জনপ্রিয় গোয়েন্দা লেখক রকিব হাসান আজ প্রয়াত হয়েছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তাঁর প্রিয় অনুষঙ্গ নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। রকিব হাসানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো।
মারুফ ইসলাম
রকিব ভাই, আজ আপনার প্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব। শুরুতেই জানতে চাই, আপনার প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র কোনটি?
রকিব হাসান: আমি গোয়েন্দা কাহিনী লিখি বলে যে শুধু গোয়েন্দা বই পড়ি তা নয়। গোয়েন্দা বইয়ের বাইরেও অনেক বই এ জীবনে পড়েছি। অনেক চরিত্রই তাই প্রিয়। তবে যেদিন থেকে 'তিন গোয়েন্দা' লেখা শুরু করি সেদিন থেকে কিশোর, মুসা ও রবিন চরিত্রই প্রিয়। এবং এখন অব্দি প্রিয়। এর বাইরে আর প্রিয় চরিত্র নেই।
বলছিলেন, আপনি অনেক বই পড়েছেন। আপনার পড়া সবচেয়ে প্রিয় বই কোনটি?
রকিব হাসান: পথের পাঁচালী। এ পর্যন্ত চারবার পড়েছি। প্রথম পড়েছিলাম কিশোর বয়সে। যখন দুর্গা মারা গেল, তারপর আর পড়তে পারিনি। দ্বিতীয়বার পড়ি চব্বিশ পঁচিশ বছর বয়সে। সে দফায় আটকে গেলাম দুর্গার ফুপুর মৃত্যুর ঘটনায়। এটা মনে এতটাই প্রভাব ফেলল যে আমি আর উপন্যাসটা শেষ করতে পারলাম না। তৃতীয়বার পড়তে বসি চল্লিশ বছর বয়সের পর। তখনও শেষ করতে পারিনি, তার আগে সত্যজিতের বানানো পথের পাঁচালী সিনেমা দেখে ফেলি। এরপর পঞ্চাশ বছর বয়সে আমি আবার পথের পাঁচালী পড়তে শুরু করি এবং সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হই।
গান শোনার সময় কি কখনো এরকম সমস্যায় পড়েছিলেন? মানে এক গান এক বৈঠকে শুনতে পারেন নি?
রকিব হাসান: না, এরকম হয়নি। বরং উল্টোটাই হয়। এক বৈঠেকে এক গান অনেকবার শুনি। আর সেটা অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের ‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’। অসম্ভব প্রিয় একটা গান। অসংখ্যবার শোনা গান। তারপরও কখনো পুরনো লাগে না।
একসময় আমাকে প্রচুর লিখতে হয়েছে। এক মাসে ৬টি বই লেখার রেকর্ড রয়েছে আমার। শুধু চার ঘণ্টা ঘুম আর অন্যান্য আনুসঙ্গিক কাজের জন্য দুই ঘণ্টা বাদ দিয়ে বাকি ১৮ ঘণ্টাই লিখতে হয়েছে আমাকে।
আপনার প্রিয় সিনেমার কথা জানতে চাই।
রকিব হাসান: বলার মতো প্রিয় কোনো সিনেমা নেই। তবে কিশোর বয়সে উর্দু ছবি ‘হাজার দাস্তানো’ ঊনিশবার দেখেছিলাম। পরবর্তীতে জীবনের বাস্তবতায় এতটাই জড়িয়ে যাই যে সিনেমা দেখার ফুরসত মিলাতে পারিনি। তারপরও কালেভদ্রে হঠাত যে দুই একটা সিনেমা দেখিনি তা নয়। বড় বয়সে এরকম হঠাত দেখা একটা সিনেমা টাইটানিক। ভালোই লেগেছে বলতে পারো। তবে প্রিয় বলা যাবে না কিছুতেই।
কোন সময়ে লিখতে ভালো লাগে। মানে আপনার লেখার প্রিয় সময়?
রকিব হাসান: তোমরা জানো, একসময় আমাকে প্রচুর লিখতে হয়েছে। এক মাসে ৬টি বই লেখার রেকর্ড রয়েছে আমার। শুধু চার ঘণ্টা ঘুম আর অন্যান্য আনুসঙ্গিক কাজের জন্য দুই ঘণ্টা বাদ দিয়ে বাকি ১৮ ঘণ্টাই লিখতে হয়েছে আমাকে। কাজেই, কোন সময়কে প্রিয় বলব? এখন অবশ্য রাতেই বেশি লেখা হয়।
আপনার কোনো শখ আছে? অর্থাৎ প্রিয় শখের কথা জানতে চাইছি।
রকিব হাসান: এক সময় পাখি শিকার করাই ছিল আমার একমাত্র শখ। কিশোর বয়সে প্রচুর পাখি শিকার করেছিও। কিন্তু পরবর্তীতে তীব্র অনুশোচনা গ্রাস করলে পাখি শিকার করা ছেড়ে দেই। এখন সে অর্থে কোনো শখ নেই, বরং কিশোর বয়সের ওই শখের জন্য দুঃখবোধ আছে।
প্রিয় লেখার উপকরণ? কাগজ-কলম?
রকিব হাসান: না, না আমি কখনো কাগজ কলমে লিখিনি। লেখালেখি জীবনের শুরু থেকেই আমি টাইপ করে লিখি। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমার হাতের লেখা খুব খারাপ। তাই প্রথম জীবনে লেখার উপকরণ ছিল মুনির টাইপরাইটার। ওই টাইপ রাইটার দিয়ে দীর্ঘদিন লিখেছি। পরে যখন কম্পিউটারের প্রচলন হলো তখন টাইপ রাইটারটা বিক্রি করে একটা কম্পিউটার কিনেছিলাম। তারপর থেকে কম্পিউটারে লিখি এবং এখন পর্যন্ত কম্পিউটারের কি-বোর্ডেই আমার লেখার উপকরণ।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মারুফ ইসলাম
রকিব ভাই, আজ আপনার প্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব। শুরুতেই জানতে চাই, আপনার প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র কোনটি?
রকিব হাসান: আমি গোয়েন্দা কাহিনী লিখি বলে যে শুধু গোয়েন্দা বই পড়ি তা নয়। গোয়েন্দা বইয়ের বাইরেও অনেক বই এ জীবনে পড়েছি। অনেক চরিত্রই তাই প্রিয়। তবে যেদিন থেকে 'তিন গোয়েন্দা' লেখা শুরু করি সেদিন থেকে কিশোর, মুসা ও রবিন চরিত্রই প্রিয়। এবং এখন অব্দি প্রিয়। এর বাইরে আর প্রিয় চরিত্র নেই।
বলছিলেন, আপনি অনেক বই পড়েছেন। আপনার পড়া সবচেয়ে প্রিয় বই কোনটি?
রকিব হাসান: পথের পাঁচালী। এ পর্যন্ত চারবার পড়েছি। প্রথম পড়েছিলাম কিশোর বয়সে। যখন দুর্গা মারা গেল, তারপর আর পড়তে পারিনি। দ্বিতীয়বার পড়ি চব্বিশ পঁচিশ বছর বয়সে। সে দফায় আটকে গেলাম দুর্গার ফুপুর মৃত্যুর ঘটনায়। এটা মনে এতটাই প্রভাব ফেলল যে আমি আর উপন্যাসটা শেষ করতে পারলাম না। তৃতীয়বার পড়তে বসি চল্লিশ বছর বয়সের পর। তখনও শেষ করতে পারিনি, তার আগে সত্যজিতের বানানো পথের পাঁচালী সিনেমা দেখে ফেলি। এরপর পঞ্চাশ বছর বয়সে আমি আবার পথের পাঁচালী পড়তে শুরু করি এবং সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হই।
গান শোনার সময় কি কখনো এরকম সমস্যায় পড়েছিলেন? মানে এক গান এক বৈঠকে শুনতে পারেন নি?
রকিব হাসান: না, এরকম হয়নি। বরং উল্টোটাই হয়। এক বৈঠেকে এক গান অনেকবার শুনি। আর সেটা অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের ‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’। অসম্ভব প্রিয় একটা গান। অসংখ্যবার শোনা গান। তারপরও কখনো পুরনো লাগে না।
একসময় আমাকে প্রচুর লিখতে হয়েছে। এক মাসে ৬টি বই লেখার রেকর্ড রয়েছে আমার। শুধু চার ঘণ্টা ঘুম আর অন্যান্য আনুসঙ্গিক কাজের জন্য দুই ঘণ্টা বাদ দিয়ে বাকি ১৮ ঘণ্টাই লিখতে হয়েছে আমাকে।
আপনার প্রিয় সিনেমার কথা জানতে চাই।
রকিব হাসান: বলার মতো প্রিয় কোনো সিনেমা নেই। তবে কিশোর বয়সে উর্দু ছবি ‘হাজার দাস্তানো’ ঊনিশবার দেখেছিলাম। পরবর্তীতে জীবনের বাস্তবতায় এতটাই জড়িয়ে যাই যে সিনেমা দেখার ফুরসত মিলাতে পারিনি। তারপরও কালেভদ্রে হঠাত যে দুই একটা সিনেমা দেখিনি তা নয়। বড় বয়সে এরকম হঠাত দেখা একটা সিনেমা টাইটানিক। ভালোই লেগেছে বলতে পারো। তবে প্রিয় বলা যাবে না কিছুতেই।
কোন সময়ে লিখতে ভালো লাগে। মানে আপনার লেখার প্রিয় সময়?
রকিব হাসান: তোমরা জানো, একসময় আমাকে প্রচুর লিখতে হয়েছে। এক মাসে ৬টি বই লেখার রেকর্ড রয়েছে আমার। শুধু চার ঘণ্টা ঘুম আর অন্যান্য আনুসঙ্গিক কাজের জন্য দুই ঘণ্টা বাদ দিয়ে বাকি ১৮ ঘণ্টাই লিখতে হয়েছে আমাকে। কাজেই, কোন সময়কে প্রিয় বলব? এখন অবশ্য রাতেই বেশি লেখা হয়।
আপনার কোনো শখ আছে? অর্থাৎ প্রিয় শখের কথা জানতে চাইছি।
রকিব হাসান: এক সময় পাখি শিকার করাই ছিল আমার একমাত্র শখ। কিশোর বয়সে প্রচুর পাখি শিকার করেছিও। কিন্তু পরবর্তীতে তীব্র অনুশোচনা গ্রাস করলে পাখি শিকার করা ছেড়ে দেই। এখন সে অর্থে কোনো শখ নেই, বরং কিশোর বয়সের ওই শখের জন্য দুঃখবোধ আছে।
প্রিয় লেখার উপকরণ? কাগজ-কলম?
রকিব হাসান: না, না আমি কখনো কাগজ কলমে লিখিনি। লেখালেখি জীবনের শুরু থেকেই আমি টাইপ করে লিখি। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমার হাতের লেখা খুব খারাপ। তাই প্রথম জীবনে লেখার উপকরণ ছিল মুনির টাইপরাইটার। ওই টাইপ রাইটার দিয়ে দীর্ঘদিন লিখেছি। পরে যখন কম্পিউটারের প্রচলন হলো তখন টাইপ রাইটারটা বিক্রি করে একটা কম্পিউটার কিনেছিলাম। তারপর থেকে কম্পিউটারে লিখি এবং এখন পর্যন্ত কম্পিউটারের কি-বোর্ডেই আমার লেখার উপকরণ।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মারুফ ইসলাম
দ্বিতীয় পর্বে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, ওয়ান-ইলেভেনের সরকার, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান, বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রভৃতি ইস্যুতে কথা বলেছেন তারেক রহমান
৯ দিন আগেসম্প্রতি গণ-অভ্যুত্থানে নেপাল সরকারের পতন হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিল তরুণেরা। তারা নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে সুদান গুরুংকে। নেপালি জনগণের কাছে তাঁর কণ্ঠস্বর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
১১ দিন আগেবাংলদেশ প্রায়ই এক নম্বর বা দুই নম্বর সেনা-অবদানকারী রাষ্ট্র হিসেবে তালিকার শীর্ষে থাকে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা উচ্চ মানের পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ছাড়া শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ভিন্ন রূপ নিত। আজ যে সাফল্য আমরা দেখি, তা সম্ভব হতো না।
২০ দিন আগেএই নির্বাচন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল? যদি এতটা গুরুত্বপূর্ণই হয়ে থাকে, তাহলে কেন তেত্রিশ বছর এটা হতে পারল না? শিক্ষার্থীদের একটা নির্বাচিত সংসদ থাকলে কী পরিবর্তন ঘটতে পারে? এসবই আপাপত ভাবনার বিষয়।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫