leadT1ad

জরাজীর্ণ ভোটকেন্দ্রের তালিকা ও সিসিটিভি তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২০
নির্বাচন ভবন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠপর্যায়ে দুই দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে রয়েছে—জরাজীর্ণ ও সংস্কার প্রয়োজন এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রগুলোর তালিকা সংগ্রহ এবং সিসিটিভি–সুবিধা রয়েছে এমন কেন্দ্রগুলোর হালনাগাদ হিসাব।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা ভোটকেন্দ্রগুলো শনাক্ত করে নির্ধারিত ছকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে তথ্য পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি মাঠপর্যায়ের সকল নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০ অক্টোবর ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। ওই তালিকার ভিত্তিতে যেসব স্কুল–কলেজের সীমানাপ্রাচীর নেই, দরজা–জানালা নষ্ট, জরাজীর্ণ অবস্থা বা ক্ষুদ্র সংস্কারের প্রয়োজন আছে—সেসব কেন্দ্রের তথ্য দ্রুত পাঠাতে হবে। জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসগুলোকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে হার্ড কপি ও নিকষ ফন্টে সফট কপি জমা দিতে বলা হয়েছে।

ইসির বলছে, ভোটের দিন ভোটারদের জন্য নিরাপদ, সুষ্ঠু ও সহনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুপযুক্ত ভবনে ভোটগ্রহণ যেন কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি বা প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে কমিশন সতর্ক।

এদিকে গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) আরেক চিঠিতে সিসিটিভি ক্যামেরা–সুবিধা আছে এমন ভোটকেন্দ্রগুলোর বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে কমিশন সচিবালয়। এই চিঠিটিও স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব নাসির উদ্দিন চৌধুরী।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকাটি পাঠাতে হবে। নির্ধারিত ছক অনুযায়ী হার্ডকপি ও নিকষ ফন্টে সফটকপি উভয় আকারেই জমা দিতে হবে।

ইসি বলছে, সিসিটিভির ব্যবহার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত ও নজরদারিমূলক রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তালিকা হাতে এলে কেন্দ্রভিত্তিক সক্ষমতা জানা যাবে এবং প্রয়োজন অনুসারে নতুন ক্যামেরা স্থাপন বা পুরোনো ক্যামেরা মেরামত করা হবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, মূলত স্কুল–কলেজে থাকা ক্যামেরাগুলোই ব্যবহার করতে চায় কমিশন। এজন্য তালিকা যাচাই–বাছাই করে সংযোজন–বিয়োজনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রকে ক্যামেরা কাভারেজের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠিত—এই পরিকল্পনার আলোকে ইসি এখন মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত