leadT1ad

খাগড়াছড়িতে ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত নেই

স্ট্রিম সংবাদদাতা
খাগড়াছড়ি
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ১৬
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জনের কার্যালয়। ফাইল ছবি

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার পর প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জমা দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

জেলা সদর হাসপাতালের তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার পর প্রতিবেদনে সই করেন ডা. জয়া চাকমা, ডা. মীর মোশাররফ হোসেন ও ডা. নাহিদ আক্তার। স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পরীক্ষার পর কোনো ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের বলেন, ‘প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া হবে। বিস্তারিত সেখান থেকেই জানা যাবে।’

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে নির্জন স্থানে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়।

ঘটনার পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ‘জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ ডাকা হয়। পরদিন থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি। অবরোধের মধ্যেই গত রোববার বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তাঁরা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। এ ছাড়া সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন। রামেসু বাজার এলাকায় আগুন দেওয়া হয় প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকানে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত