leadT1ad

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে জাতীয় নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলন

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ১৫
জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে জাতীয় নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলন। স্ট্রিম ছবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলোদেশ বলেছে, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে জাতীয় নির্বাচন।

আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটি বলেছে, পিআর পদ্ধতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই নির্বাচনের মাস নির্ধারণ করে জনদাবিকে স্পষ্টত উপেক্ষা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে জাতীয় নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলন। স্ট্রিম ছবি
জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে জাতীয় নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলন। স্ট্রিম ছবি

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘আমরা বারবার উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কার কমিশনে কথা বলেছি। লিখিত জানিয়েছি। এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল পিআর নিয়ে সংস্কার কমিশনে এজেন্ডা রাখা। কিন্তু নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোনো এজেন্ডাই রাখা হয় নাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।’

বর্তমান সরকার প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা স্মরণীয় নির্বাচন করতে চাইছেন, তাঁর ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা ও সক্রিয়তা নিয়ে দেশের কেউই আশ্বস্ত হতে পারছে না। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে এর সমাধান হবে এমন আশা করার যৌক্তিক কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, দেশের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি না হলে আগামী নির্বাচনও কলঙ্কিত হতে পারে। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করা হলে আমাদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কঠিন হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চরমোনাই পীর বলেন, গত ৫৩ বছরে যে পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা চাইছি, এমন একটা পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক যেখানে প্রতিটি ভোটারের মূল্যায়ন হবে, জাতীয় সরকার তৈরি হবে, ফ্যাসিস্ট আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারকে পরর্বর্তী জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্ত করার মধ্য দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্রে একাত্তর, পঁচাত্তর, ৭ নভেম্বর ও নব্বইয়ের আন্দোলনসহ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হলেও আমাদের স্বাধীনতার প্রথম অধ্যায় সাতচল্লিশ এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের সবচেয়ে নির্মম শাপলা হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও আলেম-উলামার প্রতি নির্যাতন-নিপীড়নের কথা উল্লেখ না করে ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এতে ইতিহাসের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘জুলাই সনদ এখনো না হওয়া আমাদের সংস্কার নিয়ে অনিশ্চিয়তায় নিক্ষেপ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন ফেব্রুয়ারি দূরে নয়। কিন্তু সংস্কারের প্রতিশ্রুতিসংবলিত জুলাই সনদ এখনো হয়নি। সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় নাই। জনতার প্রত্যাশা অনুসারে সংস্কারকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা না নিয়ে সংস্কারকে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যস্ত রেখে পুরো সংস্কার কার্যক্রমকে অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত