leadT1ad

মোদির সামনে কোয়াড ও ব্রিকসের মধ্যে ভারসাম্যের চ্যালেঞ্জ

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০১
ভারতই একমাত্র দেশ, যা এই দুই জোটেরই সদস্য। ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সপ্তাহে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন। সেখানে তাঁকে কোয়াড ও ব্রিকস—এই দুই জোটের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে বলে ভারতের দ্য হিন্দু সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসিয়ান সম্পর্কিত এই সম্মেলনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংসহ রাশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নেবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।

এর ফলে মোদির সামনে কোয়াডের সব সদস্য দেশ ও ব্রিকসের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হবে। ভারত আগামী বছর এই দুটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো মোদির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেনি, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছেন যে মোদি আসিয়ান সংশ্লিষ্ট সম্মেলনগুলো, যার মধ্যে ইস্ট এশিয়া সামিটও রয়েছে, তাতে যোগ দেবেন। সরকারি সূত্রগুলোও বলেছে, তাঁর অংশগ্রহণ ‘সম্ভাব্য’।

এ বছর কোয়াড সম্মেলনের আয়োজক হওয়ার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে ২০২৬ সালে তাদের আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। একই বছরে ভারত ব্রিকসের সভাপতিত্বও গ্রহণ করবে এবং ১১ দেশের এই উদীয়মান অর্থনীতির জোটের সম্মেলনের আয়োজন করবে।

দ্য হিন্দু লিখেছে, ‘ভারতই একমাত্র দেশ, যা এই দুই জোটেরই সদস্য। কোয়াডে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রয়েছে, আর ব্রিকসে রয়েছে রাশিয়া ও চীন।’

সম্পর্কের জটিলতা বাড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্কনীতি, রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে হুমকি, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা (যা এখন ব্রিকস সদস্য) এবং ব্রিকস মুদ্রা পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষ।

গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে এক সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব সুধানকর দালেলা বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির ধীরগতি, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, একতরফা নীতি ও সরবরাহ চেইনে বিপর্যয়—এসবই এখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বাস্তবতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিকসের সভাপতিত্ব এমন এক সময়ে ভারতের হাতে আসছে, যখন বিশ্ব নানা সংকট মোকাবিলা করছে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে।’

এদিকে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক আয়োজন নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। একই সঙ্গে কোয়াড সম্মেলনের সময়সূচি নিয়েও আলোচনা চলছে, যদিও এখনো নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারিত হয়নি।

যদি এ বছর কোয়াড সম্মেলন না হয়, তবে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা নয়াদিল্লির পরিকল্পনাকে ব্যাহত করবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত