leadT1ad

বিবিসি কেন বিতর্কিত, আলোচিত ৭টি ঘটনা

একসময় বিশ্বজুড়ে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মানদণ্ড ছিল বিবিসি। যুদ্ধ হোক বা রাজনৈতিক সংকট— মানুষ বিশ্বাস করত, বিবিসি বলবে কেবল নির্মোহ সত্য। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই আস্থার ভিত্তি ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। একের পর এক বিতর্ক, পক্ষপাতের অভিযোগ ও নৈতিক প্রশ্নে জর্জরিত এই শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে একটাই প্রশ্ন— বিবিসি কি আর আগের সেই ‘বিবিসি’ আছে?

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণ সম্পাদনা নিয়ে ফের বিতর্কে বিবিসি। স্ট্রিম গ্রাফিক

‘দিস ইজ বিবিসি নিউজ’—এই কণ্ঠস্বর, এই সুর, এই তিন শব্দ শুনলেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে ভেসে ওঠে এক নির্ভরতার ছবি। একটা সময় সাধারণ মানুষের কাছে বিবিসি শুধু সংবাদমাধ্যম ছিল না, ছিল সত্য ও নিরপেক্ষতার এক বৈশ্বিক মানদণ্ড। ঝড়-ঝঞ্ঝা, যুদ্ধ-বিগ্রহ কিংবা রাজনৈতিক ঘটনাবলি—সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে বিবিসি বলবে নির্জলা, নির্মোহ সত্য; এই বিশ্বাস বহু প্রজন্ম ধরে মানুষের মনে গেঁথে ছিল।

কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত সেই বিশ্বাস দুর্বল হতে শুরু করেছে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণ সম্পাদনা নিয়ে বিতর্কের জেরে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তা প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনা। এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ভুল নয়, বরং ১০৩ বছরের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানের গায়ে লাগা অসংখ্য বিতর্কের সর্বশেষ সংযোজন মাত্র। প্রশ্ন উঠছে, যে প্রতিষ্ঠান নিজেকে নিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে দাবি করে, তার গায়ে কেন বারবার লাগছে পক্ষপাতের কালিমা?

যে বিতর্ক নাড়িয়ে দিল শীর্ষাসন

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার দিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া একটি ভাষণ বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে এমনভাবে সম্পাদনা করে দেখানো হয়, যাতে মনে হয় তিনি সরাসরি সহিংসতার ডাক দিচ্ছেন। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ তাদের এক প্রতিবেদনে প্রমাণ করে দেখায়, কীভাবে ট্রাম্পের ভাষণের বিভিন্ন অংশ থেকে শব্দ কেটে-জুড়ে এক নতুন উদ্ধৃতি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটল ভবনের দিকে হাঁটব... আর আমরা লড়ব, আমরা ভীষণভাবে লড়ব।’

কিন্তু এই লড়ার পদ্ধতি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষণে বলা ‘দেশপ্রেম নিয়ে ও শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে হবে’—এই অংশ বিবিসি বেমালুম চেপে যায়। এই একটি অংশ বাদ পড়ায় ভাষণের অর্থই আমূল বদলে যায়। মহাপরিচালক টিম ডেভি পদত্যাগের সময় দায় স্বীকার করে বলেন, ‘কিছু ভুল হয়েছে—আর মহাপরিচালক হিসেবে চূড়ান্ত দায় আমারই।’

কেন বিতর্কিত বিবিসি?

বিবিসি কেন বারবার বিতর্কে জড়ায়, তার উত্তর পেতে হলে ফিরে তাকাতে হবে এর জন্মলগ্ন ও গঠনতন্ত্রের দিকে। এর পেছনে কোনো কর্পোরেট মালিক বা সরকারি অনুদান নেই, আছে সাধারণ মানুষের পকেটের টাকা। যুক্তরাজ্যে যদি আপনার বাড়িতে একটি টেলিভিশন থাকে, আর আপনি তাতে কোনো অনুষ্ঠান দেখেন—সেটা খবর হোক, খেলা হোক বা কোনো নাটক, তবে আপনাকে বছরে প্রায় ১৪৫ পাউন্ডের মতো ফি দিতে হয়। এর নাম ‘লাইসেন্স ফি’। বিবিসির অর্থায়নের অন্যান্য উৎস থাকলেও সিংহভাগ আসে এই ‘লাইসেন্স ফি’ থেকে। প্রতি বছর প্রায় ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড আয় হয় এই লাইসেন্স ফি থেকে।

এই ফি কোনো কর বা চাঁদা নয়। দর্শকেরা এই টাকা দেন, আর তার বিনিময়ে বিবিসি প্রতিশ্রুতি দেয় বিজ্ঞাপনমুক্ত, নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার। আর এই নিরপেক্ষতার পরীক্ষাতেই বারবার ফেল করেছে বিবিসি। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের পাতা থেকে এমন ১০টি বিতর্কিত ঘটনা, যা বিবিসির ‘আস্থার মিনার’-কে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

১. ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: নিরপেক্ষতার আড়ালে নগ্ন পক্ষপাত

দশকের পর দশক ধরে অভিযোগ উঠেছে, বিবিসি এই সংঘাতে সুস্পষ্টভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নেয়। কোনো সূক্ষ্ম অবস্থান নয়, বরং এক নগ্ন পক্ষপাত যা তাদের প্রতিবেদনের প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি ফ্রেমে প্রতিফলিত হয়। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধকে ‘সন্ত্রাস’ আর ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনকে ‘আত্মরক্ষা’ হিসেবে উপস্থাপন করাটা বিবিসির এক অলিখিত নীতিতে পরিণত হয়েছে। এই পক্ষপাতের সবচেয়ে বড় প্রমাণ মেলে তাদের শব্দচয়নে। যখন ইসরায়েলি বোমায় গাজার কোনো স্কুল বা হাসপাতাল গুঁড়িয়ে যায়, তখন বিবিসির শিরোনাম হয় ‘গাজায় বিস্ফোরণে নিহত...’; কে সেই বিস্ফোরণ ঘটাল, তার উল্লেখ থাকে না।

কিন্তু একজন ইসরায়েলি আহত হলে তার পেছনে থাকা ফিলিস্তিনি সংগঠনের নাম ফলাও করে প্রচার করা হয়। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুকে দেখানো হয় সংখ্যার এক নিষ্প্রাণ পরিসংখ্যান হিসেবে, আর ইসরায়েলিদের মৃত্যুকে তুলে ধরা হয় মানবিক ট্র্যাজেডি হিসেবে। বছরের পর বছর ধরে চলা দখলদারি, বসতি স্থাপন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকে পাশ কাটিয়ে সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র প্রতিরোধকেই দায়ী করা হয়।

মিডিল ইস্ট মনিটরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এক সমালোচক দাবি করেছেন, এই বয়ানের যুদ্ধ বা ‘ওয়ার অব ন্যারেটিভস’-এ বিবিসি যেন ইসরায়েলের স্বেচ্ছাসেবী সৈন্য। বিবিসির এই পক্ষপাত মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের কাছে তার বিশ্বাসযোগ্যতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।

২. জিমি স্যাভিলের কলঙ্ক: অন্ধ বিশ্বাসের করুণ পরিণতি

১৯৬৭ থেকে ২০০৭ সাল অব্দি বিবিসিতে কাজ করা জিমি স্যাভিল ইংল্যান্ডের জাতীয় প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন। জিমি স্যাভিল ছিলেন বিবিসির সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন। ২০১১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর জানা যায়, হাসিমুখের আড়ালে স্যাভিল ছিলেন সিরিয়াল শিশু যৌন নিপীড়ক। বিবিসির স্টুডিও ও দাতব্য অনুষ্ঠানের আড়ালে কয়েক দশক ধরে শত শত শিশুকে নির্যাতন করেছিলেন।

আরও ভয়ংকর তথ্য হলো, স্যাভিলের কুকীর্তি নিয়ে বিবিসিরই অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘নিউজ নাইট’ একটি প্রতিবেদন তৈরি করলেও, সেটি প্রচার করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি নিজের তারকাকে ও নিজের সুনামকে বাঁচাতে গুরুতর অপরাধ ধামাচাপা দিয়েছিল। এই ঘটনায় বিশ্বাসে যে ফাটল ধরেছিল, তা আর কখনোই পুরোপুরি জোড়া লাগেনি।

৩. প্রিন্সেস ডায়ানার সেই সাক্ষাৎকার: প্রতারণার ফাঁদ

১৯৯৫ সালে বিবিসির সাংবাদিক মার্টিন বশির প্রিন্সেস ডায়ানার একটি সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকার আক্ষরিক অর্থেই ব্রিটিশ রাজপরিবারকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেই সাক্ষাৎকারে ডায়ানা তাঁর বৈবাহিক জীবনের সংকট ও রাজপরিবারের ভেতরের অনেক গোপন কথা তুলে ধরেন। এই সাক্ষাৎকার বিবিসির অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হতো।

কিন্তু ২৬ বছর পর এক স্বাধীন তদন্তে প্রমাণিত হয়, সাক্ষাৎকারটি পাওয়ার জন্য বশির ডায়ানার ভাইয়ের কাছে জাল ব্যাংক নথি দেখিয়েছিলেন। বশির প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন, রাজপরিবারের কর্মচারীরাই ডায়ানার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ও তাঁর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। এই প্রতারণার মাধ্যমে পাওয়া সাক্ষাৎকার বিবিসির সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক বিরাট নৈতিক প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দেয়। প্রিন্স উইলিয়াম স্বয়ং এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই প্রতারণাই তাঁর মায়ের মানসিক অশান্তি ও একাকিত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।

৪. স্যার ক্লিফ রিচার্ডের বাড়িতে অভিযান: গোপনীয়তার মৃত্যু

২০১৪ সালে পুলিশি অভিযানের লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচার করে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দেয় বিবিসি। জনপ্রিয় ব্রিটিশ গায়ক স্যার ক্লিফ রিচার্ডের বিরুদ্ধে ওই সময় যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত চলছিল। বিবিসি পুলিশের কাছ থেকে অগ্রিম খবর পেয়ে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তাঁর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে। তখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি, তিনি অভিযুক্তও হননি।

এই ঘটনা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মধ্যেকার সূক্ষ্ম রেখাকে মুছে দেয়। স্যার ক্লিফ রিচার্ড পরে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করেন ও জেতেন। আদালত রায় দেয়, বিবিসি তাঁর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

৫. ব্রেক্সিট বিতর্ক: শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা

২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোট ছিল ব্রিটেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বিভাজিত অধ্যায়। এই সময়ে বিবিসি পড়েছিল উভয় সংকটে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে থাকা ব্রেক্সিট সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, বিবিসি ‘এস্টাবলিশমেন্ট’-এর অংশ ও তারা সূক্ষ্মভাবে ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে, ইউনিয়নে থাকতে চাওয়া ব্রেক্সিট-বিরোধীরা মনে করেন, বিবিসি নাইজেল ফারাজের মতো উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতাদের অপ্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ঘৃণা ছড়াতে সাহায্য করেছে।

৬. মার্গারেট থ্যাচারের যুগ: খনি শ্রমিকদের ধর্মঘট

বিবিসির বিরুদ্ধে সবচেয়ে পুরোনো ও গভীর অভিযোগগুলোর একটি হলো, প্রতিষ্ঠানটি শ্রমজীবী বা শ্রমিক শ্রেণির প্রতি এক ধরনের বিমাতাসুলভ আচরণ করে। কোনো সরাসরি ঘৃণা নয়, বরং এক সূক্ষ্ম অবজ্ঞা, যা তাদের অনুষ্ঠান থেকে সংবাদ—সর্বত্রই প্রতিফলিত হয়। অক্সফোর্ড-কেমব্রিজের ডিগ্রিধারী, লন্ডনকেন্দ্রিক অভিজাত শ্রেণির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায়, কারখানার শ্রমিক বা উত্তরাঞ্চলের কোনো শহরের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ও সংগ্রাম বিবিসির কাছে যেন এক দূরের, অচেনা জগৎ।

এই সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ মেলে ১৯৮৪-৮৮ সালের খনি শ্রমিকদের ঐতিহাসিক ধর্মঘটের সময়। সেই সময়ে বিবিসি সরকারের ‘ভেতরের শত্রু’ বয়ানটিকেই যেন প্রতিধ্বনিত করেছিল। তাদের সংবাদ প্রতিবেদনে খনি শ্রমিকদের সহিংসতাকে বড় করে দেখানো হয়েছে, কিন্তু পুলিশের নির্মম দমন-পীড়ন ও খনি অঞ্চলগুলোর ওপর নেমে আসা অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘ব্যাটল অব অরগ্রিভ’-এর মতো ঘটনায় ফুটেজ সম্পাদনা করে ভুল চিত্র উপস্থাপন করার মতো কলঙ্কজনক অধ্যায় লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষের মনে এক গভীর অবিশ্বাসের জন্ম দেয়।

৭. কারগিল যুদ্ধ ও ‘ভারত ব্রডকাস্টিং করপোরেশন’

১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কারগিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তান অভিযোগ করে, বিবিসি একতরফাভাবে ভারতের পক্ষ নিয়ে সংবাদ প্রচার করছে। তাদের মতে, বিবিসি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ও ঘটনার পাকিস্তানি সংস্করণকে উপেক্ষা করছে।

সে সময় পাকিস্তান সরকার এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিল যে, তারা বিদ্রূপ করে বিবিসিকে ‘ভারত ব্রডকাস্টিং করপোরেশন’ বলে আখ্যা দিয়েছিল।

এই ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়, বরং নামের ভারে নুয়ে পড়া বিবিসির প্রতিনিয়ত হোঁচট খাওয়ার সামগ্রিক বাস্তবতা। বিবিসির সবচেয়ে বড় লড়াইটা এখন আর বাইরের দুনিয়ার খবর সংগ্রহ করা নয়, বরং নিজের ভেতরের বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট মোকাবিলা করা। বর্তমান বিশ্বে যেখানে প্রতিটি ঘটনার বহুকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা ও সত্যের দাবি আছে, সেখানে কি একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সবার কাছে ‘সত্য’ হিসেবে গৃহীত হওয়া সম্ভব? বিবিসির ভবিষ্যৎ এই কঠিন প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা, মিডিল ইস্ট মনিটর।

Ad 300x250

সম্পর্কিত