স্ট্রিম সংবাদদাতা
অবশেষে ভাঙছে অচলায়তন। দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে প্রাচীন ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান পাবনা মানসিক হাসপাতালে শুরু হচ্ছে বিশ্বমানের আধুনিক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও ১ হাজার ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ। একনেকে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সংকট, সীমাবদ্ধতা ও অবহেলার গ্লানি কাটিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাবনা মানসিক হাসপাতালটি অবকাঠামোগত সংস্কার ও শয্যা বৃদ্ধির কয়েকটি ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। মান্ধাতা আমলের ২৫০ শয্যার কাঠামোয় জনবল সংকট ও অপ্রতুল অর্থ বরাদ্দের কারণে হাসপাতালটি ধুঁকে ধুঁকে চলছিল। এবার সেই ইতিহাস বদলাতে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের মানসিক স্বাস্থ্য খাতে যুক্ত হবে একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় ছয়তলাবিশিষ্ট বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ ভবন, ছয়তলাবিশিষ্ট ওয়ার্ড কমপ্লেক্স, একটি একাডেমিক ভবন, সাততলাবিশিষ্ট অ্যাটেনডেন্ট হোস্টেল, চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য আটতলাবিশিষ্ট চারটি ভবন, স্নাতকোত্তর ছাত্র ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ছয়তলাবিশিষ্ট নারী ও পুরুষ হোস্টেল, আটতলাবিশিষ্ট দুটি ডক্টরস ও নার্সেস ডরমিটরি এবং পাঁচতলাবিশিষ্ট মাল্টিফাংশনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিদ্যালয় এবং একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য কয়েক দফায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও ফেরত দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ১ হাজার ৪৬০ কোটি টাকার ব্যয় ধরে প্রকল্পটি পুনরায় পাঠানো হয়, কিন্তু তাতেও অনুমোদন মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় বিরাট পরিবর্তন আসবে। নতুন চিকিৎসক তৈরির সুযোগও সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি স্টাডি, ডিপিপি তৈরি এবং পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণ সমাধানে কিছুটা সময় লেগেছে। পাশাপাশি অবকাঠামোর সঙ্গে দক্ষ জনবল নিয়োগের বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে।’
বর্তমানে হাসপাতালের অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। বিদ্যমান ২৫০ শয্যার মধ্যে প্রায় ৩০০টি রাখা হবে এবং নতুনভাবে আরও ৭০০ শয্যা যুক্ত হবে। এখানে চিকিৎসকরা ভবিষ্যতে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করার সুযোগও পাবেন।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাফকাত ওয়াহিদ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা মানসিক রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছি। চিকিৎসক, জনবল, বরাদ্দ ও অবকাঠামোর সংকটে অনেক সময় রোগীদের শতভাগ সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সদ্য একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সেই অভাব পূরণ হবে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মিলবে। তখন আমরা সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক মানের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারব।’
ডা. ওয়াহিদের ভাষায়, ‘এটি শুধু পাবনার নয়, গোটা দেশের মানসিক স্বাস্থ্য খাতের জন্যই এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
অবশেষে ভাঙছে অচলায়তন। দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে প্রাচীন ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান পাবনা মানসিক হাসপাতালে শুরু হচ্ছে বিশ্বমানের আধুনিক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও ১ হাজার ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ। একনেকে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সংকট, সীমাবদ্ধতা ও অবহেলার গ্লানি কাটিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাবনা মানসিক হাসপাতালটি অবকাঠামোগত সংস্কার ও শয্যা বৃদ্ধির কয়েকটি ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। মান্ধাতা আমলের ২৫০ শয্যার কাঠামোয় জনবল সংকট ও অপ্রতুল অর্থ বরাদ্দের কারণে হাসপাতালটি ধুঁকে ধুঁকে চলছিল। এবার সেই ইতিহাস বদলাতে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের মানসিক স্বাস্থ্য খাতে যুক্ত হবে একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় ছয়তলাবিশিষ্ট বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ ভবন, ছয়তলাবিশিষ্ট ওয়ার্ড কমপ্লেক্স, একটি একাডেমিক ভবন, সাততলাবিশিষ্ট অ্যাটেনডেন্ট হোস্টেল, চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য আটতলাবিশিষ্ট চারটি ভবন, স্নাতকোত্তর ছাত্র ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ছয়তলাবিশিষ্ট নারী ও পুরুষ হোস্টেল, আটতলাবিশিষ্ট দুটি ডক্টরস ও নার্সেস ডরমিটরি এবং পাঁচতলাবিশিষ্ট মাল্টিফাংশনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিদ্যালয় এবং একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য কয়েক দফায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও ফেরত দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ১ হাজার ৪৬০ কোটি টাকার ব্যয় ধরে প্রকল্পটি পুনরায় পাঠানো হয়, কিন্তু তাতেও অনুমোদন মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় বিরাট পরিবর্তন আসবে। নতুন চিকিৎসক তৈরির সুযোগও সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি স্টাডি, ডিপিপি তৈরি এবং পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণ সমাধানে কিছুটা সময় লেগেছে। পাশাপাশি অবকাঠামোর সঙ্গে দক্ষ জনবল নিয়োগের বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে।’
বর্তমানে হাসপাতালের অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। বিদ্যমান ২৫০ শয্যার মধ্যে প্রায় ৩০০টি রাখা হবে এবং নতুনভাবে আরও ৭০০ শয্যা যুক্ত হবে। এখানে চিকিৎসকরা ভবিষ্যতে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করার সুযোগও পাবেন।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাফকাত ওয়াহিদ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা মানসিক রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছি। চিকিৎসক, জনবল, বরাদ্দ ও অবকাঠামোর সংকটে অনেক সময় রোগীদের শতভাগ সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সদ্য একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সেই অভাব পূরণ হবে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মিলবে। তখন আমরা সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক মানের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারব।’
ডা. ওয়াহিদের ভাষায়, ‘এটি শুধু পাবনার নয়, গোটা দেশের মানসিক স্বাস্থ্য খাতের জন্যই এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ব্যাংক ও সমমনা প্রতিষ্ঠানের কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব না দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ৩৬ দফার একটি প্রস্তাবনা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে আলোচনায় এমন দাবি জানিয়েছে দলটি।
১৯ মিনিট আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর।
২৭ মিনিট আগেগুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষা বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে পারে আগামী বছরের ২৭ মার্চ। ওইদিন বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসারা দেশে ১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান চলবে।
২ ঘণ্টা আগে