leadT1ad

সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী‌

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৫২
রুশনারা আলী‌। সংগৃহীত ছবি

সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের গৃহহীনতা-বিষয়ক মন্ত্রী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনী‌তিক রুশনারা আলী পদত্যাগ করেছেন‌। পুরোনো ভাড়া‌টিয়াকে স‌রিয়ে ব্যক্তিগত একটি সম্পত্তির ভাড়া রাতারাতি ৭০০ পাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বুধবার সন্ধ্যায় আবাসন-বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ও বিরোধী দলগুলোর তীব্র সমালোচনার কয়েক ঘণ্টা পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন রুশনারা। বাড়িটি বিক্রি না হওয়ার পর বেশি দামে পুনরায় ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আর এতেই বিপাকে পড়েন তিনি।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী। গত বছর লেবার পার্টি সরকার গঠনের পর গৃহায়ন, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি হন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,‘দ্য আই পেপার’ এর এক প্রতিবেদনে এই বিতর্ক শুরু হয়। এতে বলা হয়, গত নভেম্বর মাসে রুশনারা আলীর পূর্ব লন্ডনের বাড়িটির ভাড়াটেদের জানানো হয় তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে চুক্তি নবায়ন করা হবে না। কারণ বাড়িটি বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। এরপরই বাড়িটি পুনরায় ভাড়া দিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আর আগের চেয়ে মাসিক ভাড়া ৭০০ পাউন্ড বেশি চাওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভাড়াটেদের অধিকার-সংক্রান্ত একটি আইন আগামী বছর কার্যকর হওয়ার কথা। ওই আইনে সম্পত্তি বিক্রির জন্য ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করে পরে বেশি ভাড়ায় তা দেওয়া যাবে না। তাছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদে ভাড়ার চুক্তিও করা যাবে না।

এদিকে, রুশনারার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভাড়াটেরা তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তি অনুযায়ী ছিলেন। সম্পত্তি বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকতে পারেন বলেও জানানো হয়েছিল, কিন্তু ভাড়াটেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি বরং সম্পত্তি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন

কিয়ের স্টারমারকে লেখা পদত্যাগপত্রে রুশনারা আলী লিখেছেন, তিনি সব আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলেছেন এবং গুরুত্ব সহকারে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি পদে থাকলে বিষয়টি সরকারের উচ্চাভিলাষী কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেবে। তাই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরেক এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

২০১০ সালে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি হন রুশনারা। গতবছরের নির্বাচনে তিনি টানা পঞ্চমবারের মত পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে সিলেটে রুশনারার জন্ম। মাত্র সাত বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি জমান।

রুশনারার পৈতৃক নিবাস সিলেটের বিশ্বনাথের বুরকি গ্রামে। তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে রাজনীতি, অর্থনীতি ও দর্শন পড়েছেন। তিনি পরামর্শক সংস্থা ইয়ং ফাউন্ডেশনের সহযোগী পরিচালক।

Ad 300x250

সম্পর্কিত