.png)

স্ট্রিম সংবাদদাতা

স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা সাত ঘণ্টা দফায় দফায় সংঘর্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীসহ অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। দুই শিক্ষার্থী আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে রক্তাক্ত এই সহিংসতার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না—এমন অভিযোগ করছেন আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই কয়েকশ বহিরাগত ও স্থানীয় গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-রামদা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররাও গ্রামবাসীর সঙ্গে মিশে যান হামলায়। এতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, প্রক্টর তানভীর হায়দার আরিফসহ অন্তত ১০ শিক্ষক আহত হন। শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে কিংবা স্থানীয়দের বাড়ির ছাদে তুলেও নির্যাতন চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
আহত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অস্ত্রধারীরা গ্রামবাসীর সঙ্গে মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা সরকারের উর্ধ্বতন মহলে খবর দিয়েছি, কিন্তু পুলিশ বা সেনাবাহিনী কেউ আসেনি। শিক্ষার্থীদের জীবন এখন ঝুঁকির মুখে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত রয়েছে, অনেকে আশঙ্কাজনক। চবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. টিপু সুলতান বলেন, শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন, গুরুতরদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে
শনিবার গভীর রাতে ছয়টি গাড়ি নিয়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে গেলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত কার্যত কোনো সেনা-পুলিশের টহল দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, রাতের সংঘর্ষ থামার পর পুলিশ ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়। ফলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরো ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় থাকে।
সেনাবাহিনী বিকেল ৪টার দিকে আবার ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে, তখন পুলিশেরাও যোগ দেয়। এরপর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবিদ বলেন, ‘রাতে সংঘর্ষের সময় আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমরা রাত ৩টায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে উপাচার্য মহোদয়ের পরামর্শে আমরা চলে যাই। সকালে ঘটনা আবার শুরু হলে ফরমালি ডাকা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ক্যাম্পাস স্বাভাবিক আছে। র্যাব ও পুলিশ কাজ করছে।’
কিন্তু ভিন্ন কথা বলেছেন সেনাবাহিনীর আরেক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘সেনাবাহিনী তো শেষ পর্যায়ের জন্য। পুলিশের দায়িত্ব ছিল অতিরিক্ত বাহিনী এনে তাৎক্ষণিকভাবে সংঘর্ষ থামানো। কিন্তু পুলিশ পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছিল না, আমাদেরও জানায়নি।’
অন্যদিকে জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো. রাসেল বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ছিলাম, এখনো আছি। মিটিং করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে যখন খুনোখুনি পরিস্থিতি, তখন পুলিশ-সেনা কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে একে অপরের ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত হয়েছে তারা। অথচ কয়েক শ অস্ত্রধারী বহিরাগত অবাধে হামলা চালিয়ে গেছে।
এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বাঁচার জন্য বারবার ফোন করেছি, মেসেজ দিয়েছি, কিন্তু কেউ আসেনি। রক্ত ঝরার পর বিকেলে বাহিনী এসে দায়সারা টহল দিয়েছে।’

স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা সাত ঘণ্টা দফায় দফায় সংঘর্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীসহ অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। দুই শিক্ষার্থী আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে রক্তাক্ত এই সহিংসতার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না—এমন অভিযোগ করছেন আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই কয়েকশ বহিরাগত ও স্থানীয় গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-রামদা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররাও গ্রামবাসীর সঙ্গে মিশে যান হামলায়। এতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, প্রক্টর তানভীর হায়দার আরিফসহ অন্তত ১০ শিক্ষক আহত হন। শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে কিংবা স্থানীয়দের বাড়ির ছাদে তুলেও নির্যাতন চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
আহত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অস্ত্রধারীরা গ্রামবাসীর সঙ্গে মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা সরকারের উর্ধ্বতন মহলে খবর দিয়েছি, কিন্তু পুলিশ বা সেনাবাহিনী কেউ আসেনি। শিক্ষার্থীদের জীবন এখন ঝুঁকির মুখে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত রয়েছে, অনেকে আশঙ্কাজনক। চবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. টিপু সুলতান বলেন, শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন, গুরুতরদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে
শনিবার গভীর রাতে ছয়টি গাড়ি নিয়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে গেলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত কার্যত কোনো সেনা-পুলিশের টহল দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, রাতের সংঘর্ষ থামার পর পুলিশ ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়। ফলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরো ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় থাকে।
সেনাবাহিনী বিকেল ৪টার দিকে আবার ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে, তখন পুলিশেরাও যোগ দেয়। এরপর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবিদ বলেন, ‘রাতে সংঘর্ষের সময় আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমরা রাত ৩টায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে উপাচার্য মহোদয়ের পরামর্শে আমরা চলে যাই। সকালে ঘটনা আবার শুরু হলে ফরমালি ডাকা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ক্যাম্পাস স্বাভাবিক আছে। র্যাব ও পুলিশ কাজ করছে।’
কিন্তু ভিন্ন কথা বলেছেন সেনাবাহিনীর আরেক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘সেনাবাহিনী তো শেষ পর্যায়ের জন্য। পুলিশের দায়িত্ব ছিল অতিরিক্ত বাহিনী এনে তাৎক্ষণিকভাবে সংঘর্ষ থামানো। কিন্তু পুলিশ পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছিল না, আমাদেরও জানায়নি।’
অন্যদিকে জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো. রাসেল বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ছিলাম, এখনো আছি। মিটিং করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে যখন খুনোখুনি পরিস্থিতি, তখন পুলিশ-সেনা কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে একে অপরের ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত হয়েছে তারা। অথচ কয়েক শ অস্ত্রধারী বহিরাগত অবাধে হামলা চালিয়ে গেছে।
এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বাঁচার জন্য বারবার ফোন করেছি, মেসেজ দিয়েছি, কিন্তু কেউ আসেনি। রক্ত ঝরার পর বিকেলে বাহিনী এসে দায়সারা টহল দিয়েছে।’
.png)

আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় মঙ্গলবার এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে উপস্থিত লোকজনের কাছে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার অনুনয় করছিলেন। একপর্যায়ে এক ব্যক্তি রশি ধরে টেনে-হিঁচড়ে তাঁকে পাশের গলিতে নিয়ে যান।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর কবিরহাট থেকে বসুরহাট যাওয়ার পথে সিএনজিচালতি অটোরিকশার সামনের এক্সেল ভেঙে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কবিরহাট-বসুরহাট সড়কে উল্টো পাশে চলে যায়। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক ওই অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের মামলার সংস্থাটির সাবেক এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সৈয়দ শরিফুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি সংস্থাটির সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর সোমবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে