leadT1ad

ইসলামাবাদে আদালতের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলায় নিহত ১২, আহত ২৭

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। এর একদিন আগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক গাড়ি বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হয়। ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি সহ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের বাইরে এই আত্মঘাতী হামলা হয়।

তারা জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আত্মঘাতী হামলাকারী আদালতে যেতে চেয়েছিল কিন্তু সুযোগ না পেয়ে সে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটে আত্মঘাতী হামলাটি ঘটে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এখন প্রথম অগ্রাধিকার হল আত্মঘাতী হামলাকারীকে শনাক্ত করা।

অন্যদিকে পিআইএমএস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উপস্থিত ডা. আদনান বিবিসি সংবাদদাতা শেহজাদ মালিককে বলেন, বিস্ফোরণের পর ১২ জনের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে, যাদের এখন জরুরি ওয়ার্ড থেকে মর্গে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

আইনজীবীদের প্রতিনিধিদের মতে, নিহতদের মধ্যে কিছু আইনজীবীও রয়েছেন যারা বিস্ফোরণের সময় আদালতের বাইরে ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মহসিন নকভি বলেন, ‘আজকের ইসলামাবাদ হামলার সঙ্গে অনেক যোগসূত্র রয়েছে এবং শীঘ্রই এই বিষয়ে প্রমাণ প্রকাশ করা হবে। যেই জড়িত থাকুক না কেন, সে অন্য দেশের হলেও, কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ পর কোনও যানবাহন ই-ট্যাগ ছাড়া ইসলামাবাদে প্রবেশ করতে পারবে না।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়—একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন ও ধোঁয়া আকাশে উঠছে, যা আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা বেড়ার পেছনে অবস্থিত ছিল।

রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ঘটনাটিকে একটি ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি। যারা মনে করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুধু আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা বা বেলুচিস্তানের দূরবর্তী অঞ্চলে এই যুদ্ধ লড়ছে, আজ ইসলামাবাদ জেলা আদালতে আত্মঘাতী হামলাটি তাদের জন্য এক জাগরণ বার্তা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে সফল আলোচনার আশায় থাকা বাস্তবসম্মত নয়।’

সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল হাসান লানজারও ইসলামাবাদের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং মূল্যবান প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আত্মঘাতী হামলাকারী ও সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। তারা মানবতার শত্রু।’ তিনি আরও জানান, সিন্ধু পুলিশকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

তিনি নির্দেশ দেন, প্রদেশের প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্ট, গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও সংযোগ সড়কে তল্লাশি ও নজরদারি জোরদার করতে হবে। অপরাধপ্রবণ এলাকা ও শহরতলিতে গোয়েন্দা তৎপরতা আরও কার্যকর ও সমন্বিত করার ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত