leadT1ad

৩৩ গুণ বেশি দামে পণ্য ক্রয়, রেলের ১৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লোগো। ছবি: সংগৃহীত

৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে পণ্য কিনে সরকারের প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিওসি (পশ্চিম) খায়রুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মজিবুর রহমান, সাবেক সিওসি (পশ্চিম) বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক এসিওএস জাহিদ কাওছার, সাবেক ডেপুটি সিসিএম (পশ্চিম) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, সাবেক ডিএফএ শ্যামলী রাণী রায়, সাবেক উচ্চমান সহকারী (বর্তমানে সিওসি-পূর্ব) আলামিন তালুকদার, সাবেক ডিএফএ (অর্থ-পশ্চিম) আলমগীর হোসেন, সাবেক সিওপিএস (পশ্চিম) এ এম এম শাহনেওয়াজ, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) শরিফুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি সিওপিএস (পশ্চিম) মোছা. হাসিনা খাতুন, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) মসিহ উল হাসান, সাবেক এসিসিএম (পশ্চিম) শেখ আব্দুল জব্বার, সাবেক অতিরিক্ত এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) গোলাম রব্বানী, গোলাম রহমান, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিও (পশ্চিম) সরোজ কান্তি দেব ও সাবেক সিসিএম (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা দপ্তরের ১৭ ধরনের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রকৃত বাজারদর যাচাই না করে ৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দর নির্ধারণ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে পরে মূল্যায়ন কমিটি, অনুমোদনকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের সহায়তায় তাঁরা ২ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

২০১৭ থেকে ২০২২-এর মধ্যে এসব অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত