বিআরটিএর ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ২০২৩ সাল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এজন্য স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহত-নিহতদের তথ্য জেলা প্রশাসককে পাঠাবেন। তারপর ট্রাস্টি বোর্ডে যাবে। নিহতদের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা। আর আহত বিবেচনায় দেওয়া হয় ১ থেকে ৩ লাখ টাকা।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ও আহতদের ২০২৩ সাল থেকে অনুদান দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ড। নিহতদের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা। আর আহত বিবেচনায় দেওয়া হয় ১ থেকে ৩ লাখ টাকা। এই টাকা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন প্রস্তুত করে প্রথম সুপারিশটি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। তবে রাজশাহীর বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজশাহীতে এক আলোচনা সভা থেকে বিভাগী কমিশনারের দেওয়া ফোন কলে এই অবস্থা উঠে আসে।
বিআরটিএর ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ২০২৩ সাল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সকালে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই অনুদানের ব্যাপারে কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পর্যায় থেকে আহত-নিহতদের তথ্য জেলা প্রশাসককে পাঠাবেন। তারপর ট্রাস্টি বোর্ডে যাবে।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার সভায় উপস্থিত বাস চালক, তার সহকারী (হেলপার), শ্রমিক নেতা ও পরিবহন মালিকদের কাছে জানতে চান, তাঁরা এই অনুদানের বিষয়ে কিছু জানেন কি না। এ সময় বেশকিছু ব্যক্তি উচ্চস্বরে জানান, তাঁদের জানানো হয়নি।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান, চলতি বছরের ২৪ আগস্ট জেলার বাগমারা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে কি না। বিষয়টি জানতে তাঁর নির্দেশে জেলা প্রশাসনের একজন নারী কর্মকর্তা বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলামকে ফোন করে বিভাগীয় কমিশনারকে কথা বলতে দেন। বিভাগীয় কমিশনার মোবাইল ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে সেটি মাইক্রোফোনের সামনে ধরে কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ‘মাহবুবুল ইসলাম, তোমার ওইখানে মাস দুয়েক আগে যে একটা অ্যাকসিডেন্টে মা মারা গেল দুইটা বাচ্চা রেখে, তুমি গেছিলা সেই বাড়িতে?’ ইউএনও বলেন, ‘জ্বী স্যার’। কমিশনার জানতে চান, ‘সেই বাচ্চাদের অবস্থা কি?’ ইউএনও বলেন, ‘বাচ্চাদের অবস্থা এখন ভালো স্যার। আর দুইজনকে ৫০ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।’ বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান, ‘এই টাকা তুমি কই পাইলা?’ ইউএনও জানান, উপজেলা পরিষদের অপ্রত্যাশিত ব্যয় থেকে এটা দেওয়া হয়েছে।
এরপর বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘বিআরটিএর যে এই ধরনের অনুদানের খাত রয়েছে, এটা তুমি জানো?’ এ সময় কিছুটা থেমে ইউএনও বলেন, ‘স্যার, এইটা জানা ছিল না আমার।’ বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘এইটা তুমি জান না, এইটা কেউই জানে না। … তুমি ওই পরিবারকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার জন্য বলো। আর যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, জেলা প্রশাসনকে বলছি— সকল কেস, কোনো কেস যেন বাদ না পড়ে। সবাই আবেদন করবে।’
বিভাগীয় কমিশনার জানান, সড়ক দুর্ঘটনার একমাসের মধ্যে অনুদানের জন্য আবেদন করতে হয়। তবে এক বছর নয়, রাজশাহীতে যেন এক বছর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়, সেই নির্দেশনা দেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।
জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেল এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক ফয়সাল হাসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ও আহতদের ২০২৩ সাল থেকে অনুদান দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ড। নিহতদের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা। আর আহত বিবেচনায় দেওয়া হয় ১ থেকে ৩ লাখ টাকা। এই টাকা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন প্রস্তুত করে প্রথম সুপারিশটি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। তবে রাজশাহীর বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজশাহীতে এক আলোচনা সভা থেকে বিভাগী কমিশনারের দেওয়া ফোন কলে এই অবস্থা উঠে আসে।
বিআরটিএর ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ২০২৩ সাল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সকালে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই অনুদানের ব্যাপারে কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পর্যায় থেকে আহত-নিহতদের তথ্য জেলা প্রশাসককে পাঠাবেন। তারপর ট্রাস্টি বোর্ডে যাবে।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার সভায় উপস্থিত বাস চালক, তার সহকারী (হেলপার), শ্রমিক নেতা ও পরিবহন মালিকদের কাছে জানতে চান, তাঁরা এই অনুদানের বিষয়ে কিছু জানেন কি না। এ সময় বেশকিছু ব্যক্তি উচ্চস্বরে জানান, তাঁদের জানানো হয়নি।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান, চলতি বছরের ২৪ আগস্ট জেলার বাগমারা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে কি না। বিষয়টি জানতে তাঁর নির্দেশে জেলা প্রশাসনের একজন নারী কর্মকর্তা বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলামকে ফোন করে বিভাগীয় কমিশনারকে কথা বলতে দেন। বিভাগীয় কমিশনার মোবাইল ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে সেটি মাইক্রোফোনের সামনে ধরে কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ‘মাহবুবুল ইসলাম, তোমার ওইখানে মাস দুয়েক আগে যে একটা অ্যাকসিডেন্টে মা মারা গেল দুইটা বাচ্চা রেখে, তুমি গেছিলা সেই বাড়িতে?’ ইউএনও বলেন, ‘জ্বী স্যার’। কমিশনার জানতে চান, ‘সেই বাচ্চাদের অবস্থা কি?’ ইউএনও বলেন, ‘বাচ্চাদের অবস্থা এখন ভালো স্যার। আর দুইজনকে ৫০ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।’ বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান, ‘এই টাকা তুমি কই পাইলা?’ ইউএনও জানান, উপজেলা পরিষদের অপ্রত্যাশিত ব্যয় থেকে এটা দেওয়া হয়েছে।
এরপর বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘বিআরটিএর যে এই ধরনের অনুদানের খাত রয়েছে, এটা তুমি জানো?’ এ সময় কিছুটা থেমে ইউএনও বলেন, ‘স্যার, এইটা জানা ছিল না আমার।’ বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘এইটা তুমি জান না, এইটা কেউই জানে না। … তুমি ওই পরিবারকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার জন্য বলো। আর যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, জেলা প্রশাসনকে বলছি— সকল কেস, কোনো কেস যেন বাদ না পড়ে। সবাই আবেদন করবে।’
বিভাগীয় কমিশনার জানান, সড়ক দুর্ঘটনার একমাসের মধ্যে অনুদানের জন্য আবেদন করতে হয়। তবে এক বছর নয়, রাজশাহীতে যেন এক বছর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়, সেই নির্দেশনা দেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।
জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেল এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক ফয়সাল হাসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার জন্য হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগ ’৭১ সাল থেকেই একসঙ্গে কাজ করছে। যুগে যুগে তাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল। আগামী জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য হিন্দুস্তানি আওয়ামী ষড়যন্ত
২০ মিনিট আগে‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে কমিশনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসবে কমিশন।
২৫ মিনিট আগেদেশে ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন। এসময়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেনানা ধরনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে