প্রকল্প বাতিলের অন্যতম কারণ অর্থনৈতিক চাপ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ অংশে ২৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ছয় থেকে সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হতো, যা যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সরকার ভারতের প্রস্তাবিত ১১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন প্রকল্প বাতিলের পথে হাঁটছে। এই সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অংশের পার্বতীপুর দিয়ে ভারতের বিহারের কাটিহার ও মেঘালয়ের বরনগরকে যুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নেপালে নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা বাতিল করার ফলে সঞ্চালন লাইনের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে সরকার। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক সূত্র।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম স্ট্রিমকে বলেন, এখন আর বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ ক্ষমতা আইন কার্যকর নেই। সে কারণে আপাতত নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে। আর এই আমদানি প্রকল্পের সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সম্পর্কিত। ফলে বর্তমানে এই লাইন নির্মাণ করে কোনো অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে যেতে চায় না সরকার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে। যার নাম ছিল ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। আইনটির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল দায়মুক্তির বিধান। এই আইনের আওতায় নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত বা চুক্তি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেত না।
দীর্ঘ সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে হাইকোর্ট আইনটির কিছু ধারা বাতিল করে। পরে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আইনটির কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। এরপর ২০২৫ সালের জুন মাসে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে আইনটি পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু এই সঞ্চালন লাইন বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। বিদেশি ঋণ ও কোম্পানি-নির্ভর যে মহাপরিকল্পনা, তা থেকেও বের হয়ে আসতে হবে।আনু মুহাম্মদ, সাবেক অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এই প্রকল্প বাতিলের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো অর্থনৈতিক চাপ। যেখানে বাংলাদেশ অংশে ২৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ছয় থেকে সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হতো, যা যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিদ্যমান ও নির্মাণাধীন প্রকল্পের বিপরীতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২.১৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করছে। এছাড়াও কোনো দেশের ওপর এতোটা নির্ভরশীল হওয়া জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু এই সঞ্চালন লাইন বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। বিদেশি ঋণ ও কোম্পানি-নির্ভর যে মহাপরিকল্পনা, তা থেকেও বের হয়ে আসতে হবে।
আনু মুহাম্মদ আরও জানান, এই প্রকল্প বাতিলে বাংলাদেশের কোনো অসুবিধা নেই। বাংলাদেশের জন্য এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ভারতের প্রয়োজনই এখানে মুখ্য ছিল।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে অন্য রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চাচ্ছে। এই প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রথম আসে ২০১৬ সালে। ২০২৩ সালে দুই দেশের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ৭৬৫ কেভির এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দেয় বাংলাদেশ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, একটি যৌথ কোম্পানি গঠন করে পার্বতীপুর হয়ে ভারতের বরনগর ও কাটিহার পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের কথা ছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি অর্থায়নের আশ্বাসও দেয়। প্রকৌশলীদের একটি বড় অংশ প্রকল্পের বিরোধিতা করলেও তৎকালীন সরকার ভারতকে বিশেষ সুবিধা দিতে সম্মত হয়।
তবে পটপরিবর্তনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প নতুন করে পর্যালোচনা শুরু করে। শেষমেশ নেপালে নির্মাণাধীন ভারতীয় কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি সঞ্চালন লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা থেকেও সরে আসছে সরকার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। এর বাইরে সম্প্রতি ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল থেকেও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, ভারতের করিডোর প্রস্তাব বাতিল হলে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রভাব পড়বে কি না?
বাংলাদেশ সরকার ভারতের প্রস্তাবিত ১১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন প্রকল্প বাতিলের পথে হাঁটছে। এই সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অংশের পার্বতীপুর দিয়ে ভারতের বিহারের কাটিহার ও মেঘালয়ের বরনগরকে যুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নেপালে নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা বাতিল করার ফলে সঞ্চালন লাইনের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে সরকার। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক সূত্র।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম স্ট্রিমকে বলেন, এখন আর বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ ক্ষমতা আইন কার্যকর নেই। সে কারণে আপাতত নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে। আর এই আমদানি প্রকল্পের সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সম্পর্কিত। ফলে বর্তমানে এই লাইন নির্মাণ করে কোনো অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে যেতে চায় না সরকার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে। যার নাম ছিল ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। আইনটির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল দায়মুক্তির বিধান। এই আইনের আওতায় নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত বা চুক্তি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেত না।
দীর্ঘ সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে হাইকোর্ট আইনটির কিছু ধারা বাতিল করে। পরে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আইনটির কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। এরপর ২০২৫ সালের জুন মাসে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে আইনটি পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু এই সঞ্চালন লাইন বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। বিদেশি ঋণ ও কোম্পানি-নির্ভর যে মহাপরিকল্পনা, তা থেকেও বের হয়ে আসতে হবে।আনু মুহাম্মদ, সাবেক অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এই প্রকল্প বাতিলের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো অর্থনৈতিক চাপ। যেখানে বাংলাদেশ অংশে ২৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ছয় থেকে সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হতো, যা যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিদ্যমান ও নির্মাণাধীন প্রকল্পের বিপরীতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২.১৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করছে। এছাড়াও কোনো দেশের ওপর এতোটা নির্ভরশীল হওয়া জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু এই সঞ্চালন লাইন বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। বিদেশি ঋণ ও কোম্পানি-নির্ভর যে মহাপরিকল্পনা, তা থেকেও বের হয়ে আসতে হবে।
আনু মুহাম্মদ আরও জানান, এই প্রকল্প বাতিলে বাংলাদেশের কোনো অসুবিধা নেই। বাংলাদেশের জন্য এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ভারতের প্রয়োজনই এখানে মুখ্য ছিল।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে অন্য রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চাচ্ছে। এই প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রথম আসে ২০১৬ সালে। ২০২৩ সালে দুই দেশের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ৭৬৫ কেভির এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দেয় বাংলাদেশ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, একটি যৌথ কোম্পানি গঠন করে পার্বতীপুর হয়ে ভারতের বরনগর ও কাটিহার পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের কথা ছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি অর্থায়নের আশ্বাসও দেয়। প্রকৌশলীদের একটি বড় অংশ প্রকল্পের বিরোধিতা করলেও তৎকালীন সরকার ভারতকে বিশেষ সুবিধা দিতে সম্মত হয়।
তবে পটপরিবর্তনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প নতুন করে পর্যালোচনা শুরু করে। শেষমেশ নেপালে নির্মাণাধীন ভারতীয় কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি সঞ্চালন লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা থেকেও সরে আসছে সরকার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। এর বাইরে সম্প্রতি ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল থেকেও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, ভারতের করিডোর প্রস্তাব বাতিল হলে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রভাব পড়বে কি না?
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মতে, যে মানুষেরা বাধ্য হয়ে ভিটেমাটি ছেড়েছেন, তাদের স্বপ্ন ও অধিকারের কথা বলতে এই দিনটি পালন করা হয়। ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০১ সাল থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
১ দিন আগেসিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ২০২৫ এশিয়া কাপ আর্চারির দ্বিতীয় লেগে রিকার্ভ পুরুষ এককে স্বর্ণপদক জিতে সাড়া ফেলেছেন বাংলাদেশের তরুণ আর্চার আব্দুর রহমান আলিফ।
১ দিন আগেহামলায় নিহত চালক আবুল কালাম উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। মারধরে নিহত মো. আরিফুল ইসলাম (২০) কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। তবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
১ দিন আগেমানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে হাজার হাজার মানুষকে (যাদের বেশির ভাগই মুসলমান) ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের অনেককেই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ‘ঠেলে পাঠিয়েছে’ তারা।
১ দিন আগে