স্ট্রিম প্রতিবেদক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক খসড়া তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এনেছে বিএনপি। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে চলতি মাসেই দলটি একক প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিতে পারে। অবশ্য এই তালিকা আরও অন্তত দুই ধাপে পরিমার্জন হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির ঊর্ধতন একাধিক নেতা।
এদিকে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের একটি খসড়া তালিকা এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই তালিকায় থাকা একাধিক নেতা, বিশেষ করে তরুণ প্রার্থীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্র থেকে তাঁদেরকে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। তারা এখনো দল থেকে তালিকা প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি এবার ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ নিয়ে কঠোর অবস্থানে আছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। যাঁরা নমিনেশন পাবেন না, ক্ষেত্র বিশেষে তাঁরা যেন স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নেন– এমন কথাও বলা হচ্ছে। আর কিছু আসনের স্থানীয় নেতারা স্ট্রিমকে জানান, যে সব আসনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন তাঁদের সবার সঙ্গে কথা বলে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
দলটির একটি সূত্র স্ট্রিমকে জানায়, পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ভবিষ্যত বিবেচনায় এবার তাই চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় বিএনপির তৃণমূলে জনপ্রিয় তরুণদের দেখা যেতে পারে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার জানামতে, তৃণমূলের মতামত, নিরপেক্ষ জনমত যাচাই এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তথ্যাদি পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। তবে মনোনয়ন কখন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
যদিও দলটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়টি বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে। চলতি মাসেই এমন অন্তত ২০০ আসনে একক প্রার্থী নিশ্চিত করে নির্বাচনের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দেশের আটটি বিভাগ এবং কুমিল্লাকে আলাদা ধরে মোট ৯টি ভাগ করা হয়েছে। এসব এলাকার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন বিএনপির শীর্ষ পাঁচ নেতা। এ দলে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
তাঁদের মধ্যে তারেক রহমান দায়িত্বে আছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে, মির্জা ফখরুল সিলেট ও খুলনায়, নজরুল ইসলাম খান রাজশাহী ও রংপুরে, ডা. জাহিদ হোসেন কুমিল্লা ও বরিশালে এবং সালাহ উদ্দিন আহমেদ দেখছেন ময়মনসিংহ বিভাগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ।
এ বিষয়ে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী জানান, প্রত্যেক আসনের আগ্রহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। আলোচনায় দলের নির্দেশনা ও কেন্দ্রের বার্তা স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, যদিও দলীয় পর্যায়ে খসড়া তালিকা প্রায় তৈরি, এরপরও চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় নতুন কিছু আসতে পারে।
ঢাকা জেলার এক মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা বলেন, ‘আলোচনাগুলো অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতামাত্র। শেষ পর্যন্ত দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তাঁকেই সবার মেনে নিতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের একটি সংসদীয় আসনের তরুণ এক প্রার্থী বলেন, এই সাক্ষাৎকারের মূল বার্তা হচ্ছে–চূড়ান্ত প্রার্থী যাকে করা হবে, সবাই যেন তাকেই সমর্থন করেন। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। এটি চূড়ান্তভাবে দল থেকে বহিষ্কারও হতে পারে। আর দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক এক নেতা বলেন, এবার প্রার্থী নির্ধারণে তরুণদের প্রাধান্য থাকবে বলে আশা করা যায়।
তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিশেষ সেলের তৈরি করা প্রাথমিক খসড়া তালিকাটি আলোচনার জন্য পরে পাঠানো হবে স্থায়ী কমিটিতে। সেখানে যুক্তি-তর্ক শেষে সংযোগ-বিয়োজন করে তৈরি হবে চূড়ান্ত তালিকা। এরপর জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন চূড়ান্ত হলে আরেক ধাপের সমন্বয় হবে।
এদিকে, যেসব আসনে একাধিক হেভিওয়েট নেতা আছেন এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ–এমন কিছু আসনে একাধিক নাম রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে। নির্বাচনী কৌশল ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব আসনে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী বাদ বা সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান নিজে।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য এ বিষয়ে বলেন, ‘আগে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। এবার মূল সিদ্ধান্তে তারেক রহমানের ভূমিকা মুখ্য থাকবে। তবে কিছু আসনে খালেদা জিয়ার বিশেষ পছন্দকেও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।’
বিএনপি সূত্র বলছে, ভোটে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী থাকলে শরিক দলগুলোকে সর্বোচ্চ ৫০টি আসনে ছাড় দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে আগামী মাসেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের আসন ছাড় দিয়ে সব আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। অবশ্য, দলের নীতি নির্ধারকদের মতে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণের আগে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদেরও বিবেচনায় রাখা হবে। বর্তমানে শরিক দলগুলোকে ২০টির মতো আসন ছাড়ার প্রাথমিক আলোচনা চলছে।
শরিক দলের এক নেতাও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আলোচনা এখনো চলমান থাকায় তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘এখনো নির্বাচনী সমীকরণ পুরোপুরি ঠিক হয়নি। কোন দল কত আসন পাবে, তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, কোন প্রার্থী জয়ের সম্ভাবনা রাখেন। নির্বাচনের ধরন ও অংশগ্রহণের ওপরই নির্ভর করবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘নির্বাচনী সমীকরণ এখনো পরিবর্তনশীল। সামনে আরও নতুন উপাদান যোগ হবে। সব কিছু স্পষ্ট হতে সময় লাগবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক খসড়া তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এনেছে বিএনপি। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে চলতি মাসেই দলটি একক প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিতে পারে। অবশ্য এই তালিকা আরও অন্তত দুই ধাপে পরিমার্জন হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির ঊর্ধতন একাধিক নেতা।
এদিকে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের একটি খসড়া তালিকা এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই তালিকায় থাকা একাধিক নেতা, বিশেষ করে তরুণ প্রার্থীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্র থেকে তাঁদেরকে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। তারা এখনো দল থেকে তালিকা প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি এবার ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ নিয়ে কঠোর অবস্থানে আছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। যাঁরা নমিনেশন পাবেন না, ক্ষেত্র বিশেষে তাঁরা যেন স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নেন– এমন কথাও বলা হচ্ছে। আর কিছু আসনের স্থানীয় নেতারা স্ট্রিমকে জানান, যে সব আসনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন তাঁদের সবার সঙ্গে কথা বলে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
দলটির একটি সূত্র স্ট্রিমকে জানায়, পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ভবিষ্যত বিবেচনায় এবার তাই চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় বিএনপির তৃণমূলে জনপ্রিয় তরুণদের দেখা যেতে পারে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার জানামতে, তৃণমূলের মতামত, নিরপেক্ষ জনমত যাচাই এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তথ্যাদি পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। তবে মনোনয়ন কখন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
যদিও দলটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়টি বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে। চলতি মাসেই এমন অন্তত ২০০ আসনে একক প্রার্থী নিশ্চিত করে নির্বাচনের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দেশের আটটি বিভাগ এবং কুমিল্লাকে আলাদা ধরে মোট ৯টি ভাগ করা হয়েছে। এসব এলাকার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন বিএনপির শীর্ষ পাঁচ নেতা। এ দলে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
তাঁদের মধ্যে তারেক রহমান দায়িত্বে আছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে, মির্জা ফখরুল সিলেট ও খুলনায়, নজরুল ইসলাম খান রাজশাহী ও রংপুরে, ডা. জাহিদ হোসেন কুমিল্লা ও বরিশালে এবং সালাহ উদ্দিন আহমেদ দেখছেন ময়মনসিংহ বিভাগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ।
এ বিষয়ে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী জানান, প্রত্যেক আসনের আগ্রহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। আলোচনায় দলের নির্দেশনা ও কেন্দ্রের বার্তা স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, যদিও দলীয় পর্যায়ে খসড়া তালিকা প্রায় তৈরি, এরপরও চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় নতুন কিছু আসতে পারে।
ঢাকা জেলার এক মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা বলেন, ‘আলোচনাগুলো অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতামাত্র। শেষ পর্যন্ত দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তাঁকেই সবার মেনে নিতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের একটি সংসদীয় আসনের তরুণ এক প্রার্থী বলেন, এই সাক্ষাৎকারের মূল বার্তা হচ্ছে–চূড়ান্ত প্রার্থী যাকে করা হবে, সবাই যেন তাকেই সমর্থন করেন। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। এটি চূড়ান্তভাবে দল থেকে বহিষ্কারও হতে পারে। আর দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক এক নেতা বলেন, এবার প্রার্থী নির্ধারণে তরুণদের প্রাধান্য থাকবে বলে আশা করা যায়।
তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিশেষ সেলের তৈরি করা প্রাথমিক খসড়া তালিকাটি আলোচনার জন্য পরে পাঠানো হবে স্থায়ী কমিটিতে। সেখানে যুক্তি-তর্ক শেষে সংযোগ-বিয়োজন করে তৈরি হবে চূড়ান্ত তালিকা। এরপর জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন চূড়ান্ত হলে আরেক ধাপের সমন্বয় হবে।
এদিকে, যেসব আসনে একাধিক হেভিওয়েট নেতা আছেন এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ–এমন কিছু আসনে একাধিক নাম রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে। নির্বাচনী কৌশল ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব আসনে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী বাদ বা সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান নিজে।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য এ বিষয়ে বলেন, ‘আগে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। এবার মূল সিদ্ধান্তে তারেক রহমানের ভূমিকা মুখ্য থাকবে। তবে কিছু আসনে খালেদা জিয়ার বিশেষ পছন্দকেও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।’
বিএনপি সূত্র বলছে, ভোটে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী থাকলে শরিক দলগুলোকে সর্বোচ্চ ৫০টি আসনে ছাড় দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে আগামী মাসেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের আসন ছাড় দিয়ে সব আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। অবশ্য, দলের নীতি নির্ধারকদের মতে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণের আগে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদেরও বিবেচনায় রাখা হবে। বর্তমানে শরিক দলগুলোকে ২০টির মতো আসন ছাড়ার প্রাথমিক আলোচনা চলছে।
শরিক দলের এক নেতাও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আলোচনা এখনো চলমান থাকায় তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘এখনো নির্বাচনী সমীকরণ পুরোপুরি ঠিক হয়নি। কোন দল কত আসন পাবে, তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, কোন প্রার্থী জয়ের সম্ভাবনা রাখেন। নির্বাচনের ধরন ও অংশগ্রহণের ওপরই নির্ভর করবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘নির্বাচনী সমীকরণ এখনো পরিবর্তনশীল। সামনে আরও নতুন উপাদান যোগ হবে। সব কিছু স্পষ্ট হতে সময় লাগবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ জাসদ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) জুলাই জাতীয় সনদে সই করছে না। এরই মধ্যে তারা আগামীকাল শুক্রবারের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাসের চারপাশে ২০০ গজের মধ্যে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ জমায়েত হলেও পুলিশ বাধা দেয়নি।
১৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন কমিশন সোহরাওয়ার্দী হল ও অতীশ দীপঙ্কর হলের ব্যালট পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেমেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
১৬ ঘণ্টা আগে