leadT1ad

রাকসু নির্বাচন: ম্যানুয়াল ভোট গণনাসহ ১২ দফা দাবি তিন প্যানেলের

স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
তিন প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত ছাত্রদল সমর্থিত আবির-জীবন-এষা প্যানেল, ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং ছাত্র ফেডারেশন সমর্থিত সম্মিলিত প্যানেল ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’।

আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী মেহেদী হাসান মারুফ।

তাঁদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে— স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার, ভোটের শুরুতে সাংবাদিক ও এজেন্টদের সামনে ব্যালট বাক্স উন্মুক্ত করা, ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালির ব্যবহার, এক দিনের মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং ভোট গণনায় ম্যানুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ।

এছাড়া প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ও পোস্টারের সংখ্যা সীমিত করা, ব্যালট ছাপানো থেকে শুরু করে বাঁধানো ও নাম্বারিং পর্যন্ত এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত বুথের ব্যবস্থা, ডিজিটাল বোর্ডে ভোটার নম্বর প্রদর্শন, সাইবার বুলিং সেল সক্রিয় করা এবং ভোটের দিন ভোটারদের হাতে ব্যালট লিস্ট না দেওয়ার বিষয়টিও তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ গ্রুপ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ ২৪সহ সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর অভিযোগ করে বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’

নূর উদ্দিন আবীর আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির হলে হলে আতর বিলি, খিচুরি ও মুড়ি পার্টি, পানির ট্যাংক বসানোসহ বিভিন্ন উপঢৌকনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করছে। এর ফলে টাকা যার, ভোট তার—এমন নীতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। অথচ অভিযোগ জানালেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

নূর উদ্দিন আবীর অভিযোগ করেন, ‘ব্যালট নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রেও শিবিরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবেরই প্রতিফলন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল জীবন, এজিএস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা, ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আফরীন জাহান, এজিএস প্রার্থী আল শাহরিয়া শুভসহ অন্য প্রার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ হয়েছে। রোববার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত