leadT1ad

ট্রাম্প কি অর্থনৈতিক যুদ্ধে হেরে যাবেন

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য দ্বৈরথ। স্ট্রিম গ্রাফিক্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর মূল অর্থনৈতিক নীতি আবারও চীনের সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। এই নীতিতে রয়েছে উচ্চ শুল্ক, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’-ভিত্তিক অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার হুমকি। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এক ধরনের ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’।

যুক্তরাষ্ট্র চায় উৎপাদন শিল্প ফিরিয়ে আনতে; সেই সঙ্গে চীনের প্রযুক্তিগত আধিপত্য কমাতে। অপরদিকে চীন প্রতিরোধমূলক শুল্ক, বাজার বহুমুখীকরণ এবং বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এই সময়ে ট্রাম্পের আসন্ন এশিয়া সফর এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিং-এর সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠককে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে।

প্রশ্ন উঠছে—এই কৌশল কি ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত ‘চমৎকার চুক্তি’ এনে দেবে, নাকি উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের উপর অর্থনৈতিক বোঝা চাপাবে? উঠে আসছে এমন প্রশ্নও— এই কৌশল বৈশ্বিক ক্ষমতায় চীনের অবস্থান কি আরও মজবুত করবে? বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প হয়তো এই যুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছেন।

ট্রাম্পের কৌশল: চাপ প্রয়োগে শুল্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদের মতোই আবারও চীনের ওপর শুল্ক আরোপ শুরু করেন। তবে এবার তা আরও কঠোর। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে চীনা পণ্যের উপর গড়ে ১৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এটি ১৯৩০-এর দশকের স্মুট-হলি যুগের পর সর্বোচ্চ।

টার্গেট করা হয়েছে চীনের বৈদ্যুতিক যান, সেমিকন্ডাক্টর ও স্টিল খাতকে। এ ছাড়া চীন-সংযুক্ত জাহাজে অতিরিক্ত পোর্ট ফি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মিত্রদের কাছ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ দাবি করা হয়েছে।

উদ্দেশ্য হলো—ফেন্টানিলের কাঁচামাল, সয়াবিন ও বিরল খনিজের ক্ষেত্রে চীনকে ছাড় দিতে বাধ্য করা এবং মার্কিন শিল্পকে উৎসাহিত করা। ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারো একে বলছেন ‘৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি’র মাস্টারপ্ল্যান।

কিন্তু প্রাথমিক তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। যুক্তরাষ্ট্রের চীন থেকে আমদানি সামান্য কমেছে। তবে মোট বাণিজ্য কমেছে দুই দেশেই। উৎপাদন খাতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, সরবরাহ সমস্যার কারণে অনেক কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শি জিন পিং-ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভাব্য বৈঠকের আগে এই পদক্ষেপগুলো চীনের এক ধরনের ‘ক্ষমতার প্রদর্শন’। বিশ্লেষকদের মতে, চীন এখন প্রতিরক্ষা নয়, বরং আক্রমণাত্মক কৌশল নিচ্ছে।

চীনের জবাব: প্রতিরক্ষা থেকে আক্রমণে

চীনও হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। চীনের অর্থনীতি কিছুটা মন্থর (তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ৪.৮%, যা পূর্ববর্তী সময়ের ৫.২ শতাংশের চেয়ে কম)। তবুও তারা পাল্টা কৌশল নিয়েছে।

বিশ্বের ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ এবং ৭০ শতাংশ খনিজ উত্তোলনে চীনের দখল রয়েছে। অক্টোবর মাসে চীন এসব খনিজ ও তাদের যৌগের রপ্তানির উপর নতুন লাইসেন্স চালু করেছে। এই নিয়ম এখন বিদেশি কোম্পানিকেও প্রভাবিত করছে, যদি তারা চীনা উপকরণ ব্যবহার করে।

ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনায় সাময়িক বিরতি নিতে হবে। চীনের ইওউ শহরের কারখানাগুলো এখন বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকছে। আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের মাধ্যমে তারা বাণিজ্য বিস্তারে সচেষ্ট।

একজন কারখানা মালিক নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আগেই আমরা দিক পাল্টাই।’

চীনের তিন ট্রিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ এবং তাদের জাতীয় নিরাপত্তা আইন—যা মার্কিন ‘এন্টিটি লিস্ট’-এর মতো—চীনকে কৌশলগত সুবিধা দিচ্ছে। এখন চীন প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য দেশ থেকেও সংগ্রহ করতে পারছে।

শি জিন পিং-ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভাব্য বৈঠকের আগে এই পদক্ষেপগুলো চীনের এক ধরনের ‘ক্ষমতার প্রদর্শন’। বিশ্লেষকদের মতে, চীন এখন প্রতিরক্ষা নয়, বরং আক্রমণাত্মক কৌশল নিচ্ছে।

বেইজিং-এর দিকে হেলে পড়ছে ভারসাম্য

অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক ও গবেষকদের বেশিরভাগই একমত যে, ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক যুদ্ধ আসলে নিজেদের ওপরই আঘাত হানছে।

চীন কাঠামোগতভাবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তারা দীর্ঘমেয়াদে চাপ সহ্য করতে পারে এবং দ্রুত বিকল্প বাজার তৈরি করতে সক্ষম।

যদিও কেউই যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ পরাজয় ভবিষ্যদ্বাণী করছেন না, তবুও অধিকাংশ বিশ্লেষকের দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ‘জয়’-এর বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান লেখেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বাণিজ্যযুদ্ধে চীনই এগিয়ে রয়েছে।’

চীনের শক্ত অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএস) সিনিয়র ফেলো হেনরিয়েটা লেভিন বলেন, ‘চীন শুরু থেকেই মনে করেছিল এই বাণিজ্যযুদ্ধে তারা এগিয়ে থাকবে। তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বেশি সহনশীল।’

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে চীনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত সমঝোতার চেষ্টা করছে, যা চীনকে তাদের অবস্থানের সঠিকতা প্রমাণ করতে সাহায্য করে।

অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের গবেষক ডেক্সটার রবার্টস বলেন, ‘চীন বিশ্বাস করে, শক্তি এখন তাদের হাতে। তারা প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিতে তারা সহজে ভয় পায় না।’

রবার্টস আরও বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সাথে কীভাবে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করবে, তা ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেনি। হুমকির পরপরই ছাড় দেওয়া এই প্রশাসনের দুর্বলতা প্রকাশ করে।’

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান লেখেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বাণিজ্যযুদ্ধে চীনই এগিয়ে রয়েছে।’

ক্রুগম্যানের মতে, ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক হলো একধরনের উল্টো কর (রিগ্রেসিভ ট্যাক্স)। এর ফলে খরচ বাড়ে, কিন্তু চীনের রপ্তানির উপর বড় কোনো প্রভাব পড়ে না।

অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি

ইয়েল বাজেট ল্যাবের আগস্ট ২০২৫-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ২০২৫ সালে একজন সাধারণ মার্কিন পরিবারের খরচ বাড়বে প্রায় ২ হাজার ৪০০ ডলার।’

পোশাকের দাম ৩৭ শতাংশ এবং জুতার দাম ৩৯ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে নিম্নআয়ের জনগণকে।

বিএমও ইকোনমিক্স জানায়, ‘উচ্চ শুল্ক, মূল্যস্ফীতি ও নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চাকরির প্রবৃদ্ধি থমকে গেছে।’

তারা ১৯৭০-এর দশকের মতো মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি স্থবিরতা (স্ট্যাগফ্লেশন) ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এপ্রিলের পর চাকরির প্রবৃদ্ধি ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

সিএসআইএস-এর চীনা অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ স্কট কেনেডি বলেন, ‘চীনের উপর অতিমাত্রার শুল্ক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমালেও, তা মূলত আমদানি-রপ্তানির ধসের কারণে হয়েছে।’

তিনি হুঁশিয়ার করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতির যুগল সঙ্কটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আইএমডি বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক উইন্টার নি বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক যুদ্ধ এক ধরনের ধৈর্যের প্রতিযোগিতায় পরিণত হচ্ছে, যেখানে চীনের অবস্থান অনেক বেশি মজবুত।’

ট্রাম্পের কৌশল ও ছাড় দেওয়ার প্রবণতা

মিডলবেরি ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক ওয়েই লিয়াং বলেন, ‘ট্রাম্পের কৌশল অনেক সময় ‘ট্যাকো’ নামে ব্যঙ্গ করা হয়—‘ট্রাম্প অলওয়েজ চিকেনস আউটি’। তিনি শুল্ক ঘোষণা করেন, পরে আবার বিভিন্ন ছাড় দেন।

ট্রাম্প শেয়ারবাজারে প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। এজন্য প্রয়োজন হলে তিনি সহজেই আপস করে ফেলেন।

বাইডেন প্রশাসনের সাবেক চীন-বিষয়ক উপদেষ্টা রাশ ডোশি, বলেন, ‘চীন মনে করে, ট্রাম্পকে তারা চিনে ফেলেছে। তারা বিশ্বাস করে, চাপ দিলে ট্রাম্প পিছিয়ে যাবে।’

তাঁর মতে, আসন্ন শি-ট্রাম্প বৈঠক এক ধরনের তিনমুখো সমীকরণ— চুক্তি হবে, হবে না, নাকি পুরোপুরি ব্যর্থ হবে। চীনের বিরল খনিজ কৌশল এই সমীকরণকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও জটিল করে তুলেছে।

এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশন অব কানাডার গবেষণা প্রধান ভিনা নাজিবুল্লাহ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি সবার জন্য সতর্কবার্তা। প্রত্যেক দেশকেই এখন নিজেদের চাহিদা মেটাদে পণ্যের সরবরাহ উৎস বহুমুখী করা উচিত।’

তিনি সতর্ক করেন, বিরল খনিজের ওপর চীনের আধিপত্য ভাঙতে এক দশকও লেগে যেতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।

পুরনো বিশ্লেষণও আজ প্রাসঙ্গিক। আইএমডি বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক উইন্টার নি বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক যুদ্ধ এক ধরনের ধৈর্যের প্রতিযোগিতায় পরিণত হচ্ছে, যেখানে চীনের অবস্থান অনেক বেশি মজবুত।’

তাঁর মতে, চীনের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা নির্ভরতা—এই দুটি বিষয়েই চীন এগিয়ে রয়েছে।

আসন্ন শি-ট্রাম্প সম্মেলন হয়তো স্পষ্ট করবে—এটি কি ট্রাম্পের কূটনৈতিক জয়, না কি দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পিছুহটার সূচনা?

সামনে কী: উত্তেজনা না কি স্থবিরতা

অনেকেই এখনও আশাবাদী। তারা কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন—যেমন অ্যাপলের যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি কিংবা জাপানের ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন। এই ঘটনাগুলোকে ট্রাম্পের শুল্কনীতির ‘সাফল্য’ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

সম্ভাব্য শি-ট্রাম্প সম্মেলনে একটি চুক্তি হলে চীনের বিরল খনিজ (আরইই) নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল হতে পারে এবং সরবরাহ চেইনে স্থিতিশীলতা আসতে পারে।

তবে সংশয়ীদের সংখ্যাই বেশি।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)-এর বিশ্লেষক ইলারিয়া মাজ্জকো সতর্ক করে বলেন—বর্তমানে যে ‘নাজুক ভারসাম্য’ রয়েছে, তা সহজেই ভেঙে গিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ‘ডি-রিস্কিং’ বা ঝুঁকি কমানোর পথে এগোচ্ছে, তা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও টানাপোড়েনে ফেলবে।

দীর্ঘমেয়াদে এই সংঘাত মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা ডেকে আনতে পারে।

রয়টার্স বিশ্লেষকদের মতে, যদি সম্পূর্ণ শুল্ক আরোপ হয়, তাহলে একটি আইফোনের দাম দাঁড়াতে পারে প্রায় ২ হাজার ৩০০ ডলার। এতে ভোক্তারা চাপে পড়বে, মিত্র দেশগুলো বিরক্ত হবে এবং বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।

অপরদিকে, চীন এই যুদ্ধকে অনেক দীর্ঘমেয়াদে দেখছে।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে চীন নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙা করতে নতুন উদ্দীপনা (স্টিমুলাস) নেবে। চীনের লক্ষ্য হলো—যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী অস্থিরতা পার করে এগিয়ে যাওয়া।

সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন না যে ট্রাম্প রাতারাতি হেরে যাবেন। কিন্তু এই যুদ্ধে কাঠামোগত ভারসাম্য চীনের পক্ষে।

একদিকে রয়েছে চীনের সুসংহত ও বিকল্পমুখী সরবরাহ ব্যবস্থা; অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা উচ্চমূল্যে সংকটে পড়ছে।

হেনরিয়েটা লেভিন সতর্ক করেন, ‘একটি খারাপ চুক্তি ভবিষ্যতে আরও অনেক খারাপ চুক্তির দুয়ার খুলে দিতে পারে।’

এই মুহূর্তে চীনের কৌশল যেন ট্রাম্পের ‘শক্তিশালী হাতিয়ার’—শুল্কনীতিকে—একটি ‘বুমেরাং’-এ পরিণত করেছে।

আসন্ন শি-ট্রাম্প সম্মেলন হয়তো স্পষ্ট করবে—এটি কি ট্রাম্পের কূটনৈতিক জয়, না কি দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পিছুহটার সূচনা?

তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, পলিটিকো, জেপি মরগান ডটকম, ইআইইউ ডটকম, রয়টার্স, ফরচুন

Ad 300x250

সম্পর্কিত