রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটিতে পদ পাওয়ার পর ফেসবুকে আগের ছবি ছড়িয়ে তাঁকে ‘আওয়ামী দোসর’ বলার বিরুদ্ধে সংগঠনকে পাশে পাননি কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়ক শামীমা সুলতানা মায়া। এ ছাড়া মহানগর কমিটির বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলার কমিটি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলে দলের প্রধানের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
কেন্দ্রীয় কমিটিতে অভিযোগ জানিয়েও ‘প্রতিকার না পেয়ে’ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়ক শামীমা সুলতানা মায়া। জেলা কমিটিতে পদ পাওয়ার পর ফেসবুকে আগের ছবি ছড়িয়ে তাঁকে ‘আওয়ামী দোসর’ বলার বিরুদ্ধে সংগঠনকে পাশে না পাওয়া এবং মহানগর কমিটির বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা কমিটি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলে দলীয় প্রধানের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সাংবাদিকদের সামনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি গত ৪ আগস্ট দলীয় প্রধানের কাছে পাঠানো লিখিত অভিযোগপত্রটি সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেন। অভিযোগের প্রায় দেড় মাসেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে মায়া বলেছেন, ‘আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না কিংবা সরাসরি কোনো অভিযোগ তুলতে চাই না। তবে সত্য হলো আমি আমার বিবেক, সততা এবং নীতিকে কোনোভাবেই বিসর্জন দিতে চাই না।’
শামীমা সুলতানা মায়া রাজশাহীর একজন নারী উদ্যোক্তা। চলতি বছরের ১৮ জুন গঠিত এনসিপির জেলা ও মহানগরের সমন্বয় কমিটির মধ্যে তিনি জেলা কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়ক পদ পান। এর পরই তাঁর কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ছবি রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনীর সঙ্গে তোলা হয়েছিল। ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে এসব ছবি পোস্ট করে তাঁকে ‘আওয়ামী দোসর’ বলা হয়। তবে ছবিগুলো গত বছরের ২১ জানুয়ারি রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের শপথ গ্রহণের দিন তোলা বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই দিন চেম্বারের নতুন নেতৃত্বকে শপথ পড়ান তৎকালীন মেয়র।
এই ঘটনায় আগস্টে দেওয়া অভিযোগে মায়া বলেছিলেন, ‘আমি আগে কখনও কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। কিন্তু আমার নামে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, নোংরা কমেন্ট করা হয়েছে সেখানে আমি নির্দোষ হওয়ার সত্ত্বেও দলীয়ভাবে কোনো সমর্থন ও সহযোগিতা পাইনি। আমি সামাজিক ও ব্যবসায়িক সব ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এখন আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
এ ছাড়া এনসিপির মহানগর কমিটি রাজশাহী জেলা ও উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন শামীমা সুলতানা মায়া। তিনি লেখেন, ‘জেলার সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল কাজ মহানগর কমিটি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছে এবং যারা জেলা কমিটিতে আছি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। প্রশাসনিকভাবে কোনোই সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। রাজশাহীতে একটি পক্ষ এনসিপিকে পক্ষভূত করার অপচেষ্টা করছে এবং সব ক্ষেত্রে আমাদের কাজ করতে বাধা দিচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবে অপমান-অপদস্ত করছে।’
এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন মায়া। তারপর এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। পদত্যাগপত্রে মায়া বলেছেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ, বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং নানামুখী কর্মকাণ্ডের কারণে আমি উপলব্ধি করেছি এই পদে থেকে আমার নীতিগত অবস্থান অটুট রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। যেসব ঘটনা ঘটছে এবং যেভাবে সামাজিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা আমার ব্যক্তিগত আদর্শ ও নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠেছে।’
এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটিতে গত আগস্টে দেওয়া চিঠিতে এবং মঙ্গলবার দেওয়া পদত্যাগপত্রে রাজশাহীর মহানগর কমিটি জেলা-উপজেলার কমিটিকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করেছেন শামীমা সুলতানা মায়া। বর্তমানে মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন মোবাশ্বের আলী লাল্টু।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাশ্বের আলীর বাড়ি রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায়। তিনি আগে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে তাঁর দলীয় কোনো পদ ছিল না। তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মোবাশ্বের আলী যোগ দেন এনসিপিতে। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এনসিপির প্রার্থী হতে চান।
এদিকে চলতি বছরের ১৮ জুন এনসিপির রাজশাহী জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর সপ্তাহখানি পর ২৫ জুন জেলা কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুর মারধরে (লাথি) আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলম। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর কমিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই ঘটনার পরদিন জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে প্রধান সমন্বয়কারী পদটি শূন্য আছে। তবে কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুর প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা।
ফিরোজ আলমকে লাথি মারার ঘটনায় নাহিদুল সাজুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও পরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে নাহিদুল ইসলাম সাজুকে মঙ্গলবার কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
এনসিপির জেলা কমিটির একজন যুগ্ম সমন্বয়কারী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীই জেলা কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। পদত্যাগের পর এখন জেলা কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী নেই। তারপরে আছেন পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী। তাদের চারজনকেই মোবাশ্বের আলীর পছন্দ নয়। তিনি শুধু পছন্দ করেন নাহিদুল ইসলাম সাজুকে। তাকে দিয়েই জেলা চালাতে চান।’
তবে জেলা কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী লাল্টু। তিনি বলেন, ‘জেলা কমিটির মায়া, ফিরোজ আলম ও সাইফুল ইসলাম নামে তিনজনের বিরুদ্ধে আওয়ামী সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে। তাই দুদিন আগে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাঁদের দল থেকে না সরালে জেলা ও মহানগরের অন্য সবাই আমরা একযোগে পদত্যাগ করব। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ করা হবে। অভিযোগ লেখা হচ্ছে। এটি জানতে পেরে মায়া আগাম পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।’
শামীমা সুলতানার অভিযোগ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘যে কোনো অভিযোগ জানানোর পর তো ওইটাকে ভ্যারিফাই করতে হয়। অভিযোগ একটা জানাইলে সঙ্গে সঙ্গে তো ওইটার অ্যাকশন হয় না। এটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। সেন্ট্রাল থেকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোকাল যারা লিডার থাকেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইন্টার্নালি আগে তথ্য জোগাড় করা হয়। তাই এটার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটু সময় লাগেই ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন যদি কেউ অন্য কারণে মোটিভেটেড থাকে অন্য দল থেকে। …দলের প্রতি তো ধৈর্য্য ধরতে হয়।’
শামীমা সুলতানার পদত্যাগের বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘আমরা দেখছি উনি পদত্যাগ করেছেন। ফর্মালি পদত্যাগপত্র পেলে নির্দিষ্ট করে বলতে পারব এ বিষয়ে।’ তবে আগে মায়ার দেওয়া অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেখি, অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।’
কেন্দ্রীয় কমিটিতে অভিযোগ জানিয়েও ‘প্রতিকার না পেয়ে’ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়ক শামীমা সুলতানা মায়া। জেলা কমিটিতে পদ পাওয়ার পর ফেসবুকে আগের ছবি ছড়িয়ে তাঁকে ‘আওয়ামী দোসর’ বলার বিরুদ্ধে সংগঠনকে পাশে না পাওয়া এবং মহানগর কমিটির বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা কমিটি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলে দলীয় প্রধানের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সাংবাদিকদের সামনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি গত ৪ আগস্ট দলীয় প্রধানের কাছে পাঠানো লিখিত অভিযোগপত্রটি সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেন। অভিযোগের প্রায় দেড় মাসেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে মায়া বলেছেন, ‘আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না কিংবা সরাসরি কোনো অভিযোগ তুলতে চাই না। তবে সত্য হলো আমি আমার বিবেক, সততা এবং নীতিকে কোনোভাবেই বিসর্জন দিতে চাই না।’
শামীমা সুলতানা মায়া রাজশাহীর একজন নারী উদ্যোক্তা। চলতি বছরের ১৮ জুন গঠিত এনসিপির জেলা ও মহানগরের সমন্বয় কমিটির মধ্যে তিনি জেলা কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়ক পদ পান। এর পরই তাঁর কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ছবি রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনীর সঙ্গে তোলা হয়েছিল। ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে এসব ছবি পোস্ট করে তাঁকে ‘আওয়ামী দোসর’ বলা হয়। তবে ছবিগুলো গত বছরের ২১ জানুয়ারি রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের শপথ গ্রহণের দিন তোলা বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই দিন চেম্বারের নতুন নেতৃত্বকে শপথ পড়ান তৎকালীন মেয়র।
এই ঘটনায় আগস্টে দেওয়া অভিযোগে মায়া বলেছিলেন, ‘আমি আগে কখনও কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। কিন্তু আমার নামে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, নোংরা কমেন্ট করা হয়েছে সেখানে আমি নির্দোষ হওয়ার সত্ত্বেও দলীয়ভাবে কোনো সমর্থন ও সহযোগিতা পাইনি। আমি সামাজিক ও ব্যবসায়িক সব ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এখন আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
এ ছাড়া এনসিপির মহানগর কমিটি রাজশাহী জেলা ও উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন শামীমা সুলতানা মায়া। তিনি লেখেন, ‘জেলার সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল কাজ মহানগর কমিটি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছে এবং যারা জেলা কমিটিতে আছি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। প্রশাসনিকভাবে কোনোই সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। রাজশাহীতে একটি পক্ষ এনসিপিকে পক্ষভূত করার অপচেষ্টা করছে এবং সব ক্ষেত্রে আমাদের কাজ করতে বাধা দিচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবে অপমান-অপদস্ত করছে।’
এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন মায়া। তারপর এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। পদত্যাগপত্রে মায়া বলেছেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ, বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং নানামুখী কর্মকাণ্ডের কারণে আমি উপলব্ধি করেছি এই পদে থেকে আমার নীতিগত অবস্থান অটুট রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। যেসব ঘটনা ঘটছে এবং যেভাবে সামাজিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা আমার ব্যক্তিগত আদর্শ ও নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠেছে।’
এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটিতে গত আগস্টে দেওয়া চিঠিতে এবং মঙ্গলবার দেওয়া পদত্যাগপত্রে রাজশাহীর মহানগর কমিটি জেলা-উপজেলার কমিটিকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করেছেন শামীমা সুলতানা মায়া। বর্তমানে মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন মোবাশ্বের আলী লাল্টু।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাশ্বের আলীর বাড়ি রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায়। তিনি আগে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে তাঁর দলীয় কোনো পদ ছিল না। তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মোবাশ্বের আলী যোগ দেন এনসিপিতে। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এনসিপির প্রার্থী হতে চান।
এদিকে চলতি বছরের ১৮ জুন এনসিপির রাজশাহী জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর সপ্তাহখানি পর ২৫ জুন জেলা কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুর মারধরে (লাথি) আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলম। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর কমিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই ঘটনার পরদিন জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে প্রধান সমন্বয়কারী পদটি শূন্য আছে। তবে কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুর প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা।
ফিরোজ আলমকে লাথি মারার ঘটনায় নাহিদুল সাজুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও পরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে নাহিদুল ইসলাম সাজুকে মঙ্গলবার কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
এনসিপির জেলা কমিটির একজন যুগ্ম সমন্বয়কারী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীই জেলা কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। পদত্যাগের পর এখন জেলা কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী নেই। তারপরে আছেন পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী। তাদের চারজনকেই মোবাশ্বের আলীর পছন্দ নয়। তিনি শুধু পছন্দ করেন নাহিদুল ইসলাম সাজুকে। তাকে দিয়েই জেলা চালাতে চান।’
তবে জেলা কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী লাল্টু। তিনি বলেন, ‘জেলা কমিটির মায়া, ফিরোজ আলম ও সাইফুল ইসলাম নামে তিনজনের বিরুদ্ধে আওয়ামী সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে। তাই দুদিন আগে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাঁদের দল থেকে না সরালে জেলা ও মহানগরের অন্য সবাই আমরা একযোগে পদত্যাগ করব। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ করা হবে। অভিযোগ লেখা হচ্ছে। এটি জানতে পেরে মায়া আগাম পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।’
শামীমা সুলতানার অভিযোগ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘যে কোনো অভিযোগ জানানোর পর তো ওইটাকে ভ্যারিফাই করতে হয়। অভিযোগ একটা জানাইলে সঙ্গে সঙ্গে তো ওইটার অ্যাকশন হয় না। এটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। সেন্ট্রাল থেকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোকাল যারা লিডার থাকেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইন্টার্নালি আগে তথ্য জোগাড় করা হয়। তাই এটার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটু সময় লাগেই ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন যদি কেউ অন্য কারণে মোটিভেটেড থাকে অন্য দল থেকে। …দলের প্রতি তো ধৈর্য্য ধরতে হয়।’
শামীমা সুলতানার পদত্যাগের বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘আমরা দেখছি উনি পদত্যাগ করেছেন। ফর্মালি পদত্যাগপত্র পেলে নির্দিষ্ট করে বলতে পারব এ বিষয়ে।’ তবে আগে মায়ার দেওয়া অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেখি, অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, এই বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হোক বাংলাদেশে আর যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে। গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়।
২ ঘণ্টা আগেদুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে লালমনিরহাট থেকে রওনা হয় উদ্ধারকারী দল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি উদ্ধার কাজ শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগেভুয়া জুলাই যোদ্ধাদের নাম তালিকায় পাওয়া গেলে তা বাতিল করে নতুন গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেচাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় পুলিশের ৯ পরিদর্শককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে