leadT1ad

টিউলিপ কেন গোপনে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট রাখলেন

বাংলাদেশে টিউলিপের মা শেখ রেহানার প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তাই এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির মালিকানার বিষয়। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ নেওয়াও লক্ষ্য থাকতে পারে।

মাহবুবুল আলম তারেক
ঢাকা
টিউলিপ সিদ্দিক ১৯৮২ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। স্ট্রিম গ্রাফিক

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী। ব্রিটিশ রাজনীতির রীতি অনুযায়ী সেদেশের মন্ত্রী হওয়ার পর দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ, যদিও আইনগতভাবে অবৈধ নয়। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে—ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি গোপনে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রেখেছিলেন? এর পেছনে ঠিক কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে?

টিউলিপ সিদ্দিক ১৯৮২ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা শেখ রেহানা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন। ২০১৫ সালে তিনি ব্রিটিশ রাজনীতিতে যোগ দেন। মন্ত্রী হন ২০২৪ সালে। যদিও পরে বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদত্যাগ করেন। টিউলিপ বরাবরের মতোই দাবি করেছেন, তিনি কেবল ব্রিটিশ নাগরিক। তবে সম্প্রতি প্রথম আলো ও যুক্তরাজ্যের দ্য টাইমস–এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, তাঁর কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পাসপোর্ট এবং দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময়ের আয়কর রিটার্ন জমাদানের প্রমাণ রয়েছে।

দুর্নীতি ও সম্পত্তি বিতর্ক

প্রশ্ন উঠছে, ব্রিটিশ রাজনীতিতে প্রবেশের পরও তিনি কেন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট রেখেছেন। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি মালিকানা। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থাকলে পারিবারিক সম্পত্তি, বিশেষ করে শেখ রেহানার নামে থাকা বিপুল সম্পদের ভাগ পাওয়া সহজ হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সুবিধা নেওয়াটাও উদ্দেশ্য হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে আলোচনায় আসে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে। অভিযোগ, তিনি খালা শেখ হাসিনার প্রভাব ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দ এবং গুলশানে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, যা একটি হাউজিং কোম্পানির কাছ থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে পাওয়া বলে অভিযোগ আছে।

সম্প্রতি জানা গেছে, তাঁর কাছে বাংলাদেশের এনআইডি ও পাসপোর্ট রয়েছে। এমনকি তিনি ২০০৫–০৬ অর্থবছর থেকে অন্তত ২০১৫–১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আয়কর রিটার্নও জমা দিয়েছেন। সেখানে ‘ব্যবসা/পেশা’ থেকে আয় দেখানো হয়। একবার মাছ-সম্পর্কিত ব্যবসার কথাও উল্লেখ করা হয়। প্রতি বছর নিয়মিত কর দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি পারিবারিক ঠিকানা ব্যবহার করেছেন ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং গুলশানে তার বাবার ফ্ল্যাট।

২০০১ সালে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে তাঁর নামে একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। ২০১১ সালে ঢাকা থেকে সেই পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়। একই বছরে তাঁর নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু হয়। সেখানে তাকে ধানমন্ডির ভোটার হিসেবে দেখানো হয়। পেশা লেখা হয় ‘প্রাইভেট জব’। জন্মস্থান হিসেবে ঢাকা উল্লেখ করা হয়, যদিও তিনি জন্মগ্রহণ করেন লন্ডনে ।

দ্বৈত নাগরিকত্ব গোপন করা নিয়ে অভিযোগের জেরে টিউলিপ মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ছবি: সংগৃহীত।
দ্বৈত নাগরিকত্ব গোপন করা নিয়ে অভিযোগের জেরে টিউলিপ মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ছবি: সংগৃহীত।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এসব অভিযোগের মুখে তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রিপদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি অভিযোগগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ বলে দাবি করেন। তার আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড জানায়, টিউলিপ শৈশবের পর আর কোনো বাংলাদেশি নথি ব্যবহার করেননি। তারা দাবি করে, সাম্প্রতিক প্রমাণগুলো ‘জাল’ এবং তাকে হেয় করার প্রচারণার অংশ।

আইনগত ও নৈতিক প্রশ্ন

বাংলাদেশের ১৯৫১ সালের নাগরিকত্ব আইন (১৯৭৮ ও ২০০৯ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্ব বৈধ। যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ আইনগতভাবে টিউলিপ উভয় নাগরিকত্ব রাখতে পারতেন। তবে তিনি বারবার তা অস্বীকার করেছেন। এতে যুক্তরাজ্যে নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, যুক্তরাজ্যে এমপি-মন্ত্রীদের সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাত প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। ব্রিটেনে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিষিদ্ধ নয়। তবে সেখানে স্বচ্ছতা অপরিহার্য।

ফলে এটি রাজনৈতিকভাবে এবং জনসাধারণের কাছে বিতর্কের বিষয় হতে পারে। বিশেষ করে, যদি কোনো ব্রিটিশ মন্ত্রী অন্য দেশের নাগরিকত্ব রাখেন এবং সেই দেশের সঙ্গে তার আর্থিক বা ব্যক্তিগত সংযোগ থাকে, তবে এটি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহির প্রশ্ন হয়ে ওঠে। যুক্তরাজ্যে এই ঘটনা লেবার পার্টি এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিরোধী দল এই ঘটনাকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহির বিষয়ে স্টারমারের নেতৃত্বের সমালোচনার জন্য ব্যবহার করছে।

সম্পত্তি আইন ও উত্তরাধিকার

টিউলিপের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রাখার একটি বড় কারণ হতে পারে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি নাগরিক বা যারা নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, তাদের ভূমি বা স্থাবর সম্পত্তি মালিকানা ও উত্তরাধিকার পেতে জটিলতা হয়। বাংলাদেশের সম্পত্তি আইন তথা ১৮৮২ সালের ট্রান্সফার অব প্রপার্টি অ্যাক্ট এবং ১৯৪৭ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, বিদেশিরা সরকারি অনুমতি ছাড়া কৃষিজমি বা কিছু বিশেষ সম্পত্তি কিনতে পারেন না। তার জন্য অনুমতি নিতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে।

বিদেশিরা উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি পেতে পারেন। তবে উত্তরাধিকার প্রমাণ, উচ্চ হারে কর বা ফি, এবং আদালতের জটিলতা মোকাবিলা করতে হয়। মুসলিম পরিবারে উত্তরাধিকার সাকসেশন অ্যাক্ট ১৯২৫ ও ইসলামি আইনের ভিত্তিতে ভাগ হয়। অন্যদিকে, দ্বৈত নাগরিকদের স্থানীয় নাগরিক হিসেবে ধরা হয়। ফলে তাদের জন্য সম্পত্তি হস্তান্তর, নিবন্ধন ও কর দেওয়া সহজ হয়।

টিউলিপ সিদ্দিকের মা শেখ রেহানা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য পরিমান সম্পত্তির মালিক। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি ও গুলশানের বাড়ি।

টিউলিপ ও তার ভাই-বোন। ছবি: সংগৃহীত।
টিউলিপ ও তার ভাই-বোন। ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি বাংলা স্ট্রিমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে (২০২৪–২৫) বলা হয়েছে, শেখ রেহানার একাধিক জমি ও প্লট আছে। এর কিছু হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল, যা বিতর্কিত পরিস্থিতিতে ঘটেছে বলে অভিযোগ আছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার ক্ষমতাকালে রেহানা কমদামে জমি কিনেছেন বা দখল নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্ট–এর অপব্যবহার করে অনেক সংখ্যালঘুর সম্পত্তি এই প্রক্রিয়ায় হাতবদল হয়েছে। এসব সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য কোটি কোটি টাকা। রেহানার কন্যা হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিক, তার বোন আজমিনা ও ভাই রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এসব সম্পত্তির উত্তরাধিকারী।

টিউলিপ নিজেও গুলশানে ২ হাজার ৪৩৬ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০১–০২ সালে রাজউক অনুমোদনের প্রভাব খাটিয়ে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মাধ্যমে এটি হস্তগত হয়। ২০১৬ সালে তিনি সেটি বোনের নামে ‘হিবা’ দলিলের মাধ্যমে দেন। দুদক বলছে, দলিলটি জাল এবং মালিকানা গোপন করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। নাগরিকত্ব থাকলে এমন সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। বিদেশিদের ক্ষেত্রে বিক্রয় থেকে পাওয়া অর্থ দেশে ফেরত পাঠানোতেও (ফেমা বিধিমালা অনুযায়ী) সীমাবদ্ধতা আছে। 

টিউলিপের আয়কর রিটার্নে দেখা যায়, বাংলাদেশে তিনি আর্থিক উপস্থিতি বজায় রেখেছিলেন। প্রবাসীদের স্থানীয় আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত উৎসে কর দিতে হয়। কিন্তু নাগরিকরা বিভিন্ন ছাড় পান। ফলে নাগরিকত্ব ধরে রাখলে সম্পত্তির আয়, ভাড়া বা মূল্যের বৃদ্ধি থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত হয়।

রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক

রাজনৈতিক দিক থেকেও শেখ হাসিনার শাসনামলে (২০০৯–২০২৪) নাগরিকত্ব টিউলিপের জন্য সুবিধা ও সুরক্ষা এনে দিতে পারত। কিন্তু ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর, এখন নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে তা দোষ স্বীকার করার মতো মনে হতে পারে।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাজ্যে এ বিতর্ক লেবার পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিরোধীদল নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের প্রকাশ্য ঘোষণাগুলো নিয়ে তদন্ত দাবি করেছে।

বাংলাদেশে বিষয়টি দেখা হচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে। এটি ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ঘনিষ্ঠ নেটওয়ার্কে থাকা লোকজনের সম্পদ যাচাইয়ের সঙ্গে যুক্ত। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ইফতেখারুজ্জামান টিউলিপের অস্বীকারোক্তিকে বলেছেন ‘তদন্ত এড়ানোর জন্য মিথ্যা দাবি।’

বিশেষজ্ঞ মতামত

টিউলিপ সিদ্দিকের পরিস্থিতি প্রবাসী রাজনীতিকদের জন্য একটি নৈতিক সংকটকে সামনে এনেছে। সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত তার নামে বাংলাদেশে মামলাগুলো চলমান। যুক্তরাজ্যেও তদন্ত শুরু হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং আইন বিশেষজ্ঞ ড. কাজী জাহেদ ইকবাল বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের এমপি-মন্ত্রী হয়েও গোপনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব রেখেছেন, যা সেই দেশের আইনে অবৈধ না হলেও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তার এই নাগরিকত্ব রাখার পেছনে বাংলাদেশে থাকা পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার ধরে রাখার পাশাপাশি কোনও অনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি ধনকুবের আব্দুল করিমসহ একাধিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’

ভবিষ্যতের জন্য…

টিউলিপ সিদ্দিকের নাগরিকত্ব বিতর্ক শুধু একটি ব্যক্তিকে ঘিরে নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানদণ্ড নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। আইনগতভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা বৈধ হলেও, এ নিয়ে বারবার অস্বীকার জনআস্থাকে নাড়া দিয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

এই ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে ভবিষ্যতে প্রবাসী রাজনীতিকদের জন্য আরও স্পষ্ট নীতি প্রয়োজন। যেমন—জনগুরুত্বপূর্ণ যেকোনো ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধিকে তাদের নাগরিকত্ব, বিদেশি পাসপোর্ট এবং সম্পদের ঘোষণা বাধ্যতামূলক করা। সেই সঙ্গে বিদেশি আর্থিক লেনদেন ও সম্পত্তি মালিকানার জন্য নিবন্ধন ব্যবস্থা ও বার্ষিক অডিট চালু করাও বিবেচনার দাবি রাখে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন দ্বৈত নাগরিকদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিয়ে নৈতিক ও সাংবিধানিক নির্দেশিকা স্পষ্ট করা।

এমন নীতি ও কাঠামো প্রবাসী রাজনীতিকদের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং ভবিষ্যতে জনবিশ্বাস রক্ষায় সহায়ক হবে। টিউলিপ বিতর্ক আমাদের মনে করিয়ে দেয়—আইন মানা যথেষ্ট নয়, জনআস্থা রক্ষা করতে রাজনৈতিক নৈতিকতাও সমান জরুরি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত