‘ইসরায়েলি সেনারা থুনবার্গকে হামাগুড়ি দিয়ে ইসরায়েলের পতাকা চুম্বন করতে বাধ্য করে। এ ছাড়া অনেককে কমপক্ষে পাঁচ ঘন্টা ধরে হাত বাঁধা অবস্থায় হাঁটু গেড়ে থাকতে বাধ্য করা হয়।’
স্ট্রিম ডেস্ক
ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র জাহাজ বহর আটকের পর ইসরায়েলি সেনারা অ্যাকটিভিস্টদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে সুইডেনের জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তুরস্কের অ্যাকটিভিস্ট এরসিন চেলিক সিএনএনকে জানান, গ্রেটাকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মারাত্মকভাবে নির্যাতন করেছে। তাকে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হয় এবং ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়। চেলিক বলেন, ‘তারা নাৎসিদের মতোই আচরণ করেছে।’ আরও দুজন অ্যাকটিভিস্টও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন আদালা জানিয়েছে, অনেক অ্যাকটিভিস্টকে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা হাত বাঁধা অবস্থায় হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়। কারণ তারা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিয়েছিলেন। এছাড়া, কিছু আটক ব্যক্তিকে আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া, পানি, ওষুধ এবং টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ইতালির সংসদ সদস্য বেনেদেত্তা স্কুদারি বলেন, ‘আমাদের নির্মমভাবে থামানো হয়েছে। নির্মমভাবে জিম্মি করা হয়েছে।’
ইসরায়েল এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগে বলেছিল, আটক ব্যক্তিদের কোনও নির্যাতন হয়নি। এমন অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’।
শনিবার ইসরায়েল প্রায় ১৩৭ জন অ্যাকটিভিস্টকে ফেরত পাঠায়। তারা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছছেন। এদের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক ছিলেন। বাকিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, মরক্কো, ইতালি, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং জর্ডানের নাগরিকও ছিলেন।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি জানান, ২৬ জন ইতালিয়ান অধিকার কর্মী তুর্কি এয়ারলাইন্সের বিমানে ছিলেন। আরও ১৫ জন এখনো ইসরায়েলে আটক আছেন এবং কয়েক দিনের মধ্যে তাদেরও ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি এক্স-এ লেখেন, তেল আবিবে ইতালির দূতাবাসকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যেন বাকি ইতালীয় নাগরিকদের অধিকার যথাযথভাবে সম্মান করা হয়। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় চারজন ইতালীয় সংসদ সদস্য রোমে পৌঁছেছেন।
তবে গ্রেটা থুনবার্গকে বহিষ্কার করা হয়েছে কি না, নাকি তিনি এখনো ইসরায়েলের হেফাজতে আছেন— তা স্পষ্ট নয়।
থুনবার্গের সাথে ‘ভয়াবহ আচরণ’ করা হয়েছে
মালয়েশিয়ার নাগরিক হাজওয়ানি হেলমি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক উইন্ডফিল্ড বিবার রয়টার্সকে জানান, তারা গ্রেটা থুনবার্গকে নির্যাতনের শিকার হতে দেখেছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, থুনবার্গকে ধাক্কা দেওয়া হয় এবং তাকে ইসরায়েলি পতাকা পরতে বাধ্য করা হয়।
হেলমি বলেন, ‘এটি ছিল এক বিপর্যয়। তারা আমাদের সাথে পশুর মতো আচরণ করেছে।’ তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিষ্কার খাবার ও পানি দেওয়া হয়নি। ওষুধ এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিবার বলেন, থুনবার্গের সঙ্গে ‘ভয়াবহভাবে আচরণ করা হয়েছে’। তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের চরম দক্ষিণপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আসার সময় থুনবার্গকে একটি ঘরে ঠেলে ঢোকানো হয়।
ইসরায়েলি নৌবাহিনী প্রায় ৪০টি ছোট-বড় জাহাজ আটক করে এবং সেগুলোতে থাকা প্রায় ৫০০ অ্যাকভিস্টকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা উঠেছে।
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছে, আটকরা ‘নিরাপদ এবং সুস্থ’ আছেন। তারা যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় বলেও জানানো হয়।
অন্য এক পোস্টে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে যে, কিছু অ্যাকটিভিস্ট ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বহিষ্কার প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন। তবে এই দাবির কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।
ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র জাহাজ বহর আটকের পর ইসরায়েলি সেনারা অ্যাকটিভিস্টদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে সুইডেনের জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তুরস্কের অ্যাকটিভিস্ট এরসিন চেলিক সিএনএনকে জানান, গ্রেটাকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মারাত্মকভাবে নির্যাতন করেছে। তাকে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হয় এবং ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়। চেলিক বলেন, ‘তারা নাৎসিদের মতোই আচরণ করেছে।’ আরও দুজন অ্যাকটিভিস্টও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন আদালা জানিয়েছে, অনেক অ্যাকটিভিস্টকে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা হাত বাঁধা অবস্থায় হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়। কারণ তারা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিয়েছিলেন। এছাড়া, কিছু আটক ব্যক্তিকে আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া, পানি, ওষুধ এবং টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ইতালির সংসদ সদস্য বেনেদেত্তা স্কুদারি বলেন, ‘আমাদের নির্মমভাবে থামানো হয়েছে। নির্মমভাবে জিম্মি করা হয়েছে।’
ইসরায়েল এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগে বলেছিল, আটক ব্যক্তিদের কোনও নির্যাতন হয়নি। এমন অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’।
শনিবার ইসরায়েল প্রায় ১৩৭ জন অ্যাকটিভিস্টকে ফেরত পাঠায়। তারা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছছেন। এদের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক ছিলেন। বাকিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, মরক্কো, ইতালি, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং জর্ডানের নাগরিকও ছিলেন।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি জানান, ২৬ জন ইতালিয়ান অধিকার কর্মী তুর্কি এয়ারলাইন্সের বিমানে ছিলেন। আরও ১৫ জন এখনো ইসরায়েলে আটক আছেন এবং কয়েক দিনের মধ্যে তাদেরও ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি এক্স-এ লেখেন, তেল আবিবে ইতালির দূতাবাসকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যেন বাকি ইতালীয় নাগরিকদের অধিকার যথাযথভাবে সম্মান করা হয়। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় চারজন ইতালীয় সংসদ সদস্য রোমে পৌঁছেছেন।
তবে গ্রেটা থুনবার্গকে বহিষ্কার করা হয়েছে কি না, নাকি তিনি এখনো ইসরায়েলের হেফাজতে আছেন— তা স্পষ্ট নয়।
থুনবার্গের সাথে ‘ভয়াবহ আচরণ’ করা হয়েছে
মালয়েশিয়ার নাগরিক হাজওয়ানি হেলমি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক উইন্ডফিল্ড বিবার রয়টার্সকে জানান, তারা গ্রেটা থুনবার্গকে নির্যাতনের শিকার হতে দেখেছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, থুনবার্গকে ধাক্কা দেওয়া হয় এবং তাকে ইসরায়েলি পতাকা পরতে বাধ্য করা হয়।
হেলমি বলেন, ‘এটি ছিল এক বিপর্যয়। তারা আমাদের সাথে পশুর মতো আচরণ করেছে।’ তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিষ্কার খাবার ও পানি দেওয়া হয়নি। ওষুধ এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিবার বলেন, থুনবার্গের সঙ্গে ‘ভয়াবহভাবে আচরণ করা হয়েছে’। তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের চরম দক্ষিণপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আসার সময় থুনবার্গকে একটি ঘরে ঠেলে ঢোকানো হয়।
ইসরায়েলি নৌবাহিনী প্রায় ৪০টি ছোট-বড় জাহাজ আটক করে এবং সেগুলোতে থাকা প্রায় ৫০০ অ্যাকভিস্টকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা উঠেছে।
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছে, আটকরা ‘নিরাপদ এবং সুস্থ’ আছেন। তারা যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় বলেও জানানো হয়।
অন্য এক পোস্টে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে যে, কিছু অ্যাকটিভিস্ট ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বহিষ্কার প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন। তবে এই দাবির কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শনিবারও অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর পরও এ হামলা চলতে থাকে। এর আগে হামাস জানিয়েছিল, তারা ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার কিছু অংশ মেনে নিতে রাজি।
২ ঘণ্টা আগেশহীদুলদের ৯টি জাহাজের বহর এখন ভূমধ্যসাগরের ফিলিস্তিনি টাইম জোনে আছে। বহরটির লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে গাজায় পৌঁছানো, তবে সম্ভাব্য বাধার জন্য প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থান গাজা থেকে প্রায় ৩০০ নটিক্যাল মাইল (৫০০-৫৫০ কিলোমিটার) দূরে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দর বরাবর।
৩ ঘণ্টা আগেঅনেক ফিলিস্তিনি বিস্ময় ও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপে শতশত ফিলিস্তিনির পোস্টে ছড়িয়ে পড়ছে নানান প্রশ্ন—‘যুদ্ধ কি শেষ হয়ে গেছে?’, ‘এটা কি সত্যি, নাকি স্বপ্ন?’
৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনায় হামাসের আংশিক সমর্থনের পর বিশ্বজুড়ে আশাবাদ জেগেছে। কাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীরাও এতে আশা খুঁজছেন। দুই বছর ধরে চলা গণহত্যা থামার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে