leadT1ad

ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে কোটি কোটি টাকা খরচায় গুপ্তচরবৃত্তি করেছে আ. লীগ

ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েল থেকে গোপনে নজরদারি প্রযুক্তি কেনে। এই নজরদারি প্রযুক্তি কেনায় তৎকালীন সরকার ব্যয় করে প্রায় ২৩১১ কোটি টাকা।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ৩৪
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ৩৭
স্ট্রিম গ্রাফিক

২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নজরদারি ও স্পাইওয়্যার প্রযুক্তিতে প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় (আজকের মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ২৩১১ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা) করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অন্তত ৪০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা) ব্যয় হয়েছে ইসরায়েলি প্রযুক্তির পেছনে। বিশ্বের স্বৈরাচারী সরকারগুলোর এসব ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহারে কুখ্যাতি আছে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসন যত জোরদার হয়েছে, এই নজরদারি ব্যয়ও তত বেড়েছে। এ সময়ে অন্তত ১৬০টি নজরদারি প্রযুক্তি পণ্য কেনা বা ব্যবহৃত হয়েছে। এর প্রায় সবই সাধারণত অস্বচ্ছ চুক্তি ও তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়।

প্রযুক্তি অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট পরিচালিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্যই ওঠে এসেছে। সংস্থাটির আগস্ট সংখ্যাটি `দ্য ডিজিটাল পুলিশ স্টেট: সারভেইলেন্স, সিক্রেসি অ্যান্ড স্টেট পাওয়ার ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। এক বছরব্যাপী অনুসন্ধানের ফল ৭০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এতে বাংলাদেশের নজরদারি ব্যবস্থার বিকাশ ও কাঠামো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, `২০১৮ ও ২০২৪-এর জাতীয় নির্বাচনের আগে বা ঠিক পরপরই এসব প্রযুক্তি কেনাকাটা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। আর এটিই ইঙ্গিত দেয় যে এই প্রযুক্তিগুলো বিরোধী রাজনীতিক ও নাগরিকদের দমন এবং শাসনব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষায় ব্যবহৃত হয়েছে।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে অবস্থানগত ট্র্যাকিংয়ে ১০.৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার) এবং স্পাইওয়্যার ও ডেটা এক্সট্র্যাকশনে ৭৭.১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৭৫ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার) ব্যয় বেড়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশ ও প্রার্থীদের ওপর নজরদারি জোরদার করা হয়।

কেনাকাটার বিষয়ে কোনো রেকর্ড বা নথি নেই, তাই ব্যয়ের প্রকৃত অঙ্ক আরও বেশি হতে পারে বলে প্রতিবেদনটি বলা হয়। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিনিয়োগগুলো ডিজিটাল যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্রীয় সক্ষমতার একটি সমন্বিত রূপ।

এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের এক গোপন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। সেখানে প্রাথমিক শারীরিক নজরদারি থেকে শুরু করে উন্নত, সাইবার-সক্ষম নজরদারি নেটওয়ার্কের বিকাশের পথচিত্র উঠে এসেছে। এই নেটওয়ার্ক তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ঠেকানো, মেটাডেটা বিশ্লেষণ, দূর থেকে আড়িপাতা এবং কনটেন্ট ফিল্টার করার মতো ক্ষমতা রাখে।

হোলি আর্টিজান এবং গুপ্তচরবৃত্তির উৎসব

গ্লোবাল ওয়ার অন টেররের আওতায় বাংলাদেশের নজরদারি ব্যবস্থার এই ধীর পরিবর্তন গতি পায় ২০১৬ সালের হোলি আর্টিজান বেকারি হামলার পর। এই পরিবর্তন কুখ্যাত হয়ে ধরা দেয় ২০১৮ সালে সিটিজেন ল্যাবের এক প্রতিবেদনের পর। ওই প্রতিবেদনেই প্রকাশ পায়—ইসরায়েলি সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা এনএসও গ্রুপ নির্মিত শক্তিশালী স্পাইওয়্যার পেগাসাস ৪৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

তবে টেক গ্লোবালের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ইসরায়েলভিত্তিক স্পাইওয়্যারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা ধারণার চেয়েও অনেক গভীরে।

অনুসন্ধানে বলা হয়, সাইপ্রাস নজরদারি প্রযুক্তি কেনা-বেচায় মধ্যস্থতাকারী হাব হিসেবে সুপরিচিতি। দেশটি থেকে পাওয়া কিছু রপ্তানি নথিতে দেখা যায় কোরালকো টেক অপর একটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির সিঙ্গাপুরে কার্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) কাছে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার) স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই। তাই দেশটি থেকে সরাসরি কেনা-বেচা নিষিদ্ধ। তবুও ইসরায়েলি প্রযুক্তি তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় এ দেশে ঢুকেছে। দেশগুলোর মধ্যে আছে—সাইপ্রাস, সিঙ্গাপুর ও হাঙ্গেরি।

এ ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত কিছু সুপরিচিত কোম্পানিও ছিল, যাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর রেকর্ড ছিল। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারের কাছে তারা নজরদারি সরঞ্জাম ও স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছে।

সরঞ্জামগুলো কোথায়

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এককভাবে সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল। এনটিএমসি ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এ খাতে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। মূলত নেটওয়ার্ক ইন্টারসেপশন, ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন, দূর থেকে আড়িপাতা এবং অ্যাপ ও ডিভাইস-স্তরের ডেটা সংগ্রহের জন্য এসব প্রযুক্তি কেনা হয়।

বাংলাদেশ পুলিশ ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র‍্যাব) ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ইন্টারসেপশন ও সিগন্যাল জ্যামিং প্রযুক্তিতে ব্যয় করেছে। মূলত ভীড় নিয়ন্ত্রণ ও বিক্ষোভকারীদের নজরদারির জন্য এসব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতো। আর ডিজিএফআইয়ের মনোযোগ ছিল সেল নেটওয়ার্ক মনিটরিং, ট্যাপিং ও সিগন্যাল জ্যামিংয়ে।

২০১৫ সালে সিটিজেন ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিএফআই ফিনফিশার কিনেছিল। এটি এক ধরনের স্পাইওয়্যার যা টার্গেট ডিভাইসে প্রবেশ করে সেটিকে সংক্রমিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মেসেজিং অ্যাপ এবং ওয়েব কনটেন্ট পর্যবেক্ষণের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সিআইআরটিও স্পাইওয়্যারে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।

২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকার নজরদারি ও স্পাইওয়্যারে এক বছরে সর্বোচ্চ ব্যয়ের রেকর্ড করে। মোট প্রায় ৮৮.৩ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৭৩ কোটি ৪১ লাখ ১৪ হাজার) ব্যয় হয় ওই বছর। এর মধ্যে অন্তত ৭৮.৩ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৫২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার) ব্যয় করে এনটিএমসি।

সেই বছরই মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এনটিএমসির নেতৃত্ব পান। সংস্থাটিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা একটি সাধারণ গোয়েন্দা তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট থেকে একটি উচ্চপ্রযুক্তির গুপ্তচর সংস্থায় রূপান্তরের তদারকি করেন তিনি।

কীভাবে ম্যালওয়্যার ছড়ানো হয়েছিল

নজরদারি ও স্পাইওয়্যার—দুটিই যোগাযোগে বাধা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে উদ্দেশ্যের দিক থেকে দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে।

নজরদারি আইনগতভাবে পরিচালিত হতে পারে, যদি তা নিরাপত্তা বা আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে করা হয়। অন্যদিকে, স্পাইওয়্যার হল এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা অনুমতি ছাড়া ইনস্টল করে তথ্য চুরি করা হয়।

তবে টেক গ্লোবালের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুইয়ের সীমারেখা ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারণ আধুনিক নজরদারিতে বিস্তৃত ও নির্বিচার পর্যবেক্ষণের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে।

তদন্তে এমন কিছু ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে যেখানে ম্যালওয়্যার সাধারণ অ্যাপের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে—যেমন রাইডশেয়ারিং, খাবার সরবরাহ, ই-কমার্স, গেমস এবং স্থানীয় কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘একবার ইনস্টল হয়ে গেলে এই ম্যালওয়্যার গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ডিভাইসে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেয়। যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করতে এবং অ্যাপ-স্তরের ইন্টারসেপশন ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম করে তুলে।’

২২টির অধিক আইন ও নীতি এই নজরদারিকে সক্ষম করে তুলেছে

প্রতিবেদনে এমন এক জটিল দেশীয় আইন কাঠামোর কথা বলা হয়েছে, যেখানে নজরদারিকে হয় স্পষ্টভাবে অনুমোদন দেয় বা পরোক্ষভাবে নজরদারিকে সহজতর করে। কিন্তু এর অনেকগুলোই গোপন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও ক্ষমতায়িত, যা সাংবিধানিক সুরক্ষা লঙ্ঘন করে ব্যাপক নজরদারির সুযোগ তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০০১ হলো নজরদারি পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রধান আইনি হাতিয়ার।

২০০৬ এবং ২০১০ সালে সংশোধনের পর এই আইন কার্যত আইনপ্রয়োগকারী, গোয়েন্দা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে এমন ক্ষমতা দেয়, যার মাধ্যমে তারা টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরিত তথ্য ঠেকাতে, নজরদারি করতে এবং সংগ্রহ করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে এই বিধানগুলোকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা এনটিএমসি, ডিজিএফআই, এনএসআই, এটিইউ, এসবি, র‍্যাব এবং বাংলাদেশ পুলিশের মতো সংস্থাগুলোকে ইন্টারনেট ট্র্যাফিক, এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ এবং ভয়েস ও ডেটা ট্রান্সমিশনের ওপর অবারিত নজরদারির ক্ষমতা দিয়েছে।

এ ছাড়া, সেবা প্রদানকারীদের সরকারি অনুরোধে সহযোগিতা করতে বাধ্য। আর তা না করলে তারা জরিমানা, কারাদণ্ড এবং অপারেটিং লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ার মতো ফৌজদারি শাস্তির হুমকি ছিল।

এখন কী অবস্থা

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলেও, বাংলাদেশে নজরদারি ও স্পাইওয়্যার এখনও কেনা ও ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, এবং হলে এর মাত্রাটা কেমন—তা স্পষ্ট নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারি নথিতে দেখা যায়, র‍্যাব মোবাইল ইন্টারসেপশন ডিভাইসযুক্ত যানবাহন সংগ্রহ করেছে এবং তাদের কর্মকর্তারা মোবাইল ও ওয়াই-ফাই ইন্টারসেপশন বিষয়ে প্রশিক্ষণের অনুমোদন পেয়েছেন। যা বড় সমাবেশ ও বিক্ষোভের সময় মোতায়েন, এমনকি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও ব্যবহার হয়েছে।

মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসনের দুর্বলতায় নিহিত এই পদ্ধতিগত লঙ্ঘনগুলিকে মোকাবিলার জন্য, নজরদারির উপর সাংবিধানিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে বাংলাদেশের প্রচেষ্ঠাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে একাধিক আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বিবরণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—নজরদারি আইন, যেমন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০০১, টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট, ১৮৮৫ এবং ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি অ্যাক্ট, ১৯৩৩ সংস্কারের জন্য একটি সংস্কার কমিশন গঠন; নজরদারি সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়াকে সংসদীয় তদারকি ও বিচারিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা; শক্তিশালী ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন; একটি স্বাধীন সংসদীয় তদারকি কমিটি গঠনসহ আরও অনেক পদক্ষেপ।

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এসব প্রযুক্তি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে। পাশাপাশি, অর্থবহ সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়েছে। যা দেশকে `ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের মডেল‘ হয়ে ওঠা থেকে বিরত রাখবে।

Ad 300x250

ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে কোটি কোটি টাকা খরচায় গুপ্তচরবৃত্তি করেছে আ. লীগ

আনাস আল শরীফ: মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে সাংবাদিকতা

মার্কিন শুল্ক ১৫ শতাংশেরও কমে নামানোর চেষ্টা করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

জাতীয় যুবশক্তির ইশতেহার ঘোষণা, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির

সম্পর্কিত