়েকদিন ধরে প্রার্থীরা ছুটেছেন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যেমন হাত মেলাচ্ছেন, তেমনি শুনছেন তাঁদের চাওয়াগুলো। এক প্রার্থীর কাছে শুনলাম, তিনি গত তিন-চার বছর যার সঙ্গে কথা বলেননি, তাঁকেও অনুরোধ করছেন যেন তাঁর পক্ষে ভোট দেন। এভাবে প্রত্যেক প্রার্থী ২৭ হাজার ভোটারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন গেল কিছুদিন ধরে। নিজের অহম ও মতাদর্শ সরিয়ে রেখে সব মানুষের কাছে বিনীত অনুরোধ নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই আচরণ তাঁকে ভবিষ্যতে প্রতিটি মানুষকে সম্মান করতে, সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে শেখাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর হয়তো এভাবেই তৈরি হবে ভবিষ্যৎ যোগ্য নেতৃত্ব।
আবার গেল কিছুদিন ধরে ভোটারেরাও মহাউৎসাহে তাঁদের বন্ধু, ছোট বা বড় ভাইবোনদের উৎসাহ দিয়েছেন। চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসটি এখন উৎসব মুখর অবস্থা ধারন করেছে। এ যেন অভাবনীয় সম্মেলন, আজ ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে যার সমাপ্তি ঘটবে।
একটা অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় যে দেশের রাজনীতি কলুষিত হয়ে গেছে, তরুণেরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু এই নির্বাচন সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ধরে রেখে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চাকে নতুন উদ্যমে ফিরিয়ে এনেছে। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, এই প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণই এখন পর্যন্ত আমাদের বড় অর্জন।
আজকের তারুণ্য যদি নিয়মিতভাবে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, তবে তাঁরা শুধু ক্যাম্পাস নয়, ভবিষ্যতে দেশেরও সুস্থ বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হবে। চাকসুর নির্বাচন তাই আমাদের কাছে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পুনর্গঠনের বড় ভিত্তি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা চর্চা জারি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাকসু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন এবং বিভিন্ন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য এটা ইতিহাসে জায়গা নেওয়ারও এক বিশাল সুযোগ। তারা নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তাঁদের সম্মান ধরে রাখবেন বলে আমরা আশা করি।
গণতন্ত্র চর্চার জন্য ধারাবাহিকতা থাকা অপরিহার্য। তাই চাকসু নির্বাচনকে নিয়মিত করার জন্য ছাত্রসংগঠন ও নেতৃবৃন্দকে এই পথ উম্মুক্ত রাখতে হবে। পরিচয় দিতে হবে ধৈর্য আর উদারতার। ফলাফল নিজের পক্ষে না গেলেও মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।
সবশেষে ৩৫ বছর পর এই নির্বাচন ‘ব্যতিক্রমী ঘটনা’ হয়েই যেন থেকে না যায়, এটা রক্ষা করার দায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-ছাত্রনেতা সবার।
চাকসু নিছক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে না থেকে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার মঞ্চ হয়ে উঠুক। আমাদের এত দিনের দমিত তরুণেরা নিজের, সতীর্থদের, সর্বোপরি সাধারণের অধিকার রক্ষায় আওয়াজ তুলুক। সব আশঙ্কাকে পেছনে ফেলে নির্বাচনটি সার্বিকভাবে সফল হোক।
লেখক: শিক্ষক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আজ এক অভূতপূর্ব রূপান্তরের পথে। প্রযুক্তির ঝড়ো স্রোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই হয়ে উঠেছে পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। সংসদে ২০২৪ সালে পাস হওয়া পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ডিজিটাল ব্যাংক গাইডলাইন ব্যাংকিং খাতকে নতুন কাঠামোয় বেঁধে দিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গণতন্ত্রের পথে তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম, অবিচল মনোভাব, আপসহীন নেতৃত্ব এবং জনগণের প্রতি অকৃত্রিম দায়বদ্ধতা তাঁকে একজন পার্টি লিডার থেকে ‘ন্যাশনাল লিডার’ বা জাতীয় নেতায় রূপান্তরিত করেছে। তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার এক কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি সংকটের মুহূর্তে রাজনীতিকে নতুন পথ দেখিয়েছেন।
২ দিন আগে
বর্তমান অর্থনীতির অবস্থাকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। প্রথমটি হলো সামষ্টিক স্থিতিশীলতা, যা ৫ আগস্টের আগে বেশ কয়েক বছর ধরেই একটি সংকটের মধ্যে ছিল। দ্বিতীয়টি হলো অর্থনীতির সার্বিক কর্মচাঞ্চল্য বা গতিশীলতা।
২ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিনের অলিগার্কি বা মুষ্টিমেয় লোকের আধিপত্য ভাঙা হয়েছে। আগে দেখা যেত ব্যাংকের মালিক, শিল্পপতি, সংসদ সদস্য এবং গণমাধ্যমের মালিক—সবাই মূলত একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। এই সিন্ডিকেটের অনেকেই এখন পলাতক।
৪ দিন আগে