leadT1ad

বৃদ্ধের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হয়েছে

স্ট্রিম সংবাদদাতা
ময়মনসিংহ
পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার মো. মজলু মিয়া (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় জোর করে বৃদ্ধের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় করা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ নগরের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তারাকান্দা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. মজলু মিয়া (৫০)। তিনি উপজেলার কাশিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত রজব তালুকদারের ছেলে। বৃদ্ধের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় হওয়ায় মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নম্বর আসামি মজলু।

সম্প্রতি হালিম উদ্দিন আকন্দ নামের এক ব্যক্তির চুল জোর করে কেটে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় তিনি হালিম ফকির নামে পরিচিত। ভিডিও ছড়ানোর পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে প্রায় চার মাস আগের এ ঘটনায় গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তারাকান্দা থানায় একটি মামলা হয়।

জানা যায়, ‘হিউম্যান সার্ভিস বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন ওই চুল কাটার কাজটি করেছিল। সংগঠনের সদস্যরা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে এসে ওই কাজ করেন। সংগঠনটির প্রধান ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গামারীতলা গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন আশরাফী। ভিডিও ছড়ানোর পর সোহরাবসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী হালিম ফকিরের ছেলে মো. শহিদ মিয়া আকন্দ। পরে পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত