স্ট্রিম প্রতিবেদক
দেশব্যাপী চলমান টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ১০ দিনে লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ অর্জন করেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। নানা গুজব ও শঙ্কা সত্ত্বেও বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি শিশুকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
ইপিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে মোট ৪ কোটি ৩৮ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি শিশু টিকার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে টিকা নিয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখেরও বেশি। এছাড়া, নিবন্ধন করেনি এমন ৬৪ হাজারের বেশি শিশুকেও কমিউনিটি পর্যায় থেকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ দশমিক ২৭ শতাংশ শিশুর টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।
ইপিআই বলছে, প্রথম ১০ দিনে (২১ অক্টোবর পর্যন্ত) ১ কোটি ৮১ লাখ ৯২ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি শিশু টিকা পেয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার ৯২ দশমিক ৯২ শতাংশ সম্পন্ন করে বিভাগ হিসাবে টিকাদানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ময়মনসিংহ এবং ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ সম্পন্ন করে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ঢাকা।
তবে টিকাদান কর্মসূচির শুরুতে অভিভাবকদের মধ্যে দ্বিধা কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নানা গুজবের কারণে প্রথমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা নিবন্ধন করাতে রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু টিকা দেওয়ার পর তেমন কোনো বড় সমস্যার কথা না শোনায়, অনেকেই এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন।’
সাভারের আমিনবাজার মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নুরজাহান বেগম টিকা নেওয়ার পর তার বাবা মো. শাহজাহান বলেন, ‘যখন ছোট ছিল, তখন সরকারিভাবে সব টিকা দিয়েছি। এটাও তো ওর সুরক্ষার জন্যই। প্রথমে একটু শঙ্কা ছিল, কিন্তু পরে শুনলাম এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত, তাই আর দ্বিধা করিনি।’
গুজবের বিষয়টি স্বীকার করে ইপিআইয়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাজীব সরকার জানান, ‘শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। অনেক অভিভাবক টিকা নিয়ে গুজবে বিশ্বাস করেছেন—বলেছেন টিকা নিলে সন্তান হবে না, ক্যানসার হবে। এসবই ভুল ধারণা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন বাড়ছে। আমাদের ধারণা, আমরা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ টিকা প্রদান করতে সক্ষম হব।’
ফিরোজা বাশার আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘টাইফয়েড টিকা নিয়ে নানা গুজব শুনছি, কেউ বলছে এতে প্রজনন ক্ষমতা কমবে, কেউ বলছে টিকা হালাল নয়—এমন কথাও এক চিকিৎসকের মুখেই শুনেছি।’
অথচ গত ১২ অক্টোবর টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু জাফর জানিয়েছিলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষিত ও অনুমোদিত এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর। এতে শরিয়ত নিষিদ্ধ কোনো উপাদান নেই।’ তিনি আরও জানান, টিকাটি সৌদি হালাল সেন্টারের হালাল সনদপ্রাপ্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইফয়েড সংক্রমণের উচ্চঝুঁকির একটি দেশ বাংলাদেশ। এর পেছনে রয়েছে সীমিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, দূষিত পানি, উচ্চ জনসংখ্যা ঘনত্ব এবং অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘রোগের প্রকোপ না থাকলে সরকার এমন বড় টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিত না। টাইফয়েড ঠেকাতে হলে রোগ প্রতিরোধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি টিকাই শিশুদের সুরক্ষার কার্যকর উপায়।’
ইপিআই জানিয়েছে, দেশে ২০২১ সালে ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ৮ হাজার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের ৬৮ শতাংশই ছিল শিশু। এই ভয়াবহতা রোধেই এবারের ক্যাম্পেইনে ৪ কোটি ৩৮ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), গ্যাভি–দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহায়তায় ইপিআই এই টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন চালু করেছে। ভারতের বায়োলজিক্যাল ই কোম্পানির তৈরি এই টিকাটি পাকিস্তান ও নেপালসহ কয়েকটি দেশে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইপিআই কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এই ক্যাম্পেইন শেষে ২০২৬ সাল থেকে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) নিয়মিত টিকা হিসেবে ইপিআই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
দেশব্যাপী চলমান টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ১০ দিনে লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ অর্জন করেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। নানা গুজব ও শঙ্কা সত্ত্বেও বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি শিশুকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
ইপিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে মোট ৪ কোটি ৩৮ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি শিশু টিকার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে টিকা নিয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখেরও বেশি। এছাড়া, নিবন্ধন করেনি এমন ৬৪ হাজারের বেশি শিশুকেও কমিউনিটি পর্যায় থেকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ দশমিক ২৭ শতাংশ শিশুর টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।
ইপিআই বলছে, প্রথম ১০ দিনে (২১ অক্টোবর পর্যন্ত) ১ কোটি ৮১ লাখ ৯২ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি শিশু টিকা পেয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার ৯২ দশমিক ৯২ শতাংশ সম্পন্ন করে বিভাগ হিসাবে টিকাদানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ময়মনসিংহ এবং ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ সম্পন্ন করে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ঢাকা।
তবে টিকাদান কর্মসূচির শুরুতে অভিভাবকদের মধ্যে দ্বিধা কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নানা গুজবের কারণে প্রথমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা নিবন্ধন করাতে রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু টিকা দেওয়ার পর তেমন কোনো বড় সমস্যার কথা না শোনায়, অনেকেই এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন।’
সাভারের আমিনবাজার মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নুরজাহান বেগম টিকা নেওয়ার পর তার বাবা মো. শাহজাহান বলেন, ‘যখন ছোট ছিল, তখন সরকারিভাবে সব টিকা দিয়েছি। এটাও তো ওর সুরক্ষার জন্যই। প্রথমে একটু শঙ্কা ছিল, কিন্তু পরে শুনলাম এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত, তাই আর দ্বিধা করিনি।’
গুজবের বিষয়টি স্বীকার করে ইপিআইয়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাজীব সরকার জানান, ‘শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। অনেক অভিভাবক টিকা নিয়ে গুজবে বিশ্বাস করেছেন—বলেছেন টিকা নিলে সন্তান হবে না, ক্যানসার হবে। এসবই ভুল ধারণা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন বাড়ছে। আমাদের ধারণা, আমরা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ টিকা প্রদান করতে সক্ষম হব।’
ফিরোজা বাশার আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘টাইফয়েড টিকা নিয়ে নানা গুজব শুনছি, কেউ বলছে এতে প্রজনন ক্ষমতা কমবে, কেউ বলছে টিকা হালাল নয়—এমন কথাও এক চিকিৎসকের মুখেই শুনেছি।’
অথচ গত ১২ অক্টোবর টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু জাফর জানিয়েছিলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষিত ও অনুমোদিত এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর। এতে শরিয়ত নিষিদ্ধ কোনো উপাদান নেই।’ তিনি আরও জানান, টিকাটি সৌদি হালাল সেন্টারের হালাল সনদপ্রাপ্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইফয়েড সংক্রমণের উচ্চঝুঁকির একটি দেশ বাংলাদেশ। এর পেছনে রয়েছে সীমিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, দূষিত পানি, উচ্চ জনসংখ্যা ঘনত্ব এবং অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘রোগের প্রকোপ না থাকলে সরকার এমন বড় টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিত না। টাইফয়েড ঠেকাতে হলে রোগ প্রতিরোধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি টিকাই শিশুদের সুরক্ষার কার্যকর উপায়।’
ইপিআই জানিয়েছে, দেশে ২০২১ সালে ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ৮ হাজার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের ৬৮ শতাংশই ছিল শিশু। এই ভয়াবহতা রোধেই এবারের ক্যাম্পেইনে ৪ কোটি ৩৮ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), গ্যাভি–দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহায়তায় ইপিআই এই টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন চালু করেছে। ভারতের বায়োলজিক্যাল ই কোম্পানির তৈরি এই টিকাটি পাকিস্তান ও নেপালসহ কয়েকটি দেশে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইপিআই কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এই ক্যাম্পেইন শেষে ২০২৬ সাল থেকে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) নিয়মিত টিকা হিসেবে ইপিআই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালতের রায়ের মাধ্যমে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হলেও বর্তমান সাংবিধানিক বাস্তবতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। ফলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেসহপাঠীকে ধর্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেজ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বন্ধে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাসের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে দুটি ওয়াশিং প্ল্যান্টের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ সংযোগে ব্যবহৃত পাইপলাইন ও সরঞ্জাম অপসারণ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক হতে বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে