রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা
আ-আল মামুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো শুধু একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বা পোষ্য কোটা নিয়ে আন্দোলনের ফল নয়—এটি দীর্ঘদিনের জমে থাকা অসন্তোষ, দায়িত্বহীনতা ও নীতিহীন রাজনীতির এক বিপজ্জনক পরিণতি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে সম্পর্ককে আমরা সবসময় সম্মান ও জ্ঞানের আদর্শ বলে মানি, সেখানে হঠাৎ করে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি, এমনকি শারীরিক আক্রমণের মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করছে, আমাদের উচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে।
একটা সময়ে পোষ্য কোটার ন্যায্যতা ছিল, যখন যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব দুর্বল ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও ছিলো সীমিত। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য পোষ্য কোটার একটা যৌক্তিকতা ছিল।
আমরা দেখেছি, পোষ্য কোটার অনেক অপব্যবহারও হয়েছে। গত দুই আড়াই দশকের অভিজ্ঞতা থেকে এ কথা বলতে পারি। উপরন্তু, যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি, আশেপাশেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে পোষ্য কোটার আর ন্যায্যতা নেই—অন্তত শিক্ষক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য।
তবে একটা কথা থেকেই যায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা যেহেতু কম সচ্ছল, উপযুক্ত পরিবেশ পান না, তাঁদের সন্তানদের জন্য ১/২ শতাংশ বা আলাপসাপেক্ষে কিছু কোটা রাখা যেতে পারে।
২০২৪ সালে যখন পোষ্য কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হলো, তখনই আমি এই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এই প্রস্তাব হয়তো সমঝোতা করে একটা সুরাহা করতে পারতাম আমরা! শিক্ষার্থীরা যে এ বাস্তবতা বুঝত না, আমার তা মনে হয় না।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, কোটার ন্যায্যতা বিধান। কিন্তু শেখ হাসিনা আন্দোলনের মুখে দেমাগ দেখিয়ে ২০১৮ সালে সব কোটা বাতিল করে দিয়েছিলেন, আবার ২০২৪ সালে সব কোটা বহাল করেছিলেন। পরিণতি তো আমরা সবাই জানি!
সেইভাবে, ত্যানা অনেক পেঁচিয়ে আজ যেখানে এসে আমরা পৌঁছালাম, যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে ধস্তাধস্তি করতে দেখলাম, তা খুব লজ্জার। এ রকম ঘটনা আমি আগে দেখিনি আমার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে।
আসলে এই সহিংসতার শিকড় আজকের নয়। শেখ হাসিনার পতনের পর যেভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দেওয়া হয়েছে, সেটিই ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নাছোড়বান্দা মনোভাব গড়ে তুলেছে। ফলস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শৃঙ্খলা ভেঙে গিয়ে একধরনের ‘মব কালচার’ তৈরি হয়েছে। সেগুলো এখন প্রকাশ্য সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে।
পোষ্য কোটা বিতর্ককে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন, তা-ও একটি বড় সংকেত। আবার বলি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য চালু হওয়া এই কোটা একসময় ছিল যৌক্তিক। সীমিতসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় থাকায়, দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আর্থিক ও সামাজিক দুর্বলতা বিবেচনায় এই সুযোগটি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবতা বদলেছে। এখন শিক্ষক ও প্রথম শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এ ধরনের সুবিধার ন্যায্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য সীমিত (১-২ শতাংশ) কোটা রাখা যেতে পারে। অন্যান্য শ্রেণির জন্য কোটা বাতিল করাই যৌক্তিক।
দুর্ভাগ্যজনক হলো, প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা এই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ছাত্রদের চাপে পুরো কোটা বাতিল করে পরে আবার তা ফিরিয়ে আনার মতো দ্বৈত নীতিই শিক্ষক ও কর্মচারীদের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
আগেই বলেছি, শেখ হাসিনা সরকারের সময়কার কোটা সংস্কারের ঘটনাও একই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি। যুক্তিসংগত ও পরিমিত সংস্কারের বদলে হঠাৎ করে সবকিছু বাতিল করা, আবার আন্দোলনের মুখে তা পুনর্বহাল করা—এটি অপরিণত ও দুর্বল প্রশাসনিক মানসিকতার প্রমাণ।
এই সংকট কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নয়, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বিপজ্জনক প্রবণতার প্রতিফলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়—সবখানেই সাম্প্রতিক সময়ে মব সংস্কৃতি, উসকানি ও সহিংসতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেভাবে শারীরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন, তা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ ইঙ্গিত দেয়।
এই বাস্তবতায় এখন জরুরি হলো, এই সহিংসতার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া–তা শিক্ষার্থী হোক বা শিক্ষক। শুধু শিক্ষার্থীদের দোষারোপ করে দায় ঝেড়ে ফেলা যাবে না। একই সঙ্গে কোটা বিষয়ে যুক্তিসংগত সমাধান নিয়ে এগোতে হবে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য সীমিত কোটা রেখে বাকি অংশ বাতিল করাই হতে পারে একটি ন্যায্য সমাধান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাব শিক্ষাঙ্গনকে কীভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এখনই যুক্তিনিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু জ্ঞানের আলোকবর্তিকা নয়, অরাজকতার দুর্গে পরিণত হবে। এই সংকটের দায় শিক্ষাপ্রশাসন থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরের। সমাধানও আসতে হবে সবার সম্মিলিত উদ্যোগে—যেখানে নীতি ও ন্যায়বোধই হবে একমাত্র পথনির্দেশক।
লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো শুধু একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বা পোষ্য কোটা নিয়ে আন্দোলনের ফল নয়—এটি দীর্ঘদিনের জমে থাকা অসন্তোষ, দায়িত্বহীনতা ও নীতিহীন রাজনীতির এক বিপজ্জনক পরিণতি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে সম্পর্ককে আমরা সবসময় সম্মান ও জ্ঞানের আদর্শ বলে মানি, সেখানে হঠাৎ করে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি, এমনকি শারীরিক আক্রমণের মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করছে, আমাদের উচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে।
একটা সময়ে পোষ্য কোটার ন্যায্যতা ছিল, যখন যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব দুর্বল ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও ছিলো সীমিত। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য পোষ্য কোটার একটা যৌক্তিকতা ছিল।
আমরা দেখেছি, পোষ্য কোটার অনেক অপব্যবহারও হয়েছে। গত দুই আড়াই দশকের অভিজ্ঞতা থেকে এ কথা বলতে পারি। উপরন্তু, যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি, আশেপাশেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে পোষ্য কোটার আর ন্যায্যতা নেই—অন্তত শিক্ষক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য।
তবে একটা কথা থেকেই যায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা যেহেতু কম সচ্ছল, উপযুক্ত পরিবেশ পান না, তাঁদের সন্তানদের জন্য ১/২ শতাংশ বা আলাপসাপেক্ষে কিছু কোটা রাখা যেতে পারে।
২০২৪ সালে যখন পোষ্য কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হলো, তখনই আমি এই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এই প্রস্তাব হয়তো সমঝোতা করে একটা সুরাহা করতে পারতাম আমরা! শিক্ষার্থীরা যে এ বাস্তবতা বুঝত না, আমার তা মনে হয় না।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, কোটার ন্যায্যতা বিধান। কিন্তু শেখ হাসিনা আন্দোলনের মুখে দেমাগ দেখিয়ে ২০১৮ সালে সব কোটা বাতিল করে দিয়েছিলেন, আবার ২০২৪ সালে সব কোটা বহাল করেছিলেন। পরিণতি তো আমরা সবাই জানি!
সেইভাবে, ত্যানা অনেক পেঁচিয়ে আজ যেখানে এসে আমরা পৌঁছালাম, যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে ধস্তাধস্তি করতে দেখলাম, তা খুব লজ্জার। এ রকম ঘটনা আমি আগে দেখিনি আমার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে।
আসলে এই সহিংসতার শিকড় আজকের নয়। শেখ হাসিনার পতনের পর যেভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দেওয়া হয়েছে, সেটিই ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নাছোড়বান্দা মনোভাব গড়ে তুলেছে। ফলস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শৃঙ্খলা ভেঙে গিয়ে একধরনের ‘মব কালচার’ তৈরি হয়েছে। সেগুলো এখন প্রকাশ্য সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে।
পোষ্য কোটা বিতর্ককে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন, তা-ও একটি বড় সংকেত। আবার বলি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য চালু হওয়া এই কোটা একসময় ছিল যৌক্তিক। সীমিতসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় থাকায়, দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আর্থিক ও সামাজিক দুর্বলতা বিবেচনায় এই সুযোগটি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবতা বদলেছে। এখন শিক্ষক ও প্রথম শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এ ধরনের সুবিধার ন্যায্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য সীমিত (১-২ শতাংশ) কোটা রাখা যেতে পারে। অন্যান্য শ্রেণির জন্য কোটা বাতিল করাই যৌক্তিক।
দুর্ভাগ্যজনক হলো, প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা এই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ছাত্রদের চাপে পুরো কোটা বাতিল করে পরে আবার তা ফিরিয়ে আনার মতো দ্বৈত নীতিই শিক্ষক ও কর্মচারীদের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
আগেই বলেছি, শেখ হাসিনা সরকারের সময়কার কোটা সংস্কারের ঘটনাও একই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি। যুক্তিসংগত ও পরিমিত সংস্কারের বদলে হঠাৎ করে সবকিছু বাতিল করা, আবার আন্দোলনের মুখে তা পুনর্বহাল করা—এটি অপরিণত ও দুর্বল প্রশাসনিক মানসিকতার প্রমাণ।
এই সংকট কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নয়, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বিপজ্জনক প্রবণতার প্রতিফলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়—সবখানেই সাম্প্রতিক সময়ে মব সংস্কৃতি, উসকানি ও সহিংসতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেভাবে শারীরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন, তা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ ইঙ্গিত দেয়।
এই বাস্তবতায় এখন জরুরি হলো, এই সহিংসতার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া–তা শিক্ষার্থী হোক বা শিক্ষক। শুধু শিক্ষার্থীদের দোষারোপ করে দায় ঝেড়ে ফেলা যাবে না। একই সঙ্গে কোটা বিষয়ে যুক্তিসংগত সমাধান নিয়ে এগোতে হবে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য সীমিত কোটা রেখে বাকি অংশ বাতিল করাই হতে পারে একটি ন্যায্য সমাধান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাব শিক্ষাঙ্গনকে কীভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এখনই যুক্তিনিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু জ্ঞানের আলোকবর্তিকা নয়, অরাজকতার দুর্গে পরিণত হবে। এই সংকটের দায় শিক্ষাপ্রশাসন থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরের। সমাধানও আসতে হবে সবার সম্মিলিত উদ্যোগে—যেখানে নীতি ও ন্যায়বোধই হবে একমাত্র পথনির্দেশক।
লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক।
জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তি দিবস (২১ সেপ্টেম্বর) কথা শুনলে মানুষের মনে এমন ক্ষোভ ও ব্যঙ্গ জাগতেই পারে যে, এসব দিবস দিয়ে আর কী আসে যায়, যেখানে যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই দেশবিদেশ নির্বিশেষে কেবল নিরন্তর যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও সংঘর্ষের খবর। সঙ্গে সঙ্গে এমন হতাশাও তৈরি হয় যে বাংলাদেশেও শান্তি বলে কিছু নেই!
৩ ঘণ্টা আগেভবিষ্যতের দিকে তাকালে বৈশ্বিক গতিপথ দ্বিমুখী অথচ আন্তঃনির্ভরশীল ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও সামরিক ক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকবে, কিন্তু তাদের প্রাধান্যকে চ্যালেঞ্জ জানাবে একাধিক উন্নয়নশীল দেশের ঐক্য। বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করার কারণে এই বৈধতা অর্জন
৯ ঘণ্টা আগেরাহুলের অভিযোগ, ভিন্ন রাজ্যে বসে কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত উপায়ে কংগ্রেসপন্থী, দলিত-আদিবাসী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কর্ণাটকের আলন্দ কেন্দ্রে ছয় হাজারেরও বেশি নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল বলে অভিযোগ। রাহুল গান্ধীর মতে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া আসলে নিতান্তই এ
২ দিন আগেবাংলাদেশের বাস্তবতায় দেখা যায়, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি প্রধানত মন্ত্রণালয়নির্ভর এবং তা সংসদীয় কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বড় ব্যবসায়ী সংগঠন ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা প্রভাব বিস্তার করলেও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, সাধারণ নাগরিক, নারী বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মতামত প্রায় অনুপস্থিত থাকে।
২ দিন আগে