স্ট্রিম ডেস্ক
জেন-জি বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছিল নেপাল। তবে সংকট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল তাকে শপথ পাঠ করান।
এসময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব নিলেন কার্কি।
নেপালের এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অনলাইন চ্যাট প্ল্যাটফর্ম ‘ডিসকর্ড’ এক অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছে। ডিসকর্ড ব্যবহার করে আন্দোলন পরিচালনা, এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটিও হয় ডিসকর্ডে।
এ বছরের শুরুতে নেপাল সরকার একটি নতুন আইন প্রণয়ন করে। আইন অনুযায়ী, ফেসবুক, গুগল, টিকটকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্ল্যাটফর্মগুলো এই শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়। একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘নেপো কিডস’ প্রচারণা তীব্র আকার ধারণ করে। নেপাল সরকার আইন অমান্যের অভিযোগে ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জমে থাকা অসন্তোষ বিস্ফোরিত হয় এবং তাঁরা রাস্তায় নেমে আসে। ফেসবুক ও টিকটকের মতো জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আন্দোলনকারীরা যোগাযোগের জন্য ডিসকর্ড ও রেডিটের মতো অপেক্ষাকৃত কম নজরদারিতে থাকা প্ল্যাটফর্মগুলো বেছে নেয়।
ডিসকর্ড হলো একটি জনপ্রিয় অনলাইন চ্যাট ও ভয়েস প্ল্যাটফর্ম। যা মূলত অনলাইন গেমারদের জন্য তৈরি একটি যোগাযোগ অ্যাপ। এতে ব্যবহারকারীরা সার্ভার বা চ্যানেল তৈরি করে টেক্সট, অডিও বা ভিডিওর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু এখন এটি শুধু গেমারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বজুড়ে নানা গ্রুপ, সংগঠন, শিক্ষার্থী, আন্দোলনকারী ও কমিউনিটি সদস্যরা এটি ব্যবহার করছেন।
নেপালের জেন-জি বিক্ষোভে ‘ইয়ুথ এগেইনস্ট করাপশন’ নামের একটি ডিসকর্ড সার্ভার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। আন্দোলনের সময় কিছুদিনের মধ্যে সার্ভারটির সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই সার্ভারে কর্মসূচি ঘোষণা, ফ্যাক্ট-চেক, মাঠের খবর, জরুরি হেল্পলাইন ও সাধারণ আলোচনার জন্য আলাদা আলাদা চ্যানেলও ছিল, যা আন্দোলনকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আন্দোলনকারীরা এই সার্ভার ব্যবহার করে প্রতিবাদ কর্মসূচি সমন্বয় করে। এমনকি নেপালের প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ও আন্দোলনকর্মীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইভ সেশনে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেন।
কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর যখন রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়, তখন আন্দোলনকারীরা ডিসকর্ডেই বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার পর একটি অনলাইন পোল বা ভোটের ব্যবস্থা করে। এই পোলে ৭,৭০০ এর বেশি ভোট পড়ে, যার মধ্যে ৬২ শতাংশেরও বেশি ভোট পান সুশীলা কার্কি। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে কার্কি ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ায় ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের পছন্দের কথা জানায়। শেষ পর্যন্ত কার্কিকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পড়ানো হয়। কাঠমান্ডুর জনপ্রিয় মেয়র বালেন শাহসহ আরও কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আলোচনায় থাকলেও, চূড়ান্তভাবে কার্কির নামেই ঐক্যমত তৈরি হয়।
সুশীলা কার্কি ছাড়াও এই অনলাইন ভোটে আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—কাঠমান্ডুর বালেন শাহ, তরুণ রাজনীতিবিদ সাগর ঢাকাল, ধারান শহরের মেয়র হার্কা সামপাং, সামাজিক উদ্যোক্তা মহাবীর পুন ও নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং।
যদিও মেয়র বালেন শাহর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল, তবে তিনি নিজে এই পদের জন্য আগ্রহী ছিলেন না। তিনিও কার্কিকেই সমর্থন দেন। এতে সাবেক এ প্রধান বিচারপতির নির্বাচিত হওয়ার পথ আরও সহজ হয়।
ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাংবাদিক আকাশ শর্মা দাবি করেন, এই ভোটিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে নেপালের বাইরে থেকেও যে কেউ এই ভোটে অংশ নিতে পারতো, যা পুরো নির্বাচনটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সমালোচকরা বলছেন, ডিসকর্ডের মতো একটি বেসরকারি প্ল্যাটফর্মের ভোটের কোনো সাংবিধানিক বা আইনি ভিত্তি নেই। অন্যদিকে ‘ইউথ এগেইনস্ট করাপশন’ সার্ভারে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি সদস্য থাকলেও মাত্র ৭,৭১৩ জন ভোট দিয়েছেন, যা মোট সদস্যের একটি ক্ষুদ্র অংশ। এত কম ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি কতটা প্রতিনিধিত্বমূলক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকেই—পরিচয় যাচাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বিদেশি শক্তিগুলো ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করার সুযোগ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে ডিসকর্ডের ব্যবহার শুধু ভালো দিকেই আটকে নেই বরং সহিংসতায় ব্যবহার হচ্ছে অভিযোগ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো শাবনাজ রশিদ ফেসবুকে লিখেন, ‘একই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহিংসতা ছড়ানো সম্ভব। নেপালে ঠিক তাই হয়েছে। আমাদের পর্যালোচনায় এমন কিছু চ্যানেল ও চ্যাটরুমে উঠে এসেছে যেখানে খুব সূক্ষ্মভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলোর উপর হামলা করার জন্য ইউজারদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। জানিয়ে রাখা ভালো, এই রাষ্ট্রীয় ভবনে রাজনীতিবিদ ও সরকারের দুর্নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি আছে। অনেককিছু পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তাই ভবিষ্যতে আদৌ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে কি না, তা এখন খতিয়ে দেখার বিষয়।’
জেন-জি বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছিল নেপাল। তবে সংকট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল তাকে শপথ পাঠ করান।
এসময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব নিলেন কার্কি।
নেপালের এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অনলাইন চ্যাট প্ল্যাটফর্ম ‘ডিসকর্ড’ এক অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছে। ডিসকর্ড ব্যবহার করে আন্দোলন পরিচালনা, এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটিও হয় ডিসকর্ডে।
এ বছরের শুরুতে নেপাল সরকার একটি নতুন আইন প্রণয়ন করে। আইন অনুযায়ী, ফেসবুক, গুগল, টিকটকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্ল্যাটফর্মগুলো এই শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়। একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘নেপো কিডস’ প্রচারণা তীব্র আকার ধারণ করে। নেপাল সরকার আইন অমান্যের অভিযোগে ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জমে থাকা অসন্তোষ বিস্ফোরিত হয় এবং তাঁরা রাস্তায় নেমে আসে। ফেসবুক ও টিকটকের মতো জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আন্দোলনকারীরা যোগাযোগের জন্য ডিসকর্ড ও রেডিটের মতো অপেক্ষাকৃত কম নজরদারিতে থাকা প্ল্যাটফর্মগুলো বেছে নেয়।
ডিসকর্ড হলো একটি জনপ্রিয় অনলাইন চ্যাট ও ভয়েস প্ল্যাটফর্ম। যা মূলত অনলাইন গেমারদের জন্য তৈরি একটি যোগাযোগ অ্যাপ। এতে ব্যবহারকারীরা সার্ভার বা চ্যানেল তৈরি করে টেক্সট, অডিও বা ভিডিওর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু এখন এটি শুধু গেমারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বজুড়ে নানা গ্রুপ, সংগঠন, শিক্ষার্থী, আন্দোলনকারী ও কমিউনিটি সদস্যরা এটি ব্যবহার করছেন।
নেপালের জেন-জি বিক্ষোভে ‘ইয়ুথ এগেইনস্ট করাপশন’ নামের একটি ডিসকর্ড সার্ভার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। আন্দোলনের সময় কিছুদিনের মধ্যে সার্ভারটির সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই সার্ভারে কর্মসূচি ঘোষণা, ফ্যাক্ট-চেক, মাঠের খবর, জরুরি হেল্পলাইন ও সাধারণ আলোচনার জন্য আলাদা আলাদা চ্যানেলও ছিল, যা আন্দোলনকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আন্দোলনকারীরা এই সার্ভার ব্যবহার করে প্রতিবাদ কর্মসূচি সমন্বয় করে। এমনকি নেপালের প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ও আন্দোলনকর্মীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইভ সেশনে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেন।
কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর যখন রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়, তখন আন্দোলনকারীরা ডিসকর্ডেই বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার পর একটি অনলাইন পোল বা ভোটের ব্যবস্থা করে। এই পোলে ৭,৭০০ এর বেশি ভোট পড়ে, যার মধ্যে ৬২ শতাংশেরও বেশি ভোট পান সুশীলা কার্কি। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে কার্কি ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ায় ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের পছন্দের কথা জানায়। শেষ পর্যন্ত কার্কিকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পড়ানো হয়। কাঠমান্ডুর জনপ্রিয় মেয়র বালেন শাহসহ আরও কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আলোচনায় থাকলেও, চূড়ান্তভাবে কার্কির নামেই ঐক্যমত তৈরি হয়।
সুশীলা কার্কি ছাড়াও এই অনলাইন ভোটে আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—কাঠমান্ডুর বালেন শাহ, তরুণ রাজনীতিবিদ সাগর ঢাকাল, ধারান শহরের মেয়র হার্কা সামপাং, সামাজিক উদ্যোক্তা মহাবীর পুন ও নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং।
যদিও মেয়র বালেন শাহর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল, তবে তিনি নিজে এই পদের জন্য আগ্রহী ছিলেন না। তিনিও কার্কিকেই সমর্থন দেন। এতে সাবেক এ প্রধান বিচারপতির নির্বাচিত হওয়ার পথ আরও সহজ হয়।
ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাংবাদিক আকাশ শর্মা দাবি করেন, এই ভোটিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে নেপালের বাইরে থেকেও যে কেউ এই ভোটে অংশ নিতে পারতো, যা পুরো নির্বাচনটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সমালোচকরা বলছেন, ডিসকর্ডের মতো একটি বেসরকারি প্ল্যাটফর্মের ভোটের কোনো সাংবিধানিক বা আইনি ভিত্তি নেই। অন্যদিকে ‘ইউথ এগেইনস্ট করাপশন’ সার্ভারে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি সদস্য থাকলেও মাত্র ৭,৭১৩ জন ভোট দিয়েছেন, যা মোট সদস্যের একটি ক্ষুদ্র অংশ। এত কম ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি কতটা প্রতিনিধিত্বমূলক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকেই—পরিচয় যাচাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বিদেশি শক্তিগুলো ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করার সুযোগ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে ডিসকর্ডের ব্যবহার শুধু ভালো দিকেই আটকে নেই বরং সহিংসতায় ব্যবহার হচ্ছে অভিযোগ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো শাবনাজ রশিদ ফেসবুকে লিখেন, ‘একই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহিংসতা ছড়ানো সম্ভব। নেপালে ঠিক তাই হয়েছে। আমাদের পর্যালোচনায় এমন কিছু চ্যানেল ও চ্যাটরুমে উঠে এসেছে যেখানে খুব সূক্ষ্মভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলোর উপর হামলা করার জন্য ইউজারদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। জানিয়ে রাখা ভালো, এই রাষ্ট্রীয় ভবনে রাজনীতিবিদ ও সরকারের দুর্নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি আছে। অনেককিছু পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তাই ভবিষ্যতে আদৌ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে কি না, তা এখন খতিয়ে দেখার বিষয়।’
প্রস্তাবে যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা মিশন গঠনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এ মিশনের লক্ষ্য হবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণকে সহায়তা দেওয়া এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা।
১১ ঘণ্টা আগেনেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল তাকে শপথ পাঠ করান। এসময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতি
১৪ ঘণ্টা আগেকে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর নেপালের বিক্ষুব্ধ তরুণরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাবেক বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে।
১ দিন আগেসুপ্রিম কোর্ট বলসোনারোর আরও সাত সহযোগীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াল্টার ব্রাগা নেটো ও পাওলো সার্জিও নোগুইরা রয়েছেন। এ ছাড়াও বলসোনারোর সাবেক সহকারী মাউরো সিড, সামরিক উপদেষ্টা অগাস্টো হেলেনো রিবেইরো, সাবেক বিচারমন্ত্রী অ্যান্ডারসন টরেস, সাবেক নৌপ্রধান আলমির গার্নিয
১ দিন আগে