leadT1ad

নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে ইসি, কতটা প্রস্তুত প্রশাসন

স্ট্রিম গ্রাফিক

আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরু হওয়ার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য পূর্ণোদ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে বর্তমান প্রশাসন এখনই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে সন্দেহে পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আয়োজন করতে চায়, তাহলে এখন প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে প্রশাসন দিয়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা হবে, তাদের কঠোর তদারকি করতে হবে। কারণ এই প্রশাসন দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন চ্যালেঞ্জিং। এছাড়া এলাকাভিত্তিক সমস্যা নির্ধারণ করে সেখানে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

যা আছে রোডম্যাপে

নির্বাচন সামনে রেখে গত ২৮ আগস্ট ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে ইসি। এতে অংশীজনের সংলাপের কথা বলা হয়েছে, যেটা চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে শেষ হতে। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপের সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা চূড়ান্ত করা হয়েছে ৩১ আগস্ট। আর ৩১ অক্টোবরের সম্পূরক তালিকা শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর।

ভোটকক্ষে নারী ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০০ জন করে বাড়িয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। গড়ে তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্রের বিধান বহাল রাখা হলেও নতুন নীতিমালায় পুরুষ ও নারী ভোটকক্ষের ক্ষেত্রে সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

এরই মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে ইসি। ছবি: বাসসের সৌজন্যে
এরই মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে ইসি। ছবি: বাসসের সৌজন্যে

সংশোধিত নীতিমালার তথ্য বলছে, ৬০০ জন পুরুষ ভোটার এবং ৫০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। আগে তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্রে ৫০০ জন পুরুষ ভোটার ও ৪০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নির্ধারণের বিধান ছিল।

গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’-এ সংশোধনী এনে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে ইসি। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা (সংশোধন) গেল ১০ জুলাই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে গত ২৩ জুলাই। এটিও ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এরই মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫–এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি। তাতে নির্বাচন বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা চূড়ান্ত হলে নির্বাচনে কোনো আসনের ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ওই আসনের পুরো ভোট বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।

গত ১২ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০২৫, পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫–এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।

গত মার্চে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। দলগুলোকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে বলা হয়, পরে জুন পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বাড়ায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের গেজেট প্রকাশ ও সনদ দেওয়া হবে।

জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হবে। আর ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে জিআইএস বা ভৌগোলিক মানচিত্র। এ ছাড়া পোস্টাল ভোটিং ও ব্যালট প্রকল্প অনুমোদন, সফটওয়্যার চূড়ান্ত, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, নিবন্ধন ও প্র্যাকটিসিং মডিউল, প্রচারের কাজ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। প্রবাসে নভেম্বরে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। কারাবন্দীদের ভোটের দুই সপ্তাহ আগে ব্যালট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: বাসসের সৌজন্যে
এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: বাসসের সৌজন্যে

পোস্টাল ভোটিং, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক অনুমোদন, নির্বাচনের জন্য জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা, নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে রোডম্যাপে।

অন্যান্য আইন-বিধি সংস্কার ও একীভূতকরণ; ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার, পরিচয়পত্র মুদ্রণ; প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স উপযোগীকরণ, নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দ, প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার, ফলাফল প্রদর্শন, প্রকাশ ও প্রচারসহ (বিভিন্ন মাধ্যমে) বিভিন্ন বিষয় এতে উল্লেখ রয়েছে।

দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ সেপ্টেম্বরে শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে শেষ হতে সময় লাগবে দেড় মাস। আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক কার্যক্রম বিষয়ে সেপ্টেম্বরে ও তফসিল ঘোষণার ১৫ দিন আগে এবং তফসিল ঘোষণার পর বৈঠক ডাকা হবে বলে রোডম্যাপে জানানো হয়েছে।

রোডম্যাপ বাস্তবায়নে যত চ্যালেঞ্জ

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবদুল আলীম বলেন, এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জিং হবে না। কারণ, এটিতে যেসব কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তার বেশির ভাগই এই পরিকল্পনা করার আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। যেমন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ইত্যাদি। যেহেতু অনেক আগে থেকে এসব কাজ শুরু হয়েছে, সেহেতু এই কাজগুলো বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জিং হবে না।’

‘নির্বাচনী রোডম্যাপ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ফলাফলকেন্দ্রিক, আরেকটি কাজের বিবরণকেন্দ্রিক। এবার যে রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকেই এমনটা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের কর্মপরিকল্পনা সাধারণত ফলাফলকেন্দ্রিক হয় না, বরং এতে বিস্তারিত বিবরণ থাকে। ছোট ছোট কাজগুলোকেও আলাদা আলাদা করে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ যায়নি। বরং প্রবাসীদের ভোটসহ নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ইতিবাচক উদ্যোগ,’ যোগ করেন তিনি।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবদুল আলীম। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবদুল আলীম। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের এই সদস্য আরও বলেন, যেহেতু ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনটা হওয়ার কথা, তারা নভেম্বরের শেষ দিকে এই কাজগুলো শেষ করার পরিকল্পনা করেছেন। কারণ তাদের হাতে এখনো দুমাস সময় আছে, যেহেতু ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে না।

মনিটরিংয়ে রাখতে হবে প্রশাসনকে

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমান প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান প্রশাসন দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব কি না—প্রশ্নে আবদুল আলীম বলেন, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে তাদের অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও যাঁরা আছেন, আমরা জানি না, তাদের মনে কী আছে।’

‘এ জন্যই একটা শক্তিশালী মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। যখনই তফসিল ঘোষণা করা হবে, তখন থেকে যারা মাঠ প্রশাসনে কাজ করবেন—রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ—তাদের মনিটরিং করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি কিছু করার চেষ্টা করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

কী রকম মনিটরিং করতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জেলাভিত্তিক, সংসদীয় আসনভিত্তিকও এই মনিটরিং করা যেতে পারে। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের কাউকে নির্বাচনের দায়িত্বে রাখবে না, এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। তবুও ১৫ বছরে তৈরি হওয়া তাদের মনোভাব আমরা জানি না। এই জন্যই তাদের ওপর তদারকি করতে হবে।’

প্রশাসন অস্থির ও ভীত

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই ধাক্কা প্রশাসনে ভীষণভাবে লেগেছে। যে কারণে প্রশাসন বর্তমানে অস্থির ও অগোছালো। এ জন্য এখনই সাহসী, চৌকস, দক্ষ ও উপযুক্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসনকে সাজাতে হবে।’

‘প্রশাসনে অপেক্ষাকৃত নিরপেক্ষ যাঁরা আছেন, যাঁরা দক্ষ, যোগ্য, চৌকস ও সাহসী, তাঁদের বাছাই করে এখনই সঠিক জায়গায় পদায়ন করতে হবে। দেশের ৩০০ আসনের একেকটিতে একেক ধরনের সমস্যা। সেটা বিবেচনা করে কোন এলাকার জন্য কোন জেলাপ্রশাসক কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপযুক্ত, সেটা বাছাই করতে হবে। এই বাছাইয়ে ভুল করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে না, একটা বিতর্ক থেকে যাবে,’ বলেন তিনি।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান প্রশাসন দুর্বল, কাজেই একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য তারা এই মুহূর্তে প্রস্তুত না বলেও মন্তব্য করেন ফিরোজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘যাকে যেই এলাকায় নিয়োগ দেওয়া হবে, তাকে সেই এলাকার সাথে পরিচিত হতে হবে, ধারণা নিতে হবে। যদি ধারণা না থাকে, তাহলে নির্বাচনের সময় তারা প্রশাসন চালাতে পারবে না। তাই দুয়েক মাসের মধ্যেই প্রশাসনকে সাজাতে উচিত,’ যোগ করেন তিনি।

যা বলছে নির্বাচন কমিশন

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনায় প্রতিটি কাজের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা, হয়তো দু-এক দিন এদিক-ওদিক হবে। আমাদের প্রতিটি কাজ চলছে। রোডম্যাপের কাজ শেষ, নির্বাচন চলে আসবে। রোডম্যাপে নতুন কিছু যোগ হতে পারে, কিন্তু বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে নতুন কোনো কাজ যোগ হবে কি না, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই আমরা রোডম্যাপে দেওয়া কাজগুলো শেষ করব। যে কাজগুলো যখন শেষ হওয়ার কথা, সে অনুসারেই হবে। যেমন, ৩১ আগস্ট ভোটার তালিকা দেওয়ার কথা ছিল, আমরা সেটা দিয়েছি। এর মধ্যে কোনো অপূর্ণতা থাকলে আমরা সেটার সমাধান করে নেব।’

গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ‘প্রস্তুত’।

নানা ধরনের টানাপোড়েন থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সেজন্য হয়তো নির্বাচনের তারিখটা ঠিক করতে একটু সময় লাগছে। আমরা চেয়েছি, আমাদের ওপর যেন প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়, এই ধরনের অভিযোগ না আসে। আমরা কোনো ধরনের অভিযোগ নিতে রাজি নই। সেই জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।

‘নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আগে ছিল না। নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে-রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা বা অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত। আগেও আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ কমবেশি ছিল। তবে এখন হয়তো এর মাত্রাটা একটু বেশি,’ বলেন তিনি।

এরআগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করতে গেল ৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইসিকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত