স্ট্রিম প্রতিবেদক
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট আয়োজনের বিষয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হলেও কোন প্রক্রিয়ায় তা অনুষ্ঠিত হবে—সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএনপি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের দিনই এই গণভোট আয়োজন হতে পারে; অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। এটি জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম পদক্ষেপ।’
পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে, এবং সে আইনসভা জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো করবে তা যেন টেকসই হয়—সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার্যত ঐকমত্য রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য তৈরি বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সচেষ্ট হয়ে দলগত অবস্থান থেকে অনেক রাজনৈতিক দল সরে আসায় কমিশন আশাবাদী যে খুব শিগগিরই সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দিতে পারবে।
এ সময় তিনি জানান, বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার প্রস্তাব এলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করছে—সনদ বাস্তবায়নে এর প্রয়োজন নাও হতে পারে।
ব্রিফিংয়ের সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
আলোচনা শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই গণভোটের জন্য আগেই সংবিধানের কোনো সংশোধন আনতে হবে না। কারণ, সংবিধানের যে ১৪২ ধারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করেছিল, সেটি হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে পুনর্বহাল হয়েছে এবং তা এখনো বহাল রয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৪২ ধারা অনুসারে সংবিধানের কিছু ধারা ও প্রস্তাবনা সংশোধনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের আগে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন নিতে হয়। আমরা সেই ধারায় আরও দুটি ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করেছি, যা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাপারে আমরা যেভাবে ঐকমত্য হয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে পরবর্তী সংসদের সমস্ত সংসদ সদস্য বাধ্য থাকবে, যদি জনগণ তার পক্ষে রায় দেয়। সেই জন্য সংসদ নির্বাচনের দিনে আমরা আরেকটা আলাদা ব্যালেটে জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে জনরায় নেওয়ার জন্য বলেছি। এই রেফারেন্ডাম অনুষ্ঠানের জন্য আমাদেরকে কনস্টিটিউশনে কোনো এমেন্ডমেন্ট আগে আনতে হবে না।’
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আলোচনা শেষে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের বিষয়ে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে আমরা চাই, নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক।’
গণভোট কবে হতে পারে—এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত নয়। আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনকে জটিল না করে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মাসে এটা হতে পারে। তফসিল ঘোষণার আগেও হতে পারে। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না। এতে জনগণ ও দেশ দুটোই বাঁচবে।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘গণভোট হলে এটি চ্যালেঞ্জ করলেও টিকবে না। পার্লামেন্টও তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। গণভোটের ফল আমাদের বিপক্ষেও গেলে আমরা তা মেনে নেব।’
এক প্রশ্নের জবাবে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘গণভোট আগে না পরে—এটা আলোচনা সাপেক্ষ। সবাই গণভোটের পক্ষে একমত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনই গণভোট আয়োজন করবে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে এনসিপি। তবে গণভোটের দিন তারিখের ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনকে সিদ্ধান্ত জানায়নি দলটি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব স্ট্রিমকে বলেন, 'অন্যান্য দলের মতো জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের আয়োজনে আমরাও একমত। তবে কবে নাগাদ এই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনকে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাইনি।'
ঠিক কী কারণে সিদ্ধান্ত জানায়নি জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, 'আমাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ ফোরামে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। গণভোটের সময়ের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত আসলেই ঐকমত্য কমিশনকে সময়ের ব্যাপারে জানানো হবে।'
উল্লেখ্য আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট আয়োজনের বিষয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হলেও কোন প্রক্রিয়ায় তা অনুষ্ঠিত হবে—সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএনপি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের দিনই এই গণভোট আয়োজন হতে পারে; অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। এটি জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম পদক্ষেপ।’
পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে, এবং সে আইনসভা জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো করবে তা যেন টেকসই হয়—সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার্যত ঐকমত্য রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য তৈরি বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সচেষ্ট হয়ে দলগত অবস্থান থেকে অনেক রাজনৈতিক দল সরে আসায় কমিশন আশাবাদী যে খুব শিগগিরই সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দিতে পারবে।
এ সময় তিনি জানান, বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার প্রস্তাব এলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করছে—সনদ বাস্তবায়নে এর প্রয়োজন নাও হতে পারে।
ব্রিফিংয়ের সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
আলোচনা শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই গণভোটের জন্য আগেই সংবিধানের কোনো সংশোধন আনতে হবে না। কারণ, সংবিধানের যে ১৪২ ধারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করেছিল, সেটি হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে পুনর্বহাল হয়েছে এবং তা এখনো বহাল রয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৪২ ধারা অনুসারে সংবিধানের কিছু ধারা ও প্রস্তাবনা সংশোধনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের আগে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন নিতে হয়। আমরা সেই ধারায় আরও দুটি ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করেছি, যা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাপারে আমরা যেভাবে ঐকমত্য হয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে পরবর্তী সংসদের সমস্ত সংসদ সদস্য বাধ্য থাকবে, যদি জনগণ তার পক্ষে রায় দেয়। সেই জন্য সংসদ নির্বাচনের দিনে আমরা আরেকটা আলাদা ব্যালেটে জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে জনরায় নেওয়ার জন্য বলেছি। এই রেফারেন্ডাম অনুষ্ঠানের জন্য আমাদেরকে কনস্টিটিউশনে কোনো এমেন্ডমেন্ট আগে আনতে হবে না।’
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আলোচনা শেষে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের বিষয়ে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে আমরা চাই, নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক।’
গণভোট কবে হতে পারে—এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত নয়। আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনকে জটিল না করে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মাসে এটা হতে পারে। তফসিল ঘোষণার আগেও হতে পারে। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না। এতে জনগণ ও দেশ দুটোই বাঁচবে।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘গণভোট হলে এটি চ্যালেঞ্জ করলেও টিকবে না। পার্লামেন্টও তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। গণভোটের ফল আমাদের বিপক্ষেও গেলে আমরা তা মেনে নেব।’
এক প্রশ্নের জবাবে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘গণভোট আগে না পরে—এটা আলোচনা সাপেক্ষ। সবাই গণভোটের পক্ষে একমত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনই গণভোট আয়োজন করবে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে এনসিপি। তবে গণভোটের দিন তারিখের ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনকে সিদ্ধান্ত জানায়নি দলটি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব স্ট্রিমকে বলেন, 'অন্যান্য দলের মতো জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের আয়োজনে আমরাও একমত। তবে কবে নাগাদ এই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনকে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাইনি।'
ঠিক কী কারণে সিদ্ধান্ত জানায়নি জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, 'আমাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ ফোরামে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। গণভোটের সময়ের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত আসলেই ঐকমত্য কমিশনকে সময়ের ব্যাপারে জানানো হবে।'
উল্লেখ্য আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনা এবং একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থ–আত্মসাৎ, ফলোয়ার বাড়ানো বা ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে অনলাইন স্পেসগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় হ্যাকারেরা। আর সহজেই ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ সাইবার সুরক্ষার বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়া।
২ ঘণ্টা আগেআগের দুই মাসের (জুলাই–আগস্ট) তুলনায় দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট) নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে