leadT1ad

রাজাকার সম্বোধন থেকে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ প্রসিকিউশনের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৯
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন। ‘রাজাকার’ সম্বোধন থেকে শুরু করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ—প্রতিটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা গেছে বলে দাবি করেছে তারা। এ কারণে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম এসব অভিযোগের বিবরণ তুলে ধরেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বিভিন্ন তারিখে আবু সাঈদ, আনাস ও ইয়াকুবসহ বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগগুলো আনা হয়েছে।

প্রসিকিউটর তামীমের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রথম অভিযোগটি ১৪ জুলাই গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ‘রাজাকার’ বলা। একই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য মাকসুদ কামালের সঙ্গে ফোনালাপে ছাত্রদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের আদেশ, নির্দেশ ও উস্কানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ১৬ জুলাই আবু সাঈদসহ ছয়জন নিহত হন বলে দাবি প্রসিকিউশনের।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে শেখ হাসিনা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র (লেথাল ওয়েপন) ব্যবহারের নির্দেশ দেন। অভিযোগে আরও আছে, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে গুলি বর্ষণ এবং অবস্থান শনাক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এতে সারা দেশে লেথাল ওয়েপন ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। এতে ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন বলে অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

তৃতীয় অভিযোগে আছে রংপুরে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাটি। চতুর্থ অভিযোগ ঢাকার চাঁনখারপুলে আনাস, ইয়াকুবসহ ছয়জনকে হত্যা এবং পঞ্চম অভিযোগ আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা।

অভিযোগগুলো উপস্থাপন করে প্রসিকিউটর তামীম বলেন, “এই পাঁচটি অভিযোগেই আমরা ফর্মাল চার্জ সাবমিট করেছিলাম।” তার দাবি, “এই পাঁচটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি।” এ কারণে প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে।

রায় নিয়ে প্রসিকিউশনের অবস্থান জানাতে তিনি আরও বলেন, “ট্রাইব্যুনাল ন্যায়বিচারের স্বার্থে যে আদেশ দিক না কেন প্রসিকিউশন সেটা মেনে নেবে।”

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত