leadT1ad

শাহবাগে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ মরদেহ উদ্ধার: পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
শাহবাগ থানা। সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকার পৃথক তিনটি স্থান থেকে একজন নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে ১২টার মধ্যে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা-পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস কবির। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতা বা শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাঁদের মৃত্যু হতে পারে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনছুর স্ট্রিমকে বলেন, শাহবাগ থানাধীন ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে ভবঘুরে ও ছিন্নমূল দুজন পুরুষ ও একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে।

যেভাবে উদ্ধার হলো মরদেহগুলো:

রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের আইল্যান্ডের ওপর ৫৫ বছর বয়সী এক নারীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর রাত পৌনে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের ফুটপাত থেকে প্রায় ৪০ বছর বয়সী একজন পুরুষকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকেও দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে রাত পৌনে ১২টার দিকে। শাহবাগ থানাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের ফুটপাত থেকে আরও একজন পুরুষকে উদ্ধার করা হয়, যাঁর বয়সও আনুমানিক ৪০ বছর। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরিচয় শনাক্তে পুলিশের চেষ্টা

এসআই মো. ইলিয়াস কবির, গোলাম রসূল পারভেজ এবং মো. একরামুল হক তিনটি ঘটনাতেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও নিহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে প্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

তিনটি ঘটনায়ই শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই মো. ইলিয়াস কবির।

ওসি মো. খালিদ মনছুর বলেন, মরদেহ তিনটির কারও মাথায় ইনফেকশন হয়ে পোকা ধরেছিল, কারও পা আবার কারও হাতে নানা ধরনের রোগব্যাধী বাসা বেঁধেছিল। তারা অনেকদিন ধরেই এসব এলাকায় শুয়েবসে থাকতেন। তিনজনেরই অসুস্থ্তার কারণে মৃত্যু হয়েছে।

মো. খালিদ মনছুর আরও বলেন, মরদেহগুলোর সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর বেতার বার্তার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে। তাঁদের কোনো স্বজন পাওয়া গেলে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। না পাওয়া গেলে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত