leadT1ad

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

বাসস
বাসস

মিরপুর সেনানিবাসে বুধবার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ডিএসসিএসসি-২০২৫ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ডিএসসিএসসি-২০২৫ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্ভাব্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন সময় নির্বাচনের। এ জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করেছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, আমাদের পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা– সবার সহায়তা প্রয়োজন।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একটি অভ্যুত্থান থেকে নির্বাচনের দিকে যাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আমরা কেবল একসঙ্গে থাকলেই এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবের উপলক্ষ বয়ে আনতে পারবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকার প্রশংসা করি।

পরে প্রধান উপদেষ্টা ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৫ শেষ করা কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন। সামরিক শিক্ষায় উৎকর্ষের স্তম্ভ হিসেবে ডিএসসিএসসির ভূমিকা উল্লেখ ও নেতৃত্ব গঠনে প্রতিষ্ঠানের প্রতি জাতির আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

এবারের কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭০, নৌবাহিনীর ৪৫ ও বিমান বাহিনীর ৩৬ কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন করেন। বাংলাদেশ পুলিশের তিন কর্মকর্তা এবং চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জর্ডান, কেনিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সিয়েরা লিওন, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, তুরস্ক ও উগান্ডার ৫৮ কর্মকর্তা অংশ নেন। সবমিলে এ বছর মোট ৩১১ প্রশিক্ষণার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের একজনসহ ১৪ নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।

কোর্স সম্পন্নকারী অফিসাররা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ এক বছর কঠোর প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান নিজ নিজ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি কোর্সের সফলতা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাহিনী সদর দপ্তর, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সব অংশীজনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত