leadT1ad

জুলাই অভ্যুত্থান ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা

‘ওয়েলবিইং প্রকল্প’র উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
ওয়েলবিইং প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালায় উপস্থিত অতিথিরা। সংগৃহীত ছবি

জুলাই ২০২৪-এর অভ্যুত্থান ভুক্তভোগীদের জন্য ওয়েলবিইং প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও হাসপাতালের হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে এর উদ্বোধন হয়। কর্মশালাটি সহযোগীতা করছে 'ডিগনিটি' ও ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ড্যানিডা)।

কর্মশালার লক্ষ্য ছিল অভ্যুত্থান ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য পুনর্বাসন ও মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক সহায়তা সেবা (এমএইচপিএসএস) শক্তিশালী করা।

কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের পিতা মাহবুবুর রহমান বশির। তিনি তাঁর বক্তব্যে এইচআরডিসির প্রতি ভুক্তভোগীদের পাশে থাকার দায়িত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এইচআরডিসির সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুল হক। এইচআরডিসির পরিচালক মো. জিয়ানুর কবির অভ্যুত্থান থেকে উদ্ভূত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তথ্য উপস্থাপন করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি কার্লসেন বলেন, ডেনমার্ক বাংলাদেশের সংঘাত-প্রভাবিত ব্যক্তিদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক সহায়তা সেবা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রমে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি কার্লসেন। সংগৃহীত ছবি
ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি কার্লসেন। সংগৃহীত ছবি

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান প্রতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে সরকারি সংস্থা, কর্মসংস্থান ব্যাংক, এনজিও ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর জানান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও নিটোরের সহায়তায় জুলাই অভ্যুত্থানের ৪০ জন ভুক্তভোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হয়েছে। তিনি এই উদ্যোগের জন্য এইচআরডিসির প্রশংসা করেন।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর উল্লেখ করেন যে ফাউন্ডেশন বর্তমানে সীমিত সংখ্যক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কাজ করলেও মোট ১২ হাজার ৪ শ ৫৪ জন ভুক্তভোগীর বিষণ্নতা ও মানসিক আঘাত থেকে পুনর্বাসন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান বলেন, মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিকে “পাগল” হিসেবে হেয় করা উচিত নয়; বরং মানসিক রোগকে অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার মতোই উপযুক্ত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় একটি রোগ হিসেবে দেখা উচিত। তিনি এইচআরডিসি ও ফাউন্ডেশনের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থান ভুক্তভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং চিকিৎসা, পুনর্বাসন, অন্তর্ভুক্তি ও মর্যাদা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

বিষয়:

Ad 300x250

সম্পর্কিত