leadT1ad

জাকসু নির্বাচনে সারাদিন যা যা হলো

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ১০
ভোট দিতে এসে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্ট্রিম ছবি

ঘটনাবহুল দিনের শেষে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলে।

কারচুপির অভিযোগ তুলে বিকেল পৌনে চারটার দিকে ভোট বয়কট করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এই নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে অভিযোগ করে প্যানেলটির জিএস প্রার্থী বৈশাখী বলেন, ‘জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আমরা চাইনি। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালটেই ভোট হচ্ছে। ১০ থেকে ২০ শতাংশ ব্যালট শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা?’

৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচটি হলে দেরিতে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। দেরি হওয়ার পেছনে অনভিজ্ঞতাকে দায়ী করেন এক কর্মকর্তা। বেলা বাড়ার সঙ্গে উত্তেজনাও বাড়তে থাকে দলগুলোর মধ্যে।

জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছেন ভোটারেরা। স্ট্রিম ছবি
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছেন ভোটারেরা। স্ট্রিম ছবি

বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ খবর পেয়ে ‘ভোট কারচুপির জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে’—এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের ভিপি ও জিএস প্রার্থী ৫-৭ জন নেতাকর্মী নিয়ে হলটিতে প্রবেশ করেন। তাঁরা হলের দোতলায় ভোট কেন্দ্রের সামনে গেলে তাঁদের সামনে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ‘হলের ভেতরে ছাত্র কেন’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানায় ওই হলের ছাত্রীরা। এ সময় হলের কর্মচারীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে হলের ছাত্রীরা সেখান থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বের করে দেন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালট পেপার দিয়ে জাকসু নির্বাচন হচ্ছে।

কিন্তু জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগটি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ব্যালট পেপার ও ভোটগণনার মেশিন কেনার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাত ছিল না।

কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। স্ট্রিম ছবি
কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। স্ট্রিম ছবি

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’। প্যানেলটির জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে।

নির্বাচনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলও। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির জিএস পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু অবস্থান করছে, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করছে। বাইরে ছাত্রদল-বিএনপি অবস্থান করছে। যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

এদিকে বেলা তিনটা নাগাদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাবি উপাচার্য কামরুল আহসান বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে তিনি সবার মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখছেন। নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত আনন্দ বজায় থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত