স্ট্রিম প্রতিবেদক
বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি খাতে নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত ও দ্রুততর করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো ‘শক্তিকন্যা গ্রিন স্কিলস সামিট ২০২৫’। দেশের সবুজ রূপান্তর বা ‘গ্রিন ট্রানজিশন’-এ নারীদের অংশগ্রহণ আরও কার্যকর করতে শিক্ষা, শিল্প এবং নীতি—এই তিন খাতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে এই সম্মেলনকে দেখা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ‘শক্তিকন্যা লিডারশিপ কোহর্ট’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এই সম্মেলনে টেকসই জ্বালানি খাতের ২০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
‘শক্তিকন্যা লিডারশিপ কোহর্ট’ বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী তরুণীদের ক্ষমতায়নের জন্য তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। ইতিমধ্যে এই প্ল্যাটফর্মের দুটি ব্যাচ থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (স্টেম) বিষয়ে অধ্যয়নরত ১০০ জনেরও বেশি তরুণী স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। যাঁদের অনেকেই এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মতো খাতে কর্মরত আছেন। তৃতীয় ব্যাচের এই আয়োজনটি বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মান উন্নয়ন সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় জিআইজেড বাংলাদেশ ও ডেভটেল পার্টনার্স বাস্তবায়ন করছে।
এবারের সম্মেলনে শক্তিকন্যার উদ্যোগের ফলাফল তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে অংশ নেওয়া ২০টিরও বেশি কোম্পানি নারীদের জন্য ৪০টির বেশি প্রশিক্ষণার্থী পদ (ট্রেইনিশিপ) তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া তারা শক্তিকন্যার স্নাতকদের সঙ্গে সরাসরি মেন্টরশিপ, ক্যারিয়ার ডায়ালগ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে চারটি প্রধান অধিবেশনে বাংলাদেশের টেকসই খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। জিআইজেড বাংলাদেশের এনার্জি ক্লাস্টারের সমন্বয়ক মিসেস স্টোয়াঙ্কা স্টিচের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান এইচ ই মাইকেল মিলার, জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক প্রধান উলরিখ ক্লেপম্যান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব জোহরা খাতুন বক্তব্য দেন। তাঁরা বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি রূপান্তরে লিঙ্গ সমতাকে অন্যতম ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়ে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক প্রধান উলরিখ ক্লেপম্যান বলেন, ‘শক্তিকন্যা শুধু দক্ষতা অর্জনের জন্যই নয়, বরং নারীদের শুধু দর্শক হিসেবে ভাবা হতো এমন খাতে তাঁদের নিজের জায়গা তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই মাইকেল মিলার বলেন, ‘শক্তিকন্যা বাংলাদেশে আমাদের কাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নারীর ক্ষমতায়ন, প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি, তরুণদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করা এবং সবুজ রূপান্তরকে উৎসাহিত করাই যাদের লক্ষ্য। এই গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের মুহূর্তে ইইউ জ্বালানি ও জলবায়ু খাতে ৩.৭ বিলিয়ন ইউরো সহায়তাসহ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’
দিনব্যাপী আয়োজনে ‘গ্রিন স্কিলস ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ অ্যান্ড জাস্ট ট্রানজিশন’, ‘উইমেন লিডারস শেপিং দ্য গ্রিন ইকোসিস্টেম’ এবং করপোরেট খাতের নির্বাহীদের নিয়ে ‘বোর্ডরুম টু গ্রিনরুম’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, সবুজ অর্থনীতিতে উদ্ভাবন, সহনশীলতা এবং কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য নারীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এই সম্মেলন নারীদের আকাঙ্ক্ষা এবং সুযোগের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে আয়োজকেরা আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি খাতে নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত ও দ্রুততর করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো ‘শক্তিকন্যা গ্রিন স্কিলস সামিট ২০২৫’। দেশের সবুজ রূপান্তর বা ‘গ্রিন ট্রানজিশন’-এ নারীদের অংশগ্রহণ আরও কার্যকর করতে শিক্ষা, শিল্প এবং নীতি—এই তিন খাতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে এই সম্মেলনকে দেখা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ‘শক্তিকন্যা লিডারশিপ কোহর্ট’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এই সম্মেলনে টেকসই জ্বালানি খাতের ২০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
‘শক্তিকন্যা লিডারশিপ কোহর্ট’ বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী তরুণীদের ক্ষমতায়নের জন্য তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। ইতিমধ্যে এই প্ল্যাটফর্মের দুটি ব্যাচ থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (স্টেম) বিষয়ে অধ্যয়নরত ১০০ জনেরও বেশি তরুণী স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। যাঁদের অনেকেই এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মতো খাতে কর্মরত আছেন। তৃতীয় ব্যাচের এই আয়োজনটি বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মান উন্নয়ন সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় জিআইজেড বাংলাদেশ ও ডেভটেল পার্টনার্স বাস্তবায়ন করছে।
এবারের সম্মেলনে শক্তিকন্যার উদ্যোগের ফলাফল তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে অংশ নেওয়া ২০টিরও বেশি কোম্পানি নারীদের জন্য ৪০টির বেশি প্রশিক্ষণার্থী পদ (ট্রেইনিশিপ) তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া তারা শক্তিকন্যার স্নাতকদের সঙ্গে সরাসরি মেন্টরশিপ, ক্যারিয়ার ডায়ালগ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে চারটি প্রধান অধিবেশনে বাংলাদেশের টেকসই খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। জিআইজেড বাংলাদেশের এনার্জি ক্লাস্টারের সমন্বয়ক মিসেস স্টোয়াঙ্কা স্টিচের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান এইচ ই মাইকেল মিলার, জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক প্রধান উলরিখ ক্লেপম্যান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব জোহরা খাতুন বক্তব্য দেন। তাঁরা বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি রূপান্তরে লিঙ্গ সমতাকে অন্যতম ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়ে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক প্রধান উলরিখ ক্লেপম্যান বলেন, ‘শক্তিকন্যা শুধু দক্ষতা অর্জনের জন্যই নয়, বরং নারীদের শুধু দর্শক হিসেবে ভাবা হতো এমন খাতে তাঁদের নিজের জায়গা তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই মাইকেল মিলার বলেন, ‘শক্তিকন্যা বাংলাদেশে আমাদের কাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নারীর ক্ষমতায়ন, প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি, তরুণদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করা এবং সবুজ রূপান্তরকে উৎসাহিত করাই যাদের লক্ষ্য। এই গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের মুহূর্তে ইইউ জ্বালানি ও জলবায়ু খাতে ৩.৭ বিলিয়ন ইউরো সহায়তাসহ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’
দিনব্যাপী আয়োজনে ‘গ্রিন স্কিলস ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ অ্যান্ড জাস্ট ট্রানজিশন’, ‘উইমেন লিডারস শেপিং দ্য গ্রিন ইকোসিস্টেম’ এবং করপোরেট খাতের নির্বাহীদের নিয়ে ‘বোর্ডরুম টু গ্রিনরুম’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, সবুজ অর্থনীতিতে উদ্ভাবন, সহনশীলতা এবং কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য নারীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এই সম্মেলন নারীদের আকাঙ্ক্ষা এবং সুযোগের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে আয়োজকেরা আশা প্রকাশ করেন।
‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্বকে পদ্ধতিগতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে—এই অভিযোগে চূড়ান্ত সনদটি প্রত্যাখ্যান করেছে নারী অধিকার সংগঠনের জোট ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।
৪ ঘণ্টা আগেপরবর্তীতে স্বাক্ষরের সুবিধা রেখেই জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এই স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে আলোচনায় শরিক দল কতদিন সময় পেতে তা জানায়নি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, আলোচনায় অংশ নেওয়া সব দলই স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠ
৪ ঘণ্টা আগে৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে পণ্য কিনে সরকারের প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪ ঘণ্টা আগে