২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন দেশের নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করে। পরে কয়েক দফায় সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৬টি নতুন রাজনৈতিক দল উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে নিবন্ধন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এখন মাঠপর্যায়ে দলের কার্যক্রম, দলীয় কমিটি ও ভোটার সমর্থনের প্রমাণাদি সরেজমিন তদন্ত করা হবে। এরপর দলগুলোর নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে।
আজ রবিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবেদন ও প্রাথমিক বাছাইয়ের ধাপ
২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন দেশের নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করে। পরে কয়েক দফায় সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। মোট ১৪৫টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। কিছু দল একাধিকবার আবেদন জমা দেয়। আবেদনপত্র প্রাথমিক যাচাইয়ের সময় দেখা যায়, দলগুলোর অধিকাংশের তথ্য-নথিতে বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি ছিল। এই কারণে প্রথম বাছাইয়ে কোনো দলই নিবন্ধন পায়নি।
এরপর ইসি ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দলগুলোকে ঘাটতি পূরণের জন্য চিঠি দেয়। এ সময়সীমায় ৮০টি দল তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেয়। এ ছাড়া কিছু দল অতিরিক্ত সময়ের জন্য আবেদন করে। সর্বশেষ এই প্রক্রিয়ায় ১৬টি দল প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়, যাদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যতম।
দল নিবন্ধনের শর্তাবলি
নিবন্ধন পেতে পার্টিগুলোকে নির্বাচন বিধিমালা ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) শর্ত পূরণ করতে হয়। এসব শর্তাবলিতে উল্লেখ রয়েছে—দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ও সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে; অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা বা প্রশাসনিক এলাকায় কার্যকর জেলা কার্যালয় থাকতে হবে; অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর কার্যালয় থাকতে হবে; প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে; দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ৫ হাজার ভোটার থাকা আবশ্যক; দলের কোনো সদস্য বা নেতা পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে অথবা পূর্ববর্তী নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পেলে তা নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক বিবেচিত হবে।
নতুন নির্বাচনী সংস্কারসংক্রান্ত সুপারিশে শর্তাবলিতে কিছুটা পরিবর্তনের প্রস্তাব থাকলেও তা এখনো আইনে অনুমোদিত হয়নি, তাই ইসি বর্তমানে বিদ্যমান আইনের আওতায়ই নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে।
মাঠপর্যায়ের তদন্ত ও যাচাই-বাছাই
প্রাথমিক বাছাই শেষে এখন দলগুলোর মাঠপর্যায়ের তথ্য-নথি ও কার্যক্রম সরেজমিন যাচাই বাছাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন তালিকা করেছে। এই পর্যায়ে দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যক্রম, ভোটার সমর্থনের প্রমাণাদি, কার্যালয় বাস্তবায়ন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত রিপোর্ট ও মাঠপর্যায়ের যাচাই-বাছাই শেষে যদি কোন দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপত্তি থাকে, তবে কমিশন শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করবে।
কোনো আপত্তি না থাকলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজস্ব প্রতীকে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
ভবিষ্যৎ প্রক্রিয়া
নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ১৬টি দলের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন মাঠপর্যায়ে তদন্ত শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর কোন দল নিবন্ধন পাবে এবং কোন দল পাবে না, তা চূড়ান্ত হবে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে। এরপর ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেয়েছে। তবে শর্তাবলি পূরণে ব্যর্থতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিংবা আদালতের নির্দেশে কয়েকটি দলের নিবন্ধন বাতিলও হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৬টি নতুন রাজনৈতিক দল উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে নিবন্ধন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এখন মাঠপর্যায়ে দলের কার্যক্রম, দলীয় কমিটি ও ভোটার সমর্থনের প্রমাণাদি সরেজমিন তদন্ত করা হবে। এরপর দলগুলোর নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে।
আজ রবিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবেদন ও প্রাথমিক বাছাইয়ের ধাপ
২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন দেশের নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করে। পরে কয়েক দফায় সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। মোট ১৪৫টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। কিছু দল একাধিকবার আবেদন জমা দেয়। আবেদনপত্র প্রাথমিক যাচাইয়ের সময় দেখা যায়, দলগুলোর অধিকাংশের তথ্য-নথিতে বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি ছিল। এই কারণে প্রথম বাছাইয়ে কোনো দলই নিবন্ধন পায়নি।
এরপর ইসি ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দলগুলোকে ঘাটতি পূরণের জন্য চিঠি দেয়। এ সময়সীমায় ৮০টি দল তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেয়। এ ছাড়া কিছু দল অতিরিক্ত সময়ের জন্য আবেদন করে। সর্বশেষ এই প্রক্রিয়ায় ১৬টি দল প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়, যাদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যতম।
দল নিবন্ধনের শর্তাবলি
নিবন্ধন পেতে পার্টিগুলোকে নির্বাচন বিধিমালা ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) শর্ত পূরণ করতে হয়। এসব শর্তাবলিতে উল্লেখ রয়েছে—দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ও সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে; অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা বা প্রশাসনিক এলাকায় কার্যকর জেলা কার্যালয় থাকতে হবে; অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর কার্যালয় থাকতে হবে; প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে; দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ৫ হাজার ভোটার থাকা আবশ্যক; দলের কোনো সদস্য বা নেতা পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে অথবা পূর্ববর্তী নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পেলে তা নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক বিবেচিত হবে।
নতুন নির্বাচনী সংস্কারসংক্রান্ত সুপারিশে শর্তাবলিতে কিছুটা পরিবর্তনের প্রস্তাব থাকলেও তা এখনো আইনে অনুমোদিত হয়নি, তাই ইসি বর্তমানে বিদ্যমান আইনের আওতায়ই নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে।
মাঠপর্যায়ের তদন্ত ও যাচাই-বাছাই
প্রাথমিক বাছাই শেষে এখন দলগুলোর মাঠপর্যায়ের তথ্য-নথি ও কার্যক্রম সরেজমিন যাচাই বাছাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন তালিকা করেছে। এই পর্যায়ে দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যক্রম, ভোটার সমর্থনের প্রমাণাদি, কার্যালয় বাস্তবায়ন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত রিপোর্ট ও মাঠপর্যায়ের যাচাই-বাছাই শেষে যদি কোন দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপত্তি থাকে, তবে কমিশন শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করবে।
কোনো আপত্তি না থাকলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজস্ব প্রতীকে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
ভবিষ্যৎ প্রক্রিয়া
নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ১৬টি দলের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন মাঠপর্যায়ে তদন্ত শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর কোন দল নিবন্ধন পাবে এবং কোন দল পাবে না, তা চূড়ান্ত হবে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে। এরপর ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেয়েছে। তবে শর্তাবলি পূরণে ব্যর্থতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিংবা আদালতের নির্দেশে কয়েকটি দলের নিবন্ধন বাতিলও হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘অতীতে অনেকেই “ক্যাঙারু কোর্ট” বসিয়ে ফাঁসি পেয়েছেন। আমরা চাই না বাংলাদেশে এ ধরনের বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হোক। এ জন্য বিদেশি কনসালট্যান্ট নিয়োজিত করা হয়েছে, যেন কেউ অভিযোগ করতে না পারে যে বিদেশি এসে “ক্যাঙারু কোর্ট” বসিয়েছে।’
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠকের সময় ওয়াক আউট করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর একাংশ।
৫ ঘণ্টা আগে‘বড় ধরনের গণ-আন্দোলনের পর স্থিতিশীলতা ফিরতে সময় লাগে। আমরা এখন একটি পরিবর্তনশীল সময়ের মধ্যে আছি,’ স্বীকার করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি ছিলেন আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা এবং কয়েক মাস আগ পর্যন্তও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে