leadT1ad

আমাদের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে তা দেখছি: শহীদুল আলম

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৪৮
স্ট্রিম গ্রাফিক

ফিলিস্তিনমুখী সহায়তা বহনকারী জাহাজ ‘কনসিয়েন্সে’ আছেন আলোকচিত্রী ও সামাজিক আন্দোলনকর্মী শহিদুল আলম। সেখান থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়েও তাঁরা এগিয়ে চলেছেন গাজার উদ্দেশে, আর প্রতিটি মুহূর্তে নজর রাখছেন কী ঘটতে পারে সামনে।

শহিদুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, তিনি জাহাজে উঠেছিলেন সর্বশেষ যাত্রী হিসেবে। তাই জাহাজের নির্ধারিত ঘুমানোর জায়গায় তাঁর জন্য জায়গা ছিল না। বাধ্য হয়ে প্রথম রাতে খোলা ডেকে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু ঝড় শুরু হওয়ায় দ্বিতীয় রাতে আশ্রয় নেন বের হওয়ার ফটকের পাশে ছোট একটি কোণে। জায়গাটি ছিল কোলাহলপূর্ণ ও আলোয় আলোকিত। তবে তিনি যেহেতু এর আগে কারাগারে কিছুদিন ছিলেন, তাই সেই দিনগুলোর অভিজ্ঞতা তাঁকে এমন পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে শিখিয়েছে। এ কারণ নির্ঝঞ্ঝাটে ঘুমাতে পেরেছেন তিনি।

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা ও প্রার্থনার বার্তা আসছে বলে জানিয়েছেন শহীদুল আলম। তবে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। শহিদুল বলেন, এই শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা তাঁর সহযোদ্ধাদের কাছেও পৌঁছে দিয়েছেন। শুভচ্ছোগুলো তাঁদের জন্য অমূল্য শক্তি হয়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি।

গণমাধ্যমরে বন্ধুদের প্রতিও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শহীদুল আলম। তিনি লিখেছেন, আপডেট ও কনটেন্ট চেয়ে অসংখ্য অনুরোধ আসছে। কিন্তু সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে জবাব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কনটেন্টের জন্য তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘দৃক’–এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন।

আন্তর্জাতিক জলসীমায় সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনী সুমুদ ফ্লোটিলার নৌকাগুলো আটক করেছে। এ নিয়ে জাহাজের ভেতর সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। শহিদুল লিখেছেন, ‘আমরা এখনো গাজায় পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে, তা দেখছি এবং প্রস্তুত হচ্ছি।’

শহীদুল আলম আলম জানিয়েছেন, ঢেউ আজ দুই মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানা গেছে। তবে ঝড় কেটে গেছে, বজ্রপাতও নেই। ঝড় এড়াতে ক্যাপ্টেন গতি বাড়িয়ে দেন এবং তা সফল হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অসুস্থতার ব্যাগ দেওয়া হলেও তা ব্যবহার করতে হয়নি কারও।

বার্তার শেষে শহিদুল আলম লিখেছেন, ‘আমরা অবরোধ ভাঙব। আপনাদের উপস্থিতি ও সংহতি আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হয়তো আপনারা কল্পনাও করতে পারছেন না। প্যালেস্টাইন অবশ্যই মুক্ত হবে।’

গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালির উপকূলীয় শহর ওট্রান্টো থেকে ফ্লোটিলার বৃহত্তম জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ যোগ দেন শহীদুল আলম।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সেখানে রয়েছে শহীদুল আলম।

Ad 300x250

সম্পর্কিত