leadT1ad

ভারত কীভাবে এবং কেন ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠল

ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো দেশটি কীভাবে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্রে পরিণত হলো—এই রূপান্তরের ইতিহাস আসলে ভারতের রাজনৈতিক চিন্তা, অর্থনৈতিক পরিবর্তন ও আদর্শিক স্খলনের ইতিহাসও বটে।

মাহবুবুল আলম তারেক
মাহবুবুল আলম তারেক
ঢাকা
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ২৭
ফিলিস্তিনের প্রশ্নে ভারত এখন আর আদর্শের নয়, বরং স্বার্থের রাজনীতিতে অবস্থান নেয়। স্ট্রিম গ্রাফিক

১৯৩৮ সালে মহাত্মা গান্ধী লিখেছিলেন, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদেরই ভূমি; ইহুদিদের সেখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’

সাত দশক পর, সেই একই ভূমিতে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আলিঙ্গন করে বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের সত্যিকারের বন্ধু।’

এই দুই মুহূর্তের মাঝখানে লুকিয়ে আছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এক গভীর রূপান্তর। উপনিবেশবিরোধী সংহতি থেকে কৌশলগত বাস্তববাদে, নৈতিক অবস্থান থেকে নিরাপত্তা ও বাজারমুখী কূটনীতিতে এক দীর্ঘ যাত্রা।

ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো দেশটি কীভাবে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্রে পরিণত হলো—এই রূপান্তরের ইতিহাস আসলে ভারতের রাজনৈতিক চিন্তা, অর্থনৈতিক পরিবর্তন ও আদর্শিক স্খলনের ইতিহাসও বটে।

ভারতের বুকার পুরস্কার জয়ী লেখক-অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়ের মতে, বিজেপির হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদ এবং ইসরায়েলের ইহুদীবাদী জায়নবাদের মধ্যে আদর্শগত সাদৃশ্যও এই দুই শক্তিকে ক্রমে কাছাকাছি আনতে বড় ভুমিকা রেখেছে।

এই মিল প্রকাশিত হয় দেশ দুটির নাগরিকত্ব নীতিতে। ইসরায়েল যেভাবে বিশ্বের যে কোনও দেশের ইহুদীদের নাগরিকত্ব দেয় ভারতও সেভাবে যে কোনও দেশের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয়। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক সামরিক, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক খাতে বিস্তৃত। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বছরে ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েল এখন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী (৩ বিলিয়ন ডলার) ।

অরুন্ধতী রায় সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দাবি করেন, বছরকয়েক আগেও ফিলিস্তিনি জনতার সংগ্রামে ভারতের সাধারণ মানুষের সমর্থন আর ভালবাসা ছিল। তা এখন পুরোপুরি অন্তর্হিত। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কেউ রাস্তায় দাঁড়ালেও পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকরা তাতে হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন (১৯৪৭–১৯৯১)

ভারতের প্রতিষ্ঠাতা নেতারা—যেমন মাহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরু—ফিলিস্তিনের সংগ্রামকে নিজেদের উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের প্রতিফলন হিসেবে দেখতেন। তাদের চোখে জায়নবাদ ছিল ঔপনিবেশিক শক্তির সঙ্গে একধরনের জোট।

মহাত্মা গান্ধী ফিলিস্তিনকে ভাগ করে ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি মত দেন, এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি অন্যায়কে আরও স্থায়ী করবে। অন্যদিকে, জওহরলাল নেহরু গুরুত্ব দিয়েছিলেন সদ্য স্বাধীন আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংহতি ও নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) আদর্শ রক্ষায়।

১৯৪৭ সালে ভারত জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে ভাগ করার প্রস্তাবের (রেজুলেশন ১৮১)-র বিরুদ্ধে ভোট দেয়, যাতে অঞ্চলটিকে ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রে ভাগ করার কথা বলা হয়। এছাড়া ভারত ১৯৪৯ সালের মে মাস পর্যন্ত ইসরায়েলের জাতিসংঘ সদস্যপদেও বিরোধিতা করে।

১৯৫০ সালে ভারত ইসরায়েলকে আইনি স্বীকৃতি দিলেও পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি আরও চার দশক। ভারতের এই অনীহার পেছনে ছিল কয়েকটি মূল কারণ। প্রথমত, ইসরায়েলকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে দেখা হয়নি, যা ভারতের বহুধর্মীয় গণতন্ত্রের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। দ্বিতীয়ত, স্নায়ু-যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পশ্চিমা শক্তির ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, আর ভারত ঝুঁকেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তৃতীয় বিশ্বের উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের দিকে। তৃতীয়ত, অভ্যন্তরীণ কারণও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারতের বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে ফিলিস্তিনি অধিকারের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখতে পারত।

ফলে ভারত আরব বিশ্বের বাইরে ফিলিস্তিনের অন্যতম জোরালো সমর্থক হয়ে ওঠে।

১৯৭৪ সালে ভারত ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (পিএলও)-কে ফিলিস্তিনিদের ‘একমাত্র বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পরে ১৯৮৮ সালে ভারত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে পূর্ণ স্বীকৃতি দেয়।

তবে ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সহযোগিতা গড়ে উঠছিল। ১৯৫৩ সালে ইসরায়েল বাণিজ্য ও ইহুদি অভিবাসনের উদ্দেশ্যে মুম্বাইয়ে (তৎকালীন বোম্বে) একটি কনস্যুলেট খোলে। এ ছাড়া ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে এবং ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েল গোপনে সামরিক সহায়তা দেয়।

কৃষিক্ষেত্রেও নীরবে সহযোগিতা শুরু হয়—ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় কৃষকদের ড্রিপ সেচসহ আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেন।

ইসরায়েলকে পূর্ণ কূটনৈতিক স্বীকৃতি: ১৯৯২

স্নায়ু-যুদ্ধের অবসান, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং প্রধানমন্ত্রী পি. ভি. নরসিংহ রাওয়ের অধীনে ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক উদারীকরণ ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বাস্তববাদী পরিবর্তন আনে।

১৯৯২ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারত ও ইসরায়েল পরস্পরের রাজধানীতে দূতাবাস স্থাপন করে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

এই ‘ডি-হাইফেনেশন’ নীতির মাধ্যমে ভারত ইসরায়েল সম্পর্ককে ফিলিস্তিন ইস্যু থেকে আলাদা করে দেখে। তত্‍কালীন ইসরায়েল-পিএলও অসলো শান্তি প্রক্রিয়াও এই পদক্ষেপকে সহজ করে তোলে।

এর ভিত্তি তৈরি হয়েছিল আরও আগেই। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘে রাজীব গান্ধী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পেরেজের গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের ওপর জোর রাজীবকে প্রভাবিত করে।

রাও সরকারের দৃষ্টিতে ইসরায়েল ছিল প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা জ্ঞানের সম্ভাব্য উৎস, বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রেক্ষাপটে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘোষণার সময় পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত ভারতে সফরে ছিলেন। তিনি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, এটি দুই রাষ্ট্র সমাধানের পথে অগ্রগতি আনবে।

কারণ তখন নরওয়ের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নেতৃত্বর মধ্যে গোপন আলোচনা চলছে এবং বিখ্যাত ‘অসলো চুক্তি’ও ততদিনে চূড়ান্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। ১৯৯৩ সালের সেই অসলো চুক্তিই তিউনিশিয়াতে নির্বাসিত জীবন থেকে আরাফতের নেতৃত্বাধীন পিএলও-র গাজা ও পশ্চিম তীরে ফেরার পথ প্রশস্ত করে।

তবে ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির বহু অঙ্গীকার পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা ভারতের কাছ থেকে ফিলিস্তিনিদের দূরত্বও বাড়িয়েছে।

প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা: ১৯৯০–২০১৩

১৯৯২ সালের পর ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক বাস্তব ক্ষেত্রগুলোতে দ্রুত উন্নত হয়। দুই দেশের বাণিজ্য মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। মূল খাত ছিল হীরা, কৃষি এবং উচ্চপ্রযুক্তি। ইসরায়েল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে ওঠে—ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং নজরদারি ব্যবস্থাসহ নানা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে ইসরায়েল ভারতকে ড্রোন সরবরাহ করে। ২০০০-এর দশকে চুক্তির মধ্যে ছিল ফ্যালকন রাডার সিস্টেম এবং বারাক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার পর সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা।

প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে (১৯৯৮–২০০৪) সম্পর্ক প্রসারিত হলেও ভারত প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান বজায় রাখে। ভারত ফিলিস্তিনকে আর্থিক সহায়তা দেয় এবং জাতিসংঘে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেয়।

২০০৮ সালের মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ইসরায়েল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণ সহযোগী হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও (২০০৪–২০১৪) দ্বিপাক্ষিক সুবিধাকে শান্তি প্রক্রিয়ার বিতর্ক থেকে আলাদা রাখেন।

মোদী-যুগে অংশীদারত্ব থেকে ‘বিশেষ’ জোট: ২০১৪–বর্তমান

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারত–ইসরায়েল সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। দুই দেশ সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাস ও সীমান্তবিদ্রোহের মতো যৌথ হুমকির মোকাবিলা।

হিন্দুত্ববাদ ও জায়নবাদের আদর্শিক মিলও এই ঘনিষ্ঠতাকে বাড়িয়ে তোলে। ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর নিরাপত্তা নীতি প্রণয়নে ভারত ‘ইসরায়েল মডেল’-এর দৃষ্টান্ত টানে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও প্রযুক্তি সহযোগিতা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে।

ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ চলাকালেও ভারত ইসরায়েলকে কূটনৈতিক সহায়তা দেয় এবং জাতিসংঘে হামাসবিরোধী প্রস্তাবে বিরত থাকে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় প্রতিনিধি দল ইসরায়েল সফরে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও কাশ্মীর–গাজা নিরাপত্তা অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করে।

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক জোয়া হাসানের মতে, ১৯৯২ সালের পর থেকেই ভারতের ফিলিস্তিনপন্থী নীতিতে ভাটা পড়েছিল, তবে মোদী যুগে তা নতুন মাত্রায় পৌঁছায়। তাঁর ভাষায়, “মোদী সরকারের সময়ে ভারত–ইসরায়েল সম্পর্ক এক নতুন আদর্শিক দিক পায়—ইসরায়েলের ‘চরম জাতীয়তাবাদ’ ও ‘নিরাপত্তা-প্রথম’ নীতির সঙ্গে ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রনীতি ক্রমশ মিশে যায়।”

তিনি আরও বলেন, ভারত যে নৈতিকতা ও মানবিকতার ভিত্তিতে একসময় বৈদেশিক নীতি গড়ে তুলেছিল, তা থেকে এখন ‘সুচিন্তিত অস্পষ্টতা’-র দিকে সরে এসেছে—যেখানে নৈতিক অবস্থান নয়, বরং বাস্তববাদ ও নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পায়।

একই সঙ্গে দেশের জনমতও এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। পিউ রিসার্চের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ ভারতীয় গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে সমর্থন জানাচ্ছেন, যেখানে আপত্তি রয়েছে মাত্র ২৯ শতাংশের। সমালোচকরা বলেন, ফিলিস্তিন এখন ভারতের জনগণের কাছেও আগের মতো নৈতিক ইস্যু নয়।

তবে ভারত পুরোপুরি ফিলিস্তিনকে ত্যাগ করেনি—দুই রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে অবস্থান এবং বৃত্তি ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েল–কেন্দ্রিক সম্পর্ক এখন তার পররাষ্ট্রনীতির মুখ্য অক্ষ।

স্বাধীন ভারতের নীতি একদা গান্ধীর নৈতিকতা ও সংহতির দর্শনে প্রোথিত ছিল; আজ সেটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে নিরাপত্তা ও বাস্তববাদের কূটনীতিতে। ফিলিস্তিনের প্রশ্নে ভারত এখন আর আদর্শের নয়, বরং স্বার্থের রাজনীতিতে অবস্থান নেয়—এবং এই পরিবর্তনই হয়তো সমসাময়িক ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রকৃত চিত্র।

Ad 300x250

সম্পর্কিত