স্ট্রিম প্রতিবেদক

সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হতে পারে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। অধ্যাপক ইউনূসের মন্তব্যকে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। এ জন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন এক নেতা।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) এনসিপি নেতারা এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে জিটিওকে দেওয়া ড. ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকার গত সোমবার প্রকাশিত হয়। সেখানে সাংবাদিক মেহদি হাসানের প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি; তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করা হয়নি। শুধু দলের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা দল হিসেবে বৈধ রয়েছে, তবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় এ কার্যক্রম আবার চালু করা হতে পারে। কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব স্ট্রিমকে বলেন, আওয়ামী লীগ আসলে কোনো রাজনৈতিক দল না। শুধু ২৪ এর আন্দোলনে নয়, এর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পূর্বে জাসদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মেরে ফেলার মতো ঘটনা দলটি ঘটিয়েছে।
আদীব আরও বলেন, ‘আবার গণঅভ্যুত্থানের পর তাঁরা (ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা) ভারতে আশ্রয় নিছেন। কোনো দলের যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম কিংবা তার আদর্শই থাকে দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা, তখন সেটা তো আর রাজনৈতিক দল থাকে না। সেটা তখন সন্ত্রাসী এবং দেশদ্রোহী সংগঠন হয়। ফলে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনৈতিক কিংবা নৈতিক অধিকার এবং এখানে কর্মসূচি করার কোনো অধিকার নেই। এই জায়গায় আমরা ফাইট করব।’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম শুরু নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আদীব বলেন, ‘বাইরে গেলে উনি অনেক সময় এমন কিছু মন্তব্য করেন, যেগুলো দেশে আসার পর অনেক সময় পরিবর্তন হয়। তবে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানের জায়গা থেকে তাঁর এই মন্তব্য করাটা আসলে উচিত হয় নাই।’
একই বিষয়ে কথা হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদিন শিশিরের সঙ্গে। শিশির স্ট্রিমকে বলেন, ‘ড. ইউনূসের বক্তব্যে যদি কোনো প্রকার মিসকোট না হয়ে থাকে, আমি বলব, এটা শহীদের রক্তের সঙ্গে সরাসরি দ্রোহিতাপূর্ণ। জাতির সঙ্গে বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতা। ড. ইউনূসের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ার ঘোষণা আসলে কী করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়। ফলে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে তাদের মোকাবিলা করা দরকার। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা জাতি হিসেবে মোকাবিলা করব।’

সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হতে পারে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। অধ্যাপক ইউনূসের মন্তব্যকে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। এ জন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন এক নেতা।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) এনসিপি নেতারা এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে জিটিওকে দেওয়া ড. ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকার গত সোমবার প্রকাশিত হয়। সেখানে সাংবাদিক মেহদি হাসানের প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি; তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করা হয়নি। শুধু দলের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা দল হিসেবে বৈধ রয়েছে, তবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় এ কার্যক্রম আবার চালু করা হতে পারে। কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব স্ট্রিমকে বলেন, আওয়ামী লীগ আসলে কোনো রাজনৈতিক দল না। শুধু ২৪ এর আন্দোলনে নয়, এর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পূর্বে জাসদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মেরে ফেলার মতো ঘটনা দলটি ঘটিয়েছে।
আদীব আরও বলেন, ‘আবার গণঅভ্যুত্থানের পর তাঁরা (ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা) ভারতে আশ্রয় নিছেন। কোনো দলের যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম কিংবা তার আদর্শই থাকে দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা, তখন সেটা তো আর রাজনৈতিক দল থাকে না। সেটা তখন সন্ত্রাসী এবং দেশদ্রোহী সংগঠন হয়। ফলে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনৈতিক কিংবা নৈতিক অধিকার এবং এখানে কর্মসূচি করার কোনো অধিকার নেই। এই জায়গায় আমরা ফাইট করব।’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম শুরু নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আদীব বলেন, ‘বাইরে গেলে উনি অনেক সময় এমন কিছু মন্তব্য করেন, যেগুলো দেশে আসার পর অনেক সময় পরিবর্তন হয়। তবে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানের জায়গা থেকে তাঁর এই মন্তব্য করাটা আসলে উচিত হয় নাই।’
একই বিষয়ে কথা হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদিন শিশিরের সঙ্গে। শিশির স্ট্রিমকে বলেন, ‘ড. ইউনূসের বক্তব্যে যদি কোনো প্রকার মিসকোট না হয়ে থাকে, আমি বলব, এটা শহীদের রক্তের সঙ্গে সরাসরি দ্রোহিতাপূর্ণ। জাতির সঙ্গে বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতা। ড. ইউনূসের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ার ঘোষণা আসলে কী করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়। ফলে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে তাদের মোকাবিলা করা দরকার। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা জাতি হিসেবে মোকাবিলা করব।’

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত মাসের (নভেম্বর) শুরুতে ২৩৭ জনকে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। প্রথম দফায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের অনেকের পছন্দের আসনে প্রার্থী দেয় দলটি।
১ ঘণ্টা আগে
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে অপসারণে ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীরা এ বছর নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে হাজারো মানুষ তাদের প্রতিশ্রুতি শোনার জন্য সমবেত হন। কিন্তু সেই রাস্তার শক্তিকে ভোটে রূপান্তর করতে এখন হিমশিম খাচ্ছে দলটি।
২ ঘণ্টা আগে
এর আগে নভেম্বরের শুরুতে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। পরে একটি আসনে প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। বাকি ৬৪ আসনের মধ্যে এবার ৩৬টি আসনে প্রার্থী দিল দলটি।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি ঘোষিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক বিশেষ কর্মসূচি আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। শেষ হবে ১৩ ডিসেম্বর। তবে ১২ ডিসেম্বর কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গঠিত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে