হাসিবুর রহমান
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে অন্য দলগুলোও নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছে। অনেক দল এককভাবে প্রার্থী ঘোষণাও শুরু করেছে। পাশাপাশি চলছে নির্বাচনী জোটের আলোচনা। এরমধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দল মিলে একটি নির্বাচনী জোটের আলোচনাও শোনা যাচ্ছে। আবার বিএনপির সঙ্গেও জোট বাঁধার আলাপও চলছে তাঁদের।
গত ৫ অক্টোবর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন ৫০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। ৯ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ১৪০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ছয় দলের মোর্চা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার কথা। এই দলগুলো ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আবার নির্বাচনী জোট গঠনের আলোচনার কথাও বলছেন দলগুলোর নেতারা।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন স্ট্রিমকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও ১০০টি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনশো আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে গণতন্ত্র মঞ্চ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে।’
বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য দলগুলো এককভাবে নির্বাচন করে কখনোই তেমন সাফল্য পায়নি। এ কারণে বরাবরই বড় দলের সঙ্গে জোট করার প্রবণতা থাকে অন্য দলের ভেতর। তবে এবার জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন দল এনসিপি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ ও কয়েকটি ছোট দল একসঙ্গে জোটভুক্ত হওয়ার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে অন্তত ৯টি দলের জোট গঠনের আলোচনা চলছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে।
এই দলগুলো হলো- এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও গণতন্ত্র মঞ্চের ৬ দল। গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দল হচ্ছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত স্ট্রিমকে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অন্য দলগুলোর মতো ৯টি দল নিয়েও জোটের একটা আলাপ আছে। তবে জুলাই সনদের আগে আমরা কংক্রিট কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছি না।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা চাই এককভাবে সারা দেশে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে, ১৪০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পর বাকি আসনগুলোতে প্রার্থী দেওয়ার কাজও চলছে। এর বাইরে আমরা ৯টি দলের জোট নিয়েও ভাবছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলমান আছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমরা যেমন একসঙ্গে লড়েছি, একইভাবে নির্বাচনেও এরকম একটা সম্ভাবনা আছে। তবে কোনটাই সিদ্ধান্ত না। আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, আলোচনা চলমান।’
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম স্ট্রিমকে বলেন, ‘৯টি দলের জোট নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলমান। বিএনপি এবং জামায়াতের বিপরীতে তেমন বড় দল না থাকায় সবাই মিলে একটা জোট হলে হয়তো সম্ভাবনা আছে।’
৯টি রাজনৈতিক দলই আলাদা করে বিএনপির সঙ্গেও নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনা চলমান রেখেছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যেসব দল ছিল তাদের কয়েকজনকে বিএনপি সমর্থন দিতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ‘অতীব জরুরি’ শিরোনামে একটি চিঠি কয়েকটি নির্বাচনী আসনে স্থানীয় নেতাদের দিয়েছিল বিএনপি। চিঠিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর ছয়জন নেতাকে এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এক বছর আগে যাদের পক্ষে ওই চিঠি দেওয়া ওই ছয় তাঁরা হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা। এদের মধ্যে আ স ম আবদুর রব আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এক বছর আগে বিএনপির জনসংযোগে সহযোগিতা করা নিয়ে দেওয়া চিঠিটি জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করার ইঙ্গিত নয় বলে জানান গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘মূলত যাদের জনসংযোগে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছিল সেসব আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে নির্দিষ্ট দলগুলোর নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্ব ছিল। তাঁরা এলাকায় গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রোষানলে যেন না পড়েন সেজন্য বিএনপি ওই চিঠি দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির সঙ্গে জোটে যাওয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানান গণতন্ত্র মঞ্চের আওতাভুক্ত গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান। আমরা একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি, সেই জায়গা থেকে আমাদের একটা সখ্যতা তো রয়েছেই। আমরা শিগগিরই বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারব হয়তো। সবকিছুই আলোচনার টেবিলে আছে।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিএনপির সাথে আমাদের আলাপ চূড়ান্ত হয়নি। আগামী নির্বাচনে এনসিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, বিএনপি চায় আমরা যেন তাদের সাথে জোটে যাই। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি।’
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিএনপির সাথে আমাদের আলোচনার দরজা খোলা। আমরা যেহেতু ক্রমাগত একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বিএনপির সাথেও আলোচনা চলমান আছে। গণতান্ত্রিক যাত্রায় দুই দলই কাজ করে যাচ্ছে।’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্ট্রিমকে বলেন, ‘কয়েকটি দলের সাথেই কথা হচ্ছে নির্বাচনী জোট নিয়ে, এর মধ্যে বিএনপিও অন্যতম। অনেকগুলো জোটের সম্ভাবনার মধ্যে এইটাও একটা সম্ভাবনা। শিগগিরই আমাদের বসা হবে, তখন এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও নির্বাচনী জোটের আলোচনাতে রয়েছে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ এবং এবি পার্টি। অবশ্য গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক জোট হওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তারা এ-ও বলছেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। কোনোপক্ষ থেকেই এ ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তবে রাজনীতিতে শেষ বলেও কিছু নেই। আমরা আরও পর্যবেক্ষণ করছি, দেখা যাক কী হয়।’
এবি পার্টি এবং গণঅধিকারের নেতারা জামায়াতের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে বলছে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের আলোচনা চলমান আছে। সিদ্ধান্তে না পৌঁছানো সঠিকভাবে কিছুই বলছে না দল দুটির নেতারা।
এদিকে এনসিপি বিএনপির মতো জামায়াতকেও দেখতে চাচ্ছে। এনসিপি নেতা ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গেও চূড়ান্ত কোনো আলাপ হয়নি। জামায়াতও চায় এনসিপির সঙ্গে জোট করার জন্য। আমরা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি, বোঝাপড়ার চেষ্টা করছি।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে অন্য দলগুলোও নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছে। অনেক দল এককভাবে প্রার্থী ঘোষণাও শুরু করেছে। পাশাপাশি চলছে নির্বাচনী জোটের আলোচনা। এরমধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দল মিলে একটি নির্বাচনী জোটের আলোচনাও শোনা যাচ্ছে। আবার বিএনপির সঙ্গেও জোট বাঁধার আলাপও চলছে তাঁদের।
গত ৫ অক্টোবর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন ৫০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। ৯ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ১৪০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ছয় দলের মোর্চা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার কথা। এই দলগুলো ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আবার নির্বাচনী জোট গঠনের আলোচনার কথাও বলছেন দলগুলোর নেতারা।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন স্ট্রিমকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও ১০০টি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনশো আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে গণতন্ত্র মঞ্চ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে।’
বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য দলগুলো এককভাবে নির্বাচন করে কখনোই তেমন সাফল্য পায়নি। এ কারণে বরাবরই বড় দলের সঙ্গে জোট করার প্রবণতা থাকে অন্য দলের ভেতর। তবে এবার জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন দল এনসিপি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ ও কয়েকটি ছোট দল একসঙ্গে জোটভুক্ত হওয়ার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে অন্তত ৯টি দলের জোট গঠনের আলোচনা চলছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে।
এই দলগুলো হলো- এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও গণতন্ত্র মঞ্চের ৬ দল। গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দল হচ্ছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত স্ট্রিমকে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অন্য দলগুলোর মতো ৯টি দল নিয়েও জোটের একটা আলাপ আছে। তবে জুলাই সনদের আগে আমরা কংক্রিট কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছি না।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা চাই এককভাবে সারা দেশে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে, ১৪০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পর বাকি আসনগুলোতে প্রার্থী দেওয়ার কাজও চলছে। এর বাইরে আমরা ৯টি দলের জোট নিয়েও ভাবছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলমান আছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমরা যেমন একসঙ্গে লড়েছি, একইভাবে নির্বাচনেও এরকম একটা সম্ভাবনা আছে। তবে কোনটাই সিদ্ধান্ত না। আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, আলোচনা চলমান।’
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম স্ট্রিমকে বলেন, ‘৯টি দলের জোট নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলমান। বিএনপি এবং জামায়াতের বিপরীতে তেমন বড় দল না থাকায় সবাই মিলে একটা জোট হলে হয়তো সম্ভাবনা আছে।’
৯টি রাজনৈতিক দলই আলাদা করে বিএনপির সঙ্গেও নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনা চলমান রেখেছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যেসব দল ছিল তাদের কয়েকজনকে বিএনপি সমর্থন দিতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ‘অতীব জরুরি’ শিরোনামে একটি চিঠি কয়েকটি নির্বাচনী আসনে স্থানীয় নেতাদের দিয়েছিল বিএনপি। চিঠিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর ছয়জন নেতাকে এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এক বছর আগে যাদের পক্ষে ওই চিঠি দেওয়া ওই ছয় তাঁরা হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা। এদের মধ্যে আ স ম আবদুর রব আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এক বছর আগে বিএনপির জনসংযোগে সহযোগিতা করা নিয়ে দেওয়া চিঠিটি জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করার ইঙ্গিত নয় বলে জানান গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘মূলত যাদের জনসংযোগে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছিল সেসব আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে নির্দিষ্ট দলগুলোর নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্ব ছিল। তাঁরা এলাকায় গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রোষানলে যেন না পড়েন সেজন্য বিএনপি ওই চিঠি দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির সঙ্গে জোটে যাওয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানান গণতন্ত্র মঞ্চের আওতাভুক্ত গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান। আমরা একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি, সেই জায়গা থেকে আমাদের একটা সখ্যতা তো রয়েছেই। আমরা শিগগিরই বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারব হয়তো। সবকিছুই আলোচনার টেবিলে আছে।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিএনপির সাথে আমাদের আলাপ চূড়ান্ত হয়নি। আগামী নির্বাচনে এনসিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, বিএনপি চায় আমরা যেন তাদের সাথে জোটে যাই। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি।’
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিএনপির সাথে আমাদের আলোচনার দরজা খোলা। আমরা যেহেতু ক্রমাগত একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বিএনপির সাথেও আলোচনা চলমান আছে। গণতান্ত্রিক যাত্রায় দুই দলই কাজ করে যাচ্ছে।’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্ট্রিমকে বলেন, ‘কয়েকটি দলের সাথেই কথা হচ্ছে নির্বাচনী জোট নিয়ে, এর মধ্যে বিএনপিও অন্যতম। অনেকগুলো জোটের সম্ভাবনার মধ্যে এইটাও একটা সম্ভাবনা। শিগগিরই আমাদের বসা হবে, তখন এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও নির্বাচনী জোটের আলোচনাতে রয়েছে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ এবং এবি পার্টি। অবশ্য গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক জোট হওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তারা এ-ও বলছেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। কোনোপক্ষ থেকেই এ ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তবে রাজনীতিতে শেষ বলেও কিছু নেই। আমরা আরও পর্যবেক্ষণ করছি, দেখা যাক কী হয়।’
এবি পার্টি এবং গণঅধিকারের নেতারা জামায়াতের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে বলছে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের আলোচনা চলমান আছে। সিদ্ধান্তে না পৌঁছানো সঠিকভাবে কিছুই বলছে না দল দুটির নেতারা।
এদিকে এনসিপি বিএনপির মতো জামায়াতকেও দেখতে চাচ্ছে। এনসিপি নেতা ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গেও চূড়ান্ত কোনো আলাপ হয়নি। জামায়াতও চায় এনসিপির সঙ্গে জোট করার জন্য। আমরা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি, বোঝাপড়ার চেষ্টা করছি।’
‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্বকে পদ্ধতিগতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে—এই অভিযোগে চূড়ান্ত সনদটি প্রত্যাখ্যান করেছে নারী অধিকার সংগঠনের জোট ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি খাতে নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত ও দ্রুততর করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো ‘শক্তিকন্যা গ্রিন স্কিলস সামিট ২০২৫’।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।
৪ ঘণ্টা আগেপরবর্তীতে স্বাক্ষরের সুবিধা রেখেই জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এই স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে আলোচনায় শরিক দল কতদিন সময় পেতে তা জানায়নি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, আলোচনায় অংশ নেওয়া সব দলই স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠ
৪ ঘণ্টা আগে