স্ট্রিম প্রতিবেদক
নির্বাচন যাতে সঠিক সময়ে হতে না পারে—দেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সেই চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার ধারাবাহিকতায়ই আমরা দেশে সংস্কার করতে যাচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘শহীদ জিয়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমরা এমন এক সময় পার করছি, যখন দেশে নেই অর্থনীতি, নেই রাজনীতি। গত ১৫ বছর ধরে একটি ফ্যাসিস্ট দানব সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। গেল এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় আমরা একটি জায়গায় আসার চেষ্টা করছি, যাতে একটি নির্বাচন করা যায়।’
‘কোনো দল বা ব্যক্তিকে দোষারোপ করতে চাই না, কিন্তু হতাশার বিষয় হলো—নির্বাচন যাতে পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যাতে সঠিক সময়ে না হতে পারে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সেই চেষ্টা করছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না,’—যোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।
দেশের বর্তমান অবস্থা কাটিয়ে উঠতে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুতই একটি রাজনৈতিক সরকার দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই; অল্প সময়ের মধ্যে তারা কিছু সংস্কার কাজ শেষ করতে পেরেছেন। এই পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই সংস্কার করতে যাচ্ছি। বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে। একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা এই বিএনপিই প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাংলাদেশের যা কিছু ভালো হয়েছে, তা বিএনপির হাত দিয়েই হয়েছে।’
এ সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে মুহূর্তে আমরা দিকভ্রান্ত ছিলাম—শেখ মুজিব পাকিস্তানের কাছে ধরা দিয়েছেন, বাকিরা পালিয়ে গেছেন; যাদের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল, তাদের কেউ নেই—সেই সময় তার ঘোষণা আমাদের নতুন করে আশা জাগিয়েছিল। যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এরপরের ৯ মাস সবাই যুদ্ধ করেছেন। এরপরের পাঁচ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন দেখেছি—হত্যা, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, মানুষকে মানুষ বলে গণ্য না করা, আত্মম্ভরিতা এবং সবশেষে একদলীয় শাসনব্যবস্থা—যেটা আমরা কখনোই চাইনি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পরবর্তী পটপরিবর্তনের পর এই মানুষটির নাম আবার সামনে এসেছে। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার জাতীয়তাবাদী দর্শন ও রাজনীতিতে যে কাজ রয়েছে, তা হচ্ছে পলিটিক্স অব রিকনসিলিয়েশন বা সমঝোতার রাজনীতি—অর্থাৎ সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার রিকনসিলিয়েশন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, ঐক্য গড়ে অগ্রসর হওয়া।’
ওই সময়ে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, তখন যে রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধিত হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথম ছিল আওয়ামী লীগ; কারণ তখন আওয়ামী লীগ বাকশাল হয়ে গিয়েছিল। আরেকটি দল এসেছিল—ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ (আইডিএল)।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর একটি বই রয়েছে—প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ, এ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি। বইটির শেষের দিকে তখনকার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি. মাইলামের একটি মন্তব্য আছে—সে মন্তব্য অনুযায়ী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যদি ১৯৮১ সালে হত্যা না হয়ে ১৯৭৫ সালে হত্যা হতেন, তাহলে বাংলাদেশ লাইবেরিয়া বা আফগানিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যেত। এ বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।’
নির্বাচন যাতে সঠিক সময়ে হতে না পারে—দেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সেই চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার ধারাবাহিকতায়ই আমরা দেশে সংস্কার করতে যাচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘শহীদ জিয়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমরা এমন এক সময় পার করছি, যখন দেশে নেই অর্থনীতি, নেই রাজনীতি। গত ১৫ বছর ধরে একটি ফ্যাসিস্ট দানব সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। গেল এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় আমরা একটি জায়গায় আসার চেষ্টা করছি, যাতে একটি নির্বাচন করা যায়।’
‘কোনো দল বা ব্যক্তিকে দোষারোপ করতে চাই না, কিন্তু হতাশার বিষয় হলো—নির্বাচন যাতে পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যাতে সঠিক সময়ে না হতে পারে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সেই চেষ্টা করছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না,’—যোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।
দেশের বর্তমান অবস্থা কাটিয়ে উঠতে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুতই একটি রাজনৈতিক সরকার দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই; অল্প সময়ের মধ্যে তারা কিছু সংস্কার কাজ শেষ করতে পেরেছেন। এই পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই সংস্কার করতে যাচ্ছি। বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে। একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা এই বিএনপিই প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাংলাদেশের যা কিছু ভালো হয়েছে, তা বিএনপির হাত দিয়েই হয়েছে।’
এ সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে মুহূর্তে আমরা দিকভ্রান্ত ছিলাম—শেখ মুজিব পাকিস্তানের কাছে ধরা দিয়েছেন, বাকিরা পালিয়ে গেছেন; যাদের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল, তাদের কেউ নেই—সেই সময় তার ঘোষণা আমাদের নতুন করে আশা জাগিয়েছিল। যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এরপরের ৯ মাস সবাই যুদ্ধ করেছেন। এরপরের পাঁচ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন দেখেছি—হত্যা, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, মানুষকে মানুষ বলে গণ্য না করা, আত্মম্ভরিতা এবং সবশেষে একদলীয় শাসনব্যবস্থা—যেটা আমরা কখনোই চাইনি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পরবর্তী পটপরিবর্তনের পর এই মানুষটির নাম আবার সামনে এসেছে। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার জাতীয়তাবাদী দর্শন ও রাজনীতিতে যে কাজ রয়েছে, তা হচ্ছে পলিটিক্স অব রিকনসিলিয়েশন বা সমঝোতার রাজনীতি—অর্থাৎ সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার রিকনসিলিয়েশন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, ঐক্য গড়ে অগ্রসর হওয়া।’
ওই সময়ে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, তখন যে রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধিত হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথম ছিল আওয়ামী লীগ; কারণ তখন আওয়ামী লীগ বাকশাল হয়ে গিয়েছিল। আরেকটি দল এসেছিল—ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ (আইডিএল)।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর একটি বই রয়েছে—প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ, এ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি। বইটির শেষের দিকে তখনকার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি. মাইলামের একটি মন্তব্য আছে—সে মন্তব্য অনুযায়ী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যদি ১৯৮১ সালে হত্যা না হয়ে ১৯৭৫ সালে হত্যা হতেন, তাহলে বাংলাদেশ লাইবেরিয়া বা আফগানিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যেত। এ বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সবার জন্য নিরাপদ এবং অংশগ্রহণমূলক করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আর এ জন্য আওয়ামী লীগ আমলে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ কেউ যেন নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকে, তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। এসময়ে তিনি আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর
৬ ঘণ্টা আগেএবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। অন্যদিকে, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
২১ ঘণ্টা আগে“আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি; সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন,” জামায়াত নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
১ দিন আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা গণভোটের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলাপ তুলতে চায় তাদের আচরণ দুরভিসন্ধিমূলক।’
১ দিন আগে