.png)

স্ট্রিম ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (১০ নভেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে স্বাগত জানান। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের এক বড় পরিবর্তন।
আলোচনার শেষে সিরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ‘গ্লোবাল কোয়ালিশন টু ডিফিট আইএসআইএস’-এর ৯০তম সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ‘সিজার অ্যাক্ট’-এর অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরও ছয় মাসের জন্য শিথিল করে।
এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ার স্থিতিশীলতা, ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর পুনরুত্থান রোধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আল-শারাকে ‘বলিষ্ঠ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করেন, যদিও তাঁর অতীত বিতর্কিত।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-শারা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। এই সংগঠনটির শিকড় আল-কায়েদায়। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের সময় তিনি আল-কায়েদায় যোগ দেন এবং মার্কিন বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন।
মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পরিচালনা করেন। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ ঘোষণা এবং তাঁর মাথার দাম ১ কোটি ডলার ঘোষণা করে। তিনি ‘আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি’ নামে পরিচিত ছিলেন।
২০১৬ সালে আল-শারা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং এইচটিএস-কে আরও বাস্তববাদী সংগঠন হিসেবে পুনর্গঠন করেন। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এইচটিএস দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তুরস্ক আসাদকে হঠাতে এইচটিএস-কে সহয়তা করে।
এরপর আল-শারা অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেন এবং ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব থেকে দূরে থেকে তুরস্ক, উপসাগরীয় দেশ ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে তাঁর প্রতি কঠোরতা কমিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁর বিরুদ্ধে ঘোষিত পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়। ২০২৫ সালের ৬ নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাঁর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর আরোপিত সন্ত্রাসবিরোধী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
সোমবারের বৈঠকের কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে বাদ দেয়। স্বাধীনতার পর ১৯৪৬ সালের পর এটাই সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম হোয়াইট হাউস সফর। এর আগে ছয় মাস আগে সৌদি আরবে ট্রাম্প ও আল-শারার প্রাথমিক বৈঠক হয়, যেখানে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের প্রস্তাব ওঠে।
সম্প্রতি আল-শারাকে হত্যার চেষ্টায় আইএস-এর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং ৭০ জনের বেশি সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হয়। এই পরিস্থিতি সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে তোলে।
বৈঠকের সারসংক্ষেপ
বৈঠকটি ব্যক্তিগতভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং কোনো যৌথ সংবাদ সম্মেলন হয়নি। আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। আল-শারা গোপন প্রবেশপথ দিয়ে বৈঠকে প্রবেশ করেন এবং সংক্ষিপ্ত অভ্যর্থনা পান। তবে বৈঠক শেষে তিনি বের হলে বাইরে সিরীয় পতাকা হাতে সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন। ট্রাম্প পরে ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ভবিষ্যৎ আলোচনার ইঙ্গিত দেন।
বৈঠকে সিরিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, পুনর্গঠনে দেশটির প্রয়োজন ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পাশাপাশি, আসাদের পতনের পর থেকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি নিহত হওয়ায় আইএস-এর পুনরুত্থান ঠেকানোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘সে এক কঠিন জায়গা থেকে এসেছে এবং নিজেও কঠিন মানুষ। আমি তাকে পছন্দ করি… আমরা সিরিয়াকে সফল করতে সবকিছু করব, কারণ সেটি মধ্যপ্রাচ্যের অংশ।’ আল-শারার অতীত নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘আমাদের সবারই কঠিন অতীত থাকে।’
আল-শারা ফক্স নিউজকে বলেন, আল-কায়েদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ‘অতীতের বিষয়‘ এবং বৈঠকে তা তোলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এখন সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভূ-রাজনৈতিক মিত্র’ হিসেবে নিজেদের দেখে।
ঘোষণাসমূহ ও ফলাফল
বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আইএসবিরোধী গ্লোবাল কোয়ালিশনে ৯০তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়। এতে সিরিয়া ও ইরাকে অবশিষ্ট আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান চালানো সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতি রাখতে পারবে এবং ওয়াশিংটনে সিরীয় দূতাবাস পুনরায় চালু হবে।
মার্কিন অর্থ বিভাগ ‘সিজার অ্যাক্ট’-এর প্রয়োগ ১৮০ দিনের জন্য স্থগিত করে। এটি গত মে মাসে দেওয়া সাময়িক ছাড়ের ধারাবাহিকতা। নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ তুলে নিতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, দুই দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নিরাপত্তা চুক্তি হতে পারে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টার অংশ, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত।
প্রতিক্রিয়া ও সামগ্রিক গুরুত্ব
বৈঠককে ঘিরে প্রতিক্রিয়া মিশ্র হলেও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করেন। ট্রাম্প প্রতিনিধি মার্জোরি টেইলর গ্রিনের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘তিনি পথ হারিয়েছেন’, এবং বিশ্বব্যাপী সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
কংগ্রেসের কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্য নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন, যদিও কিছু রিপাবলিকান এখনো আপত্তি জানাচ্ছেন। ট্রাম্পের প্রভাব এতে ভূমিকা রাখতে পারে। সিরীয় কর্মকর্তারা বৈঠককে ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশল নির্দেশ করে। কৌশলটি হলো—সিরিয়াকে সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করে ইরানের প্রভাব কমানো এবং লেভান্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনা। ঝুঁকি অবশ্য রয়ে গেছে। আল-শারার অতীত ও সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে জোটভুক্তি আইএস মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং সৌদি আরব ও কাতারের মতো উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পুনর্গঠন সহায়তার পথ খুলবে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘সিরিয়ায় সাফল্য মানে মধ্যপ্রাচ্যে সাফল্য।’এই উদ্যোগ স্থায়ীভাবে বজায় থাকলে তা অঞ্চলের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স, সিবিএস নিউজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (১০ নভেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে স্বাগত জানান। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের এক বড় পরিবর্তন।
আলোচনার শেষে সিরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ‘গ্লোবাল কোয়ালিশন টু ডিফিট আইএসআইএস’-এর ৯০তম সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ‘সিজার অ্যাক্ট’-এর অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরও ছয় মাসের জন্য শিথিল করে।
এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ার স্থিতিশীলতা, ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর পুনরুত্থান রোধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আল-শারাকে ‘বলিষ্ঠ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করেন, যদিও তাঁর অতীত বিতর্কিত।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-শারা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। এই সংগঠনটির শিকড় আল-কায়েদায়। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের সময় তিনি আল-কায়েদায় যোগ দেন এবং মার্কিন বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন।
মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পরিচালনা করেন। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ ঘোষণা এবং তাঁর মাথার দাম ১ কোটি ডলার ঘোষণা করে। তিনি ‘আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি’ নামে পরিচিত ছিলেন।
২০১৬ সালে আল-শারা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং এইচটিএস-কে আরও বাস্তববাদী সংগঠন হিসেবে পুনর্গঠন করেন। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এইচটিএস দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তুরস্ক আসাদকে হঠাতে এইচটিএস-কে সহয়তা করে।
এরপর আল-শারা অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেন এবং ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব থেকে দূরে থেকে তুরস্ক, উপসাগরীয় দেশ ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে তাঁর প্রতি কঠোরতা কমিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁর বিরুদ্ধে ঘোষিত পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়। ২০২৫ সালের ৬ নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাঁর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর আরোপিত সন্ত্রাসবিরোধী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
সোমবারের বৈঠকের কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে বাদ দেয়। স্বাধীনতার পর ১৯৪৬ সালের পর এটাই সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম হোয়াইট হাউস সফর। এর আগে ছয় মাস আগে সৌদি আরবে ট্রাম্প ও আল-শারার প্রাথমিক বৈঠক হয়, যেখানে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের প্রস্তাব ওঠে।
সম্প্রতি আল-শারাকে হত্যার চেষ্টায় আইএস-এর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং ৭০ জনের বেশি সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হয়। এই পরিস্থিতি সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে তোলে।
বৈঠকের সারসংক্ষেপ
বৈঠকটি ব্যক্তিগতভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং কোনো যৌথ সংবাদ সম্মেলন হয়নি। আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। আল-শারা গোপন প্রবেশপথ দিয়ে বৈঠকে প্রবেশ করেন এবং সংক্ষিপ্ত অভ্যর্থনা পান। তবে বৈঠক শেষে তিনি বের হলে বাইরে সিরীয় পতাকা হাতে সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন। ট্রাম্প পরে ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ভবিষ্যৎ আলোচনার ইঙ্গিত দেন।
বৈঠকে সিরিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, পুনর্গঠনে দেশটির প্রয়োজন ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পাশাপাশি, আসাদের পতনের পর থেকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি নিহত হওয়ায় আইএস-এর পুনরুত্থান ঠেকানোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘সে এক কঠিন জায়গা থেকে এসেছে এবং নিজেও কঠিন মানুষ। আমি তাকে পছন্দ করি… আমরা সিরিয়াকে সফল করতে সবকিছু করব, কারণ সেটি মধ্যপ্রাচ্যের অংশ।’ আল-শারার অতীত নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘আমাদের সবারই কঠিন অতীত থাকে।’
আল-শারা ফক্স নিউজকে বলেন, আল-কায়েদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ‘অতীতের বিষয়‘ এবং বৈঠকে তা তোলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এখন সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভূ-রাজনৈতিক মিত্র’ হিসেবে নিজেদের দেখে।
ঘোষণাসমূহ ও ফলাফল
বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আইএসবিরোধী গ্লোবাল কোয়ালিশনে ৯০তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়। এতে সিরিয়া ও ইরাকে অবশিষ্ট আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান চালানো সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতি রাখতে পারবে এবং ওয়াশিংটনে সিরীয় দূতাবাস পুনরায় চালু হবে।
মার্কিন অর্থ বিভাগ ‘সিজার অ্যাক্ট’-এর প্রয়োগ ১৮০ দিনের জন্য স্থগিত করে। এটি গত মে মাসে দেওয়া সাময়িক ছাড়ের ধারাবাহিকতা। নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ তুলে নিতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, দুই দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নিরাপত্তা চুক্তি হতে পারে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টার অংশ, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত।
প্রতিক্রিয়া ও সামগ্রিক গুরুত্ব
বৈঠককে ঘিরে প্রতিক্রিয়া মিশ্র হলেও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করেন। ট্রাম্প প্রতিনিধি মার্জোরি টেইলর গ্রিনের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘তিনি পথ হারিয়েছেন’, এবং বিশ্বব্যাপী সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
কংগ্রেসের কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্য নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন, যদিও কিছু রিপাবলিকান এখনো আপত্তি জানাচ্ছেন। ট্রাম্পের প্রভাব এতে ভূমিকা রাখতে পারে। সিরীয় কর্মকর্তারা বৈঠককে ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশল নির্দেশ করে। কৌশলটি হলো—সিরিয়াকে সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করে ইরানের প্রভাব কমানো এবং লেভান্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনা। ঝুঁকি অবশ্য রয়ে গেছে। আল-শারার অতীত ও সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে জোটভুক্তি আইএস মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং সৌদি আরব ও কাতারের মতো উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পুনর্গঠন সহায়তার পথ খুলবে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘সিরিয়ায় সাফল্য মানে মধ্যপ্রাচ্যে সাফল্য।’এই উদ্যোগ স্থায়ীভাবে বজায় থাকলে তা অঞ্চলের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স, সিবিএস নিউজ
.png)

পুলিশ ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে তদন্ত শুরু করেছে এবং ‘অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) ও ‘বিস্ফোরক আইন’-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। তার একটি বক্তৃতার ভিডিও বিকৃতভাবে প্রচার করার অভিযোগে ট্রাম্প এই হুমকি দেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের সংকটে পড়েছে এবং দুই শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় (১০ নভেম্বর) এই শক্তিশালী বিস্ফোরণে আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের পর বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায় ও আশেপাশের ভবনগুলোর জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
১৭ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত এলাকায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দুই সৈন্য আহত হওয়ার পর কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করার হুমকি দিয়েছে থাইল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
১ দিন আগে