leadT1ad

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত চায় প্রসিকিউশন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল সোমবার। প্রসিকিউশন প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডের সঙ্গে আসামিদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী, শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর কাছে হস্তান্তরের আবেদনও করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থেই এই রায় প্রত্যাশিত। প্রসিকিউশনের দাবি, তারা আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। রায়ের ঘোষণাকৃত অংশ সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও করেছে ট্রাইব্যুনাল।

গত জুলাইয়ে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলনের সময় সহিংসতায় বহু হতাহত হয়, যা পরবর্তীতে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ হিসেবে আলোচনায় আসে।

গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩-এ উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালকে পুনর্গঠন করা হয় এবং এর এখতিয়ারে জুলাইয়ের সহিংসতাজনিত অপরাধগুলো যুক্ত করা হয়। নতুন আইনে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে যোগ করা হয়েছে, যা পূর্বের আইনে ছিল না।

পুনর্গঠনের পর এটাই ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়, যা ভবিষ্যতের মামলাগুলোর দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

শনিবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রসিকিউটর তামীম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তাই নয়, আমরা আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এই মামলায় বা এই ঘটনায় যারা ভিকটিম আছে, শহীদ আছে, আহত পরিবার আছে, তাদের বরাবর হস্তান্তরের প্রার্থনা জানিয়েছি।”

রায় নিয়ে প্রসিকিউশনের অবস্থান জানাতে তিনি আরও বলেন, “ট্রাইব্যুনাল ন্যায়বিচারের স্বার্থে যে আদেশ দিক না কেন প্রসিকিউশন সেটা মেনে নেবে।”

সোমবার রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আগামীকাল রায়ের যে অংশটুকু ট্রাইব্যুনাল এখানে পড়ে শোনাবেন সেই অংশটুকুও ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং দেশের গণমাধ্যমগুলো সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত