leadT1ad

বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩৫
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া তিনটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ নির্দেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এসময় গুমের বিচার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করায় সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, ‘আজ যাদের উপস্থিত করা হয়েছিল তাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন কাজ করেছে, তেমনিভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও আদালতের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করেছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ল অব দি ল্যান্ডের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের সমস্ত সমর্থন থাকবে। তারা সেই সমর্থন আমাদের দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়েছেন। এই আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি।’

‘দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ব্যাপারে যে সমস্ত অপপ্রচার যারা করেন, তাদের আমরা বলব, অপপ্রচার করবেন না’, বলেন তাজুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার থাকা অবস্থায় এই কর্মকর্তাদের চাকরির স্ট্যাটাসটা কী হবে, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তাদের স্ট্যাটাস নির্ধারিত হবে। আপনারা জানেন যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইন সর্বশেষ সংশোধিত হয়ে যে পর্যায়ে আছে, সেখানে যেভাবে বলা আছে যে আসামি গ্রেপ্তার হলে তাদের স্ট্যাটাস হবে আইন নির্ধারিত পন্থায়। আমরা আগেও বলেছি, এই ব্যাপারে আজকে নতুন করে কিছু বলার নেই।

এই কর্মকর্তারা কি এখনো কর্মরত নাকি তাঁদের চাকরি নেই, এ বিষয়টি পরে আবারও পরিষ্কার করতে বললে তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী বলা হয়েছে, যখন কারো বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়ে যায়, ফরমাল চার্জ দাখিল হয়, তখন আসলে তিনি আর সার্ভিসে আছেন বলে গণ্য হবেন না। এটাই হচ্ছে আইনের ব্যাখ্যা।’

অনলাইনে হাজিরা দেওয়ার সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সেটা সেটা আদালত নির্ধারণ করবেন।’

তাদের এখন কোথায় রাখা হবে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাস্টডিতে পাঠানো মানে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে তারা চলে যাবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন? অর্থাৎ কোন জেলে রাখবেন, এটা অবসলিউট অথরিটি কারা কর্তৃপক্ষের। আদালতের কাজ হচ্ছে তাদের কাস্টটিতে পাঠিয়ে দেওয়া। কাস্টটিটা মেইনটেইন করেন রাষ্ট্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা মোর স্পেসিফিকালি কারা অধিদপ্তর। সুতরাং কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোন কারাগারে রাখবেন সেটা তারাই নির্ধারণ করবেন।

পরবর্তী সময়ে কারা কর্তৃপক্ষ কোন আসামিকে কী পদ্ধতিতে আদালতে হাজির করবেন, এটা কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমাদের কিছুই বলার নেই।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত