leadT1ad

যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে হামাস-ইসরায়েল রাজি: ট্রাম্প

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ফিলিস্তিনের একটি শহরে ইসরায়েলের বিমান হামলার পরের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার ‘প্রথম পর্যায়‘ বাস্তবায়নে একমত হয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। এর ফলে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ ও হামাসের কাছে জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

স্থানীয় সময় বুধবার (৮ অক্টোবর) দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হওয়ার বিষয়টি ট্রুথ সোশালে ঘোষণা দেন ট্রাম্প নিজেই। খবর আল জাজিরার।

বুধবার ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লেখেন, আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে হামাস ও ইসরায়েল—উভয়ে রাজি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খুব শিগগিরই সব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েলে তাদের সেনাদের নির্ধারিত করা একটি সীমানায় সরিয়ে আনবে।

এদিকে, দুই পক্ষের সমঝোতায় মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে, চুক্তির বিস্তারিত পরে ঘোষণা করা হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাকেব টুইটার) লেখেন, মধ্যস্থতাকারীরা ঘোষণা করেছেন আজ রাতে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের সব বিধান এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এর ফলে যুদ্ধের অবসান এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাবে। চুক্তির বিস্তারিত পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার আলোচনা ‘খুব ভালো’ চলছে বলার কয়েক ঘণ্টা পরই চুক্তিতে পৌঁছানোর এই ঘোষণা আসে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফরে যেতে পারেন।

বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, সপ্তাহের শেষ দিকে, হয়তো রোববার আমি হয়তো সেখানে (মধ্যপ্রাচ্যে) যেতে পারি।

এর আগে, বুধবার তৃতীয় দিনের মতো মিসরের শার্ম আল-শেখ শহরের রেড সি রিসোর্টে দুই পক্ষের আলোচনা চলে। এদিন কাতার, তুরস্ক, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবের ব্যাপারে হামাস ও ইসরায়েলের মদভেদ কমানোর ওপর জোর দেন।

প্রস্তাবের প্রথম পর্যায়ে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজায় জিম্মি থাকা ৪৮ জনকে মুক্তির বিষয়টিও রয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হয়। জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের জেলে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।

এদিকে, বুধবার ইসরায়েল ও হামাসের আলোচনা যখন ‘ভালো চলছে’ বলা হচ্ছে, তখনো গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ‍ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আট জন নিহতের পাশাপাশি অন্তত ৬১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, বোমা হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও গত পাঁচ দিনে ইসরায়েল ২৭১ বার বিমান ও কামান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। এতে নারী ও শিশুসহ ১২৬ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর মধ্যে শুধু গাজা শহরেই নিহত হয়েছেন ৭৫ জন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত